বঙ্গবন্ধুর দেশে ধর্ম নিয়ে সহিংসতা হতে পারে না: আরেফিন সিদ্দিক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, ‘উগ্রবাদ নিয়ে কতটা চিন্তা করছি এটা বড় বিষয়। মুক্তিযুদ্ধে এ দেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবার রক্ত একই স্রোতে প্রবাহিত হয়েছে। তাই বঙ্গবন্ধুর দেশে ধর্মের নামে সহিংসতা হতে পারে না।’
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সম্প্রীতি প্রকল্পের মাধ্যমে অর্জিত অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সহিংস উগ্রবাদ থেকে যুব সমাজকে প্রতিরোধে সুধি সমাজের করণী‘ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি। কর্মশালাটির আয়োজন করে সম্প্রীতি, ভাফুসড ও মানুষের জন্য- নামক কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘মাদার তেরেসা শান্তির জন্য কাজ করেছেন। মাদার তেরেসা সহিংসতার কথা শুনলে, সেখানে যেতেন না। শান্তির কথা শুনলে সেখানে যেতেন। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আডার্ন জঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে প্রসংশিত। তিনিও একবারের জন্য সংহিস বা উগ্রবাদ কথাটি মুখে নেননি।’
বাংলাদেশকে নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের বক্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘জলাবায়ু মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সারা পৃথিবীর শিক্ষক বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। বাংলাদেশকে সহিংসতা প্রতিরোধেও সারা পৃথিবীর শিক্ষক হতে হবে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানুষকে সবসময় আত্মশুদ্ধির পথে থাকতে বলতেন। প্রতিদিনই মানুষকে বিশুদ্ধ করতে বলতেন। মহত্ব নির্ভর করে গতকাল যতটা ভালো ছিলাম, তার চেয়ে বেশি ভালো কাজ করেছি কি-না এটার উপর।’
ঢাবির সাবেক এই উপাচার্য বলেন, ‘বরগুনার ঘটনায় লজ্জায় মাথা নত হয়ে যায়। এদেশে এসব হতে পারে না। শুরু করতে হবে যারা স্কুলে পড়ছে, তাদের নিয়ে । শিক্ষা দিয়ে সহিংসতা ও উগ্রবাদ প্রতিরোধের কাজটা শুরু করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করতে হবে।’
‘বঞ্চিত মানুষ সহিংসতার দিকে চলে যায়। বঞ্চিত মানুষকে নিয়ে কাজ করতে হবে। বঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য কাজ করে যেতে হবে। কেউ যেন মনে না করে তারা সমাজ, রাষ্ট্র থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন ভলান্টারি অ্যাসোসিয়েশন ফর ফ্যামেমি ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট (ভাফুসড) এর নির্বাহী পরিচালক ড. আব্দুল কাইয়ূম।