ইভিএম সংরক্ষণে বিপাকে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তারা



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নির্বাচন কমিশনের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)/ ছবি: বার্তা২৪.কম

নির্বাচন কমিশনের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যতটুকু সম্ভব ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। ইতোমধ্যে চাহিদা অনুযায়ী দেড় লাখ ইভিএম বুঝে পেয়েছে কমিশন। এর মধ্যে নতুন করে মাঠ পর্যায়ে ৩২ হাজার ৬৫৮টি ইভিএম পাঠানো হয়েছে। আর এসব মেশিন সংরক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তারা।

সূত্র জানায়, ইসির দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনের সময়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বেশকিছু মেশিন পাঠানো হয়। এর বাইরেও যে সকল উপজেলায় ইভিএম পাঠানো হয়নি, সেখানে এক হাজার করে মেশিন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। সেই অনুযায়ী এসব ইভিএম মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেসব ইভিএমে রক্ষণাবেক্ষনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন। এমনকি এসব মেশিন সংরক্ষণের জন্য এখনও অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘নির্বাচন অফিসে ইভিএমগুলো সংরক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। এসব মেশিন নিয়মিত চার্জ দিতে হয়। এছাড়াও রুমে এসি থাকাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা দরকার, যা আমাদের নেই। সংরক্ষণের জন্য স্টোর রুমও নেই। ফলে এসব মেশিন সংরক্ষণে হিমশিম খেতে হচ্ছে, এখনো পর্যন্ত কোন আর্থিক বরাদ্দ পাইনি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/29/1561823976137.jpg

এদিকে ইসি থেকে ইভিএম মেশিন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেশকিছু দিক দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- মেশিনগুলো ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা, সংরক্ষণের পূর্বে ব্যাটারি পরিপূর্ণ চার্জ দিয়ে কন্ট্রোল ইউনিট ও ব্যাটারি আলাদাভাবে সংরক্ষণ করা, ব্যবহার শেষে কন্ট্রোল ইউনিট হতে ব্যাটারি খুলে রাখা, প্রতিমাসে অন্তত: একবার ব্যাটারি পরিপূর্ণ চার্জ করে রাখা, ইভিএম সংরক্ষিত কক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

নির্দেশনায় বলা হয়, জেলায় পাঠানো ইভিএমগুলো আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের গোডাউন বা অন্য কোন সুবিধাজনক স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে। স্থান সংকুলান না হলে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা তার অধিক্ষেত্রাধীন অন্য কোনো জেলা নির্বাচন অফিস বা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসে ভাগাভাগি করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবেন।

এ বিষয়ে ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) লেফন্যান্ট কর্নেল মো: কামাল উদ্দিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘যেসব জেলায় ইভিএম পাঠানো হয়নি, সেখানে এক হাজার করে ইভিএম মেশিন পাঠিয়েছি। জেলা নির্বাচন অফিসে জায়গা সংকুলান না হলে পাশের উপজেলা নির্বাচন অফিসে নিরাপদ স্থানে মেশিনগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে। প্রয়োজনে কনফারেন্স রুমেও ইভিএম সংরক্ষণ করা যাবে।’

মেশিন সংরক্ষণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া হবে। তবে কত বরাদ্দ দেওয়া হবে এখনো তা চূড়ান্ত হয়নি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/29/1561824004844.jpg

জানা গেছে, জেলা পর্যায়ে পাঠানো ৩২ হাজার ৬৫৮ ইভিএমের মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ৪৭২টি, মানিকগঞ্জে এক হাজার ৬১০টি, মুন্সিগঞ্জে এক হাজার ৭৯৫টি, নারায়নগঞ্জে ৮৩৭টি, গাজীপুরে ৭৯৪টি, চট্টগ্রামে দুই হাজার ১২৮টি, কক্সবাজারে এক হাজার ৬০৮টি, ফেনীতে দুই হাজার ৬১টি, কুমিল্লায় এক হাজার ৯৫৭টি, নোয়াখালীতে দুই হাজার ২৬৬টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক হাজার ১২২টি, রংপুরে তিন হাজার ২২৯টি, ময়মনসিংহে দুই হাজার ৫২টি, গোপালগঞ্জে এক হাজার ৭৫৩টি, পটুয়াখালীতে এক হাজার ৪৮৫টি, খুলনায় এক হাজার ৭৬৩টি, সাতক্ষীরায় দুই হাজার ২২টি, বাগেরহাটে এক হাজার ৩৬১টি ও মেহেরপুরে এক হাজার ৩৪৩টি মেশিন পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দেশে প্রথমবারের মতো ২০১০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তৈরি করা ইভিএমে ভোটগ্রহণের প্রথা চালু করে এটিএম শামসুল হুদার কমিশন। গড়ে ২০ হাজার টাকার সেই ইভিএম ২০১৩ সালে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সময় বিকল হয়ে যায়। সেই ইভিএম আর ঠিক করা সম্ভব না হওয়ায় পরে নির্বাচন কমিশন আবার ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করে। পরে ওই ইভিএম আর ব্যবহার করা যায়নি।

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশন সেই মেশিন নষ্ট করে নতুন করে উন্নতমানের মেশিন তৈরির উদ্যোগ নেয়। ২০১৭ সালে বর্তমান ইসির উদ্যোগে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে আগের চেয়ে উন্নতমানের ইভিএম তৈরি করা হয়। যার প্রতিটির দাম দুই লাখ ১০ হাজার টাকা। সিটি নির্বাচনে কিছু কেন্দ্রে চালুর পর সংসদে ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করে সংস্থাটি।

   

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর হাজারিবাগ এলাকার পেছনের মাঠে তার মরদেহ পড়েছিল। খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটনের (এসএমপির) বিমানবন্দর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

নিহত অমিত দাস শিবু গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরীর বাগবাড়ি নরসিং টিলা এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন।

জানা যায়, অমিত দাস শিবু প্রতিদিনের মতো আজ রাতেও উত্তরপূর্ব পত্রিকা অফিসে কাজ করে বাসায় ফিরছিলেন। রাত পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়।

এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল। তবে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। কিন্তু মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মিলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

;

গ্যাস-বিদ্যুৎ-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ও ভর্তুকি সহনীয় পর্যায়ে রেখে সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়ের (বাড়ানো) সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল।

অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে এক বৈঠকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ সুপারিশ করেছে ঋণ কর্মসূচির আওতায় শর্ত বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে আসা আইএমএফ’র প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদলটি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাও জানতে চেয়েছে। এছাড়া লক্ষ্যভিত্তিক খেলাপিঋণ কমানো বিশেষ করে সরকারি মালিকানার ব্যাংকগুলোর খেলাপিঋণ কমিয়ে আনা এবং প্রক্রিয়াধীন থাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত আইনগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে ভর্তুকি নিয়ে বৈঠক করে মিশনের একটি অংশ, ভর্তুকি কমিয়ে আনেত পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক সূত্র-ভিত্তিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সরকারকে স্বাগত জানায়।

তবে সার্বিক বাজেট ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্য বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আপাতত কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে যাবে সরকার। তবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি কমাতে পর্যায়ক্রমে এসবের দাম বাড়ানো হবে।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ–এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।

বৈঠকে সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারাসহ সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিমসহ জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের এমডিরাও উপস্থিত ছিলেন।

;

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর দুই আরোহী মিলন হোসেন (২৫) ও জাব্বারুল (১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে নিহত টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে ও আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত টুটুল আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইলস কিনে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মহেশপুর গ্রামে ফিরছিলেন টুটুলের পিতা ইলিয়াস। পথে ভালাইপুর বাজারের অদূরে টাইলসবাহী গাড়িটি বিকল হয়ে পড়লে ইলিয়াস ছেলে টুটুলকে ফোন দিয়ে ডাকেন। টুটুল মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে মিলন ও জাব্বারুলকে নিয়ে ভালাইপুরের উদ্দেশে বের হন। পথে হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা একটি লাটাহাম্বারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন হোসেন ও জাব্বারুল নামের দুই যুবক জরুরি বিভাগে আসে। আহতদের মধ্যে মিলনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এবং জাব্বারুলকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

;