রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে রিকশা বন্ধ হবে



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে রিকশা বন্ধ হবে/ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে রিকশা বন্ধ হবে/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর যানজট নিয়ন্ত্রণে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার। এরইমধ্যে আগামী ৭ জুলাই থেকে রাজধানীর ৩ টি প্রধান সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত পুরো রাজধানী জুড়েই বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক ধাপের কাজটি সফল হলে পরবর্তীতে আরো কয়েকটি রাস্তায় এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়া হবে।

ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটির সমন্বয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ৭ জুলাই পরীক্ষামূলক ওই তিনটি সড়কের বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে পরবর্তীতে ১৪ জুলাই আবারও বৈঠকে বসবে সমন্বয় কমিটি। সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে ওই সভায় পরবর্তী ঘোষণা আসতে পারে।

বুধবার (০৩ জুলাই) নগর ভবনে মেয়রের সভাকক্ষে সমন্বয় কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। এরপর প্রগতি সরণি, সোনারগাঁও জনপদ, জসিম উদ্দিন রোড, রবীন্দ্র সরণি, মোহাম্মদপুর সাত মসজিদ রোড- ধানমন্ডী-২৭, জিগাতলা-শংকর-ধানমণ্ডি ২ নং রোড-মানিক মিয়া এভিনিউসহ যেসকল রুটে গণপরিবহন চলাচল করবে ওইসকল রুটে অযান্ত্রিক সব ধরণের যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার।

সমন্বয় সভায় রিকশা বন্ধের আগে জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের দিকে যেতে চায় সমন্বয় কমিটি। তবে তার আগে ওইসকল রুটে পর্যাপ্ত বাস সার্ভিস নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছে কমিটির সদস্যরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/03/1562167288998.jpg

সভায় আলোচনাকালে সদস্যরা বলেন, রিকশা বন্ধ করলে আন্দোলন হতে পারে। এসময় ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, বন্ধ করলে সমস্যা হবে এই চিন্তা করে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের কাজ করতে হবে। এই সেক্টরে আমরা কাজ করি নাই। ১৯৮৬ সালের পর যেহেতু আর কোনো রিকশাকে লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। তারমানে আমরা এতদিন এই সেক্টরে কাজ করিনি।

এদিকে ডিটিসিএ’র সমন্বয় সভায় জানানো হয়, ১৯৮৬-৮৭ অর্থ বছরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে অযান্ত্রিক যানবাহন হাজিরকরণ সাপেক্ষে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। সেই হিসেবে সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্সভুক্ত অযান্ত্রিক যানবাহন মাত্র ৫৮ হাজার ৭৬৭টি। তারমধ্যে রিকশা ৫২ হাজার ৭১২টি, প্রাইভেট রিকশা ২৫ টি, ভ্যান ৫ হাজার ৮৬০ টি, টালী গাড়ি ৩ টি, ঠেলা গাড়ি ৭৬ টি, ঘোড়ার গাড়ি ১৪ টি। অথচ ঢাকায় রিকশা চলছে কয়েক লাখ।

মেয়র সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন, ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক রাকিবুর রহমান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া, ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী প্রমুখ।

   

গাইবান্ধায় হেলিকপ্টারে চড়ে বউ আনলেন পোশাক শ্রমিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধায় হেলিকপ্টারে চড়ে বউ আনলেন হজরত আলী (২২) নামে এক পোশাক শ্রমিক। বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করেন তিনি।

শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে হেলিকপ্টারে করে বউ নিয়ে আসেন হজরত আলী। হেলিকপ্টারে করে বিয়ের খবরে আগে থেকেই ওই এলাকায় ভিড় ছিল উৎসুক জনতার। তবে বউ আনতে হেলিকপ্টারের শব্দে বাড়তে থাকে স্থানীয়দের ভিড়।

বর হজরত আলী সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ও বুজরুক জামালপুর গ্রামের রফিকুল আকন্দের ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।

বরের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সাদুল্লাপুর উপজেলার বুজরুক জামালপুর গ্রামের রফিকুল আকন্দ ও সালমা বেগম দম্পতির একমাত্র ছেলে হজরত আলী। ছেলে যখন ছোট তখন থেকেই রফিকুল ও সালমা বেগম নানান ছলে ছেলে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করবে বলে গল্প করতেন। পরবর্তীতে ছেলে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সত্যিই যেন হজরত আলী হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করেন, ছেলের কাছে এমন প্রত্যাশা করেন বাবা-মা এবং তারাও চেষ্টা করতে থাকেন।

বাবা-মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে বউ আনলেন গাইবান্ধার এক পোশাক শ্রমিক হজরত আলী, ছবি- বার্তা২৪.কম

অবশেষে বর হজরত আলী বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে একই উপজেলার ৫ কিলোমিটার দূরত্বের ফরিদপুর ইউনিয়নের ইসবপুর (পূর্বপাড়া) গ্রামের রেফা মনিকে (১৮) বিয়ে করে হেলিকপ্টারযোগে বাড়িতে নিয়ে আসেন। কনে রেফা মনি ওই গ্রামের এনামুল হক ও শেফালি দম্পতির মেয়ে।

নিজেদের স্বপ্ন পূরণের ছেলের এই বিয়েতে আবেগ আপ্লুত এবং উচ্ছ্বসিত বাবা রফিকুল ও মা সালমা বেগম।

জানতে চাইলে ছেলের বাবা রফিকুল আকন্দ বলেন, হজরত আলী আমাদের একমাত্র ছেলে সন্তান। ছেলের ছোট বেলা থেকেই আমাদের স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারযোগে ছেলেকে বিয়ে করাবো। আমাদের ইচ্ছা পূরণে আমরা আজ ধন্য। এসময় ছেলে এবং ছেলের বউয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চান তিনি।

অন্যদিকে, মেয়ের বিয়েতে জামাই-মেয়েকে হেলিকপ্টারে করে নিতে আসায় খুশি মেয়ের বাবা এনমামুল হক ও মা শেফালি বেগমসহ তার স্বজনেরা।

মেয়ের বাবা এনামুল হক বলেন, আমার মেয়ের যৌতুক ছাড়া বিয়েতে জামাই হেলিকপ্টারে করে এসেছে। এতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত! এটি অবশ্যই বড় স্মৃতি হয়ে থাকবে! তিনিও জামাই-মেয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চান।

 

 

;

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু কেড়ে নিল ৩ প্রাণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৪ ঘণ্টায় মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ জনে। এসময় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৯ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে দুই হাজার ২৪৮ জনে। 

শুক্রবার (৩ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা ৭ জন আর বাকি দুজন বরিশাল জেলার। মারা যাওয়া তিনজনের সবাই ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার। 

আক্রান্তদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও বাকি ৪ জন নারী।  

;

২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের করোনা শনাক্ত



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৪ জনের।

শুক্রবার (৩ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১০ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ৩৮ জনে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৪৭৮ জন। সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩৬টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৯১ হাজার ৯২৮টি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার চার দশমিক ২৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় একজন আইসোলেশনে এসেছেন এবং আইসোলেশন থেকে কেউ ছাড়পত্র পায়নি। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৫২ হাজার ৯৭৫ জন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ২৩ হাজার ৭১৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৯ হাজার ২৫৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

;

মৌলভীবাজারে সিসিমপুর শিক্ষামেলা, শিশুদের উচ্ছ্বাস



Mansura chamily
মৌলভীবাজারে সিসিমপুর শিক্ষামেলা, শিশুদের উচ্ছ্বাস

মৌলভীবাজারে সিসিমপুর শিক্ষামেলা, শিশুদের উচ্ছ্বাস

  • Font increase
  • Font Decrease

মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে দুইদিনের সিসিমপুর শিক্ষামেলা। শুক্রবার সকালে বর্ণাঢ্য শিক্ষামেলার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বর্ণালী পাল। ইউএসএআইডি'স সিসিমপুর প্রকল্পের আয়োজনে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

সিসিমপুর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিক্ষামেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মাসুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন চৌধুরী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন আরডিআরএস বাংলাদেশ- সিসিমপুর প্রকল্প সমন্বয়কারী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ও উপজেলা শিক্ষা সমন্বয়কারী ফারজানা ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, যেকোনো মেলার চেয়ে সিসিমপুর শিক্ষামেলার আবেদন শিশুদের কাছে অন্যরকম। এ মেলায় এসে শিশুরা আনন্দের সাথে শিখতে পারছে নিত্য-নতুন নানান বিষয়।

দু'দিনের সিসিমপুর শিক্ষামেলায় আয়োজনের মধ্যে থাকছে শিশুদের খেলা-পড়া-লেখা-আঁকা, পর্দায় সিসিমপুর ভিডিও প্রদর্শনী, সিসিমপুর লাইভ শো, বায়োস্কোপে শিখন ও আনন্দযোগ, ম্যাজিক শো, ছবি, বর্ণ ও শব্দের খেলা, প্রশ্নোত্তরে সাধারণ জ্ঞান, শিশুদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজন, সিসিমপুর পাঠাগারভিত্তিক কার্যক্রম, পুরস্কার বিতরণসহ নানান আয়োজন।

উল্লেখ্য, মাসব্যাপী প্রতি শুক্র ও শনিবার জেলার মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কুলাউড়া উপজেলা এবং হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ও মাধরপুর উপজেলায় সিসিমপুর শিক্ষামেলা অনুষ্ঠিত হবে।

;