পলিথিনের কারণে কর্ণফুলীতে ড্রেজিং সম্ভব হচ্ছে না
অবৈধ দখল আর তলদেশে পলিথিন জমার কারণে দূষণের মুখে থাকা কর্ণফুলী নদীতে উন্নতমানের ড্রেজিং সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এভাবে চলতে থাকলে চট্টগ্রাম বন্দর অকার্যকর হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
শুক্রবার (২৮ জুন) বেলা ১২টায় দি চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সীতাকুণ্ড শিল্পাঞ্চল ও মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ বিষয়ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্যবসায়ীক সংগঠনটি।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে কয়েক ফুট গভীর পলিথিন জমে আছে। যাতে করে ড্রেজার করতে গিয়ে পলিথিন ভেদ করা যাচ্ছে না। যা চট্টগ্রামসহ দেশের অর্থনীতির জন্য দুঃসংবাদ।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বন্দর কেবল এই এলাকার নয়, সমগ্র দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকায় রাখছে। এক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টার অভাব নেই। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে মত ভিন্নতা, বিভাজন রয়েছে, চিন্তার স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু সর্বোপরি চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য, কর্ণফুলী রক্ষার ব্যাপারে সবাইকে এক হতে হবে। অন্যথায় সরকারের বিনিয়োগকৃত অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হবে না।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি চট্টগ্রামের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি ও সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ে কাজের গুরুত্ব তুলে ধরেন। একই সাথে কিছু পণ্যের উপর শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সভায় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি অংশ নেন।