চার কারণে এসিড সন্ত্রাস কমেছে বাংলাদেশে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
এএসএফ'র অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা

এএসএফ'র অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে চার কারণে এসিড সন্ত্রাস কমেছে বলে জানিয়েছে এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন (এএসএফ)।

সোমবার (২২ জুলাই) রাজধানীর তোপখানা রোডে সিরডাপ মিলনায়তনে এ নিয়ে আয়োজিত অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় নিজেদের পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে সংস্থাটি। প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ইতিবাচক চর্চা এবং সম্ভাব্য কৌশলসমূহ’।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাস সদস্য অ্যারোমা দত্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আইনুল কবীর ও ঢাকায় নিযুক্ত ইউএনডিপির মানবাধিকার কর্মসূচির চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার শর্মিলা রসুল।

এএসএফের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মাসুদ আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় যৌথভাবে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এএসএফের নির্বাহী পরিচালক সেলিনা আহমেদ ও প্রধান গবেষক ফজিলা বানু লিলি। গত অক্টোবর ২০১৮ থেকে জুলাই ২০১৯ পর্যন্ত ইউএনডিপির মানবাধিকার কর্মসূচির সহায়তায় এ গবেষণা পরিচালিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে এসিড আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে আনতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রধানত চারটি বিষয় কাজ করেছে। গবেষণা পরিচালনাকালে সাক্ষাৎকার প্রদানকারীদের দেওয়া তথ্য মতামতের ভিত্তিতে এটা প্রতীয়মান হয়। প্রথমত, তাদের ৬২ শতাংশ বলেছেন, এসিড নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০২ এবং এসিড অপরাধ প্রতিরোধ আইন ২০০২ এসিড সন্ত্রাস কমিয়ে আনতে মূল ভূমিকা পালন করেছে। দ্বিতীয়ত, ৭০ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ সাক্ষাৎকার প্রদানকারী মতে, গণমাধ্যমের ভূমিকা ও বিভিন্ন প্রচারাভিযান এসিড সন্ত্রাস কমিয়েছে। তৃতীয়ত, ৩৭ শতাংশের মতে, নারী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এ ক্ষেত্রে। চতুর্থত, এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের কার্যকর ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ, প্রচারাভিযান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম এসিড সন্ত্রাস কমাতে অনন্য ভূমিকা রেখেছে।

অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায়, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্সের কথা উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যারোমা দত্ত বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেক দৃঢ় এবং প্রত্যয়ী। গবেষণার ফলাফল বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করার জন্য এএসএফের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়ে যারা জীবনযুদ্ধে লড়েন, তারা কী বেদনা নিয়ে বেঁচে থাকেন তা সমাজকে অনুধাবন করতে হবে।

এই ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠীকে যোদ্ধা আখ্যায়িত করে তাদের সহায়তায় এবং এসিড সন্ত্রাস নির্মূলে সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ার তাগিদ দেন অ্যারোমা দত্ত।

অতিরিক্ত সচিব আইনুল কবীর বলেন, সরকার নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ সহিংসতা নির্মূলে কিশোর-কিশোরীদের নৈতিক শিক্ষায় গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

ইউএনডিপি প্রতিনিধি শর্মিলা রসুল বলেন, সাসটেইনঅ্যাবল উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন করতে হলে নারী-পুরুষ সমতা অর্জন করতে হবে। সহিংসতা কমিয়ে আনতে হবে। আর এটা করার জন্য এসডিজি স্বাক্ষরকারী হিসেবে বাংলাদেশের একটা বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এএসএফের নির্বাহী পরিচালক সেলিনা আহমেদ বলেন, গণমাধ্যমের ভূমিকার ধারাবাহিকতা, পরিবারে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের দ্রুত সাড়া, পুরুষদের কার্যকর অংশগ্রহণ, ক্ষমতাবানদের চাপ মোকাবেলার মত আইন প্রণয়ন এসিড সহিংসতা নির্মূলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন (এএসএফ)। জন্মলগ্ন থেকেই এসিড সহিংসতা প্রতিরোধ, এসিড সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা প্রদান, আইনি সহায়তা ও পুনর্বাসন এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবন প্রতিষ্ঠা ও এসিড সন্ত্রাস নির্মূলের লক্ষ্যে সারা দেশে সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে একযোগে কাজ করছে সংস্থাটি।

   

র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক ফিরোজ, নিজ বাহিনীতে ফেরত যাচ্ছেন আরিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলিট ফোর্স র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক (সিও) হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর। তিনি লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ফিরোজ তার দায়িত্ব বুঝে নিবেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) র‍্যাব সদরদফতরের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ নিজ বাহিনীতে (সেনাবাহিনী) ফেরত যাচ্ছেন। তিনি র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দুবছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। মেধাবী ও সৎ অফিসার হিসেবে পরিচিত এই সেনা কর্মকর্তা ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দালাল বিরোধী অভিযান, মাদক-অস্ত্র উদ্ধার, খাদ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যাপক অভিযান চালান। যা ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

এদিকে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া ফিরোজ কবীর সর্বশেষ র‍্যাব-৬'এর দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি তাকে বদলি করে র‍্যাব সদরদফতরে আনা হয়। গত মে মাসে তিনি র‍্যাব-৬'র অধিনায়কের দায়িত্ব পান। ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর পুলিশ সপ্তাহে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক- বিপিএম পান।

অন্যদিকে ১৮ এপ্রিল র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনকে নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। তার জায়গায় নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। গত বুধবার আরাফাত তার বুঝে নেন। আর র‍্যাব-১৩'র অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার কামরুল হাসান।

রাজধানীর ব্যাংক পাড়া খ্যাত মতিঝিল, মুগদা, শাহ্জাহানপুর, পল্টন, খিলগাঁও, সবুজবাগ, রামপুরা, হাতিরঝিল, শাহবাগ ও রমনা থানা মিলে র‍্যাব-৩ এর আওতাধীন এলাকা। 

;

লামায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে পাহাড়ি সন্ত্রাসী আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দারবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের লামা উপজেলায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে বন্দুকসহশ জুয়েল ত্রিপুরা (২৮) নামের এক পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি নাইক্ষ্যংমুখ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক জুয়েল ত্রিপুরা(২৮) হলেন অনজাহা ত্রিপুরার ছেলে । সে লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের লুলাইং এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুরে জুয়েল ত্রিপুরা সহ আরও দুই জন সংঘবদ্ধ হয়ে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম নাইক্ষংমুখ এলাকায় বন্দুকের ভয় দেখিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিল। সেই সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনীর টহল দল দেখতে পেয়ে বিষয়টি অবহিত করে। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল হাতেনাতে জুয়েল ত্রিপুরা কে আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করেন। এর আগে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য দুই জন পালিয়ে যায়।

এই বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম শেখ বলেন, এ ঘটনায় আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

নরসিংদীতে অতি গরমে প্রবাসীর শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল চাঁনপুরে অতি গরমে এক প্রবাসীর দেড় বছরের এক শিশু মারা গেছে। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের সওদাগর কান্দি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় চাঁনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিশুর নাম ইয়াসিন। সে রায়পুরা উপজেলার সওদাগর কান্দি এলাকার প্রবাসী এনামুল হকের ছেলে।

নিহত ইয়াছিনের নানা বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নাতীসহ মেয়ে নরসিংদী শহরের বাসাইলস্থ ভাড়া বাসা থেকে আমাদের গ্রামের বাড়ি সওদাগর কান্দিতে নিয়ে আসি। আর আজই আমার নাতিটা মারা গেলো। 

তিনি আরও জানান, দুপুর সোয়া ২টার দিকে ইয়াসিন তার মায়ের সাথে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত গরমে মাটিতে শুয়ে পড়ে। পরে তাকে সওদাগর কান্দি ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাব সেন্টারের নিয়ে গেলে দায়িত্বরত ফার্মাসিস্ট মিজানুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় মিজানুর রহমান জানান, শিশু ইয়াছিনকে তার কাছে আনার আগেই মারা গেছে। যারা নিয়ে এসেছে তাদের ভাষ্যমতে অতি গরমে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। 

 

 

 

;

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরব আমিরাতের ৯০ হাজার দিরহামসহ শারজাহগামী এক যাত্রীকে আটক করেছে এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। উদ্ধার মুদ্রা ২৩ হাজার ৬৮৪ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিমানবন্দর টার্মিনালের আন্তর্জাতিক অ্যান্টি হাইজ্যাকিং গেইটে তল্লাশি এসব মুদ্রাসহ তাকে আটক করা হয়।

আটক যাত্রীর নাম মোহাম্মদ কায়সার হামিদ৷ তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা। রাত সোয়া আটটার এয়ার এরাবিয়া জি৯-৫২১ ফ্লাইট যোগে শারজাহ গমনিচ্ছুক ছিলেন হামিদ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন- বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।

তিনি জানান, বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে পতেঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করছে। উদ্ধার করা বিদেশি মুদ্রাগুলো শুল্ক গোয়েন্দার মাধ্যমে বিমানবন্দর কাস্টমসের নিকট হস্তান্তর করা হবে, যা পরবর্তীতে সরকার কর্তৃক জব্দ হবে।

তিনি আরও জানান, যাত্রী বৈদেশিক মুদ্রা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণ (১ বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ইউএস ডলার বা এর সমমূল্যের অন্য কোনো বৈদেশিক মুদ্রা) এর বেশি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করায় তার নিকট হতে প্রাপ্ত সমুদয় বৈদেশিক মুদ্রা যাত্রীসহ আটক করা হয়।

;