বিদ্যুতের খুঁটি পোতা নিয়ে দ্বন্দ্বে ৪ ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা!



স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
এই খুঁটি পোতা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

এই খুঁটি পোতা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুরের ভাটাপাড়া এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি পোতা নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে চার ভাইয়ের নামে মামলা দায়ের করেছেন তাদের প্রতিবেশী। মামলায় বাড়িতে লুটপাট ও ১০ লাখ টাকা ডাকাতির অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার বাদী আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়ায় পুলিশ ঐ মামলায় আসামিদের ডেকে নিয়ে প্রতিদিন হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মামলার আসামিরা হলেন- নগরীর ভাটাপাড়ার কাদির মণ্ডলের মোড় এলাকার শাহিন হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মো. মাহিনুর ও আব্দুল সালাম। মামলার বাদী তাদেরই প্রতিবেশী নূর আলম।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৩ জুলাই শাহিন হোসেনের বাড়ির সামনের গলিতে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন খুঁটি পোতার জন্য আসেন। তবে সেখানে জোরপূর্ব খুঁটি পুঁততে বাধা দেন শাহিন ও তার ভাইয়েরা। ঐ সময় নূর আলমের পরিবারের সদস্যরা সেখানে খুঁটির পোতার পক্ষে মত দিলে শাহিন ও তার তিন ভাই বাদীর বাড়িতে গিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর চালান এবং বাড়িতে থাকা নগদ ১০ লাখ টাকাসহ অন্যান্য দামি জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যান।

তবে অভিযোগের বিষয়ে মামলার প্রধান আসামি শাহিন বলেন, ‘ঐ খুঁটি পোতা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে, এটা সত্য। এরপর তারা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করলে আমার ছোট ভাই রাগের বশে এক টুকরো ইট নিয়ে তাদের বাড়ির দিকে ছুঁড়ে মারে। তাতে নূর আলমের বাড়ির একটি কক্ষের কাঁচ ভেঙে যায়। এর বেশি আর কিছুই হয়নি।’

জানতে চাইলে নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদৎ হোসনে বলেন, ‘কেউ মামলা করলে নেওয়াটা আমাদের দায়িত্ব। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি মামলা মিথ্যা হয়, তবে সেভাবে প্রতিবেদন করা হবে। আর যদি সত্যতা পাওয়া যায়, তবে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে। পুলিশ কাউকে বিনা কারণে হয়রানি করবে না।’

   

দেশি পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরও এক শ্রেণির অসাধু চক্র পণ্যটি নিয়ে কারসাজি করেছে। আমদানির পর সরবরাহ বাড়লে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমার কথা।

কিন্তু, দেশির দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা বিক্রির টার্গেট করা হচ্ছে। যা বর্তমানে কেজিপ্রতি ৬০-৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মাসখানেক আগে বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পেঁয়াজের দাম যাতে অযৌক্তিকভাবে বাড়াতে না পারে সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হয় পণ্যটি কিনে প্রতারিত হবেন ভোক্তা।

এদিকে আমদানিকারকরা বলছেন, ভারত থেকে প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। যে কারণে দেশি টাকায় প্রতি কেজির দাম ৭০ টাকা পড়তে পারে। পাইকারিতে ৭৫-৮০ টাকা ও খুচরায় মূল্য কিছুটা বেড়ে ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হবে। তাই ভারতের পক্ষ থেকে রপ্তানি মূল্য আরও কমানো দরকার ছিল। কারণ ভারতে এবার অনেক পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে।

রবিবার (৫ মে) রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার, শান্তিনগর কাঁচা বাজারসহ একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এদিন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। যা ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির খবরের আগে আগে (দুদিন আগে) ৬৫-৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

আর এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৫৮-৬০ টাকা। যা এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকায়।

নয়াবাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. ইসমাইল বলেন, পাইকারি বাজারে বড় বড় ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম নিয়ে ফের কারসাজি করছে। ভারত থেকে রপ্তানির খবরে দাম কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা কমায় খুচরা পর্যায়ে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু, তারা যখন হিসাব করে দেখেছে প্রতি কেজি ভারতের পেঁয়াজ আমদানি খরচ ৭০ টাকা।

আর পাইকারি বাজার হয়ে খুচরা বাজারে আসতে সেই পেঁয়াজের দাম প্রায় ৯০ টাকার মতো হয়, ঠিক তখন থেকে দেশি পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করতে উঠে পড়ে লেগেছে। তারা এখন থেকেই বলছে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাবে। তাই মোকাম থেকে এখন থেকেই বেশি করে কিনতে বলছে।

তারা এটাও বলছে, পরে দেশি জাতের দাম পাইকারি পর্যায়ে দাম ৮০-৮৫ টাকার উপরে হয়ে যাবে। যা রোববারও ৫৫-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি জানান, ভারতের পেঁয়াজ আমদানি করতে যদি বেশি টাকা লাগে, তবে সেই পেঁয়াজ পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বেশি দামে বিক্রি হবে। এটাই হওয়ার কথা। কিন্তু, বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে ৫৫-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই পেঁয়াজ কী করে পাইকারি বাজারে ৮০-৮৫ টাকা বিক্রি করবে? একই পেঁয়াজের দাম কী করে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা বেশি হয়ে যাবে? সব তাদের কারসাজি। আমদানি পেঁয়াজের সঙ্গে মার্কেট প্রাইজ ধরে রেখতে তারা দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা করতে ছক তৈরি করেছে। পাইকরি পর্যায়ে ৮০-৮৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হলে খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার উপরে বিক্রি হবে। মনে হচ্ছে এটাই তারা টার্গেট করেছে। যা অযৌক্তিক। প্রশাসনের নজর দিতে হবে।

রাজধানীর কাওরান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে এতদিন বৈধ পথে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ছিল। তাই দেশি পেঁয়াজ দিয়ে সরবরাহ ঠিক রাখতে হয়েছে। তবে ভারতের পেঁয়াজের দাম বেশি।

প্রতি টন ৫৫০ ডলার রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে সেই পেঁয়াজ দেশের পাইকারি বাজারে ৭৫-৮০ ও খুচরা পর্যায়ে ৮০-৯০ টাকা বিক্রি হওয়ার কথা। তাই মনে হচ্ছে ভারতের পেঁয়াজের সঙ্গে দেশি পেঁয়াজের দামও বাড়বে।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, যে পণ্যের যে দাম সেভাবেই বিক্রি হওয়ার কথা। তবে দেশে ভিন্ন চিত্র। কোনো পণ্যের আমদানি মূল্য বেশি থাকলে সঙ্গে সঙ্গে দেশে বাড়তি মুনাফা করতে উৎপাদিত পণ্যের দামও বাড়িয়ে বিক্রি করা হয়। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে যেন এমনটা না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। মনিটরিং জোরদারের পাশাপাশি কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

এদিকে শনিবার (৪ মে) কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ বাজারে পরিদর্শন শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, আগামী ঈদুল আজহার আগেই পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকার মধ্যে চলে আসতে পারে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ায় এ সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, লোকবল বৃদ্ধি ও আইনের সংস্কার হলে ভোক্তা অধিদপ্তর জনগণের উপকারে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারবে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর থেকে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে। সেই সময়ের ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ মার্চ পর্যন্ত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে মেয়াদ শেষের আগেই গত ২৩ মার্চ পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকাল বন্ধের ঘোষণা দেয় ভারত। তখন দেশে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ ছাড়িয়ে বিক্রি হয়।

তবে এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত গত ফেব্র“য়ারিতে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েক দেশে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ বিক্রির অনুমোদন দেয়। এছাড়া দেশীয় উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করলে দাম কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকায় নেমে যায়। পরে সরবরাহে ঘাটতির অজুহাতে ফের খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে।

;

সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে : পরিবেশ মন্ত্রণালয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমোরবুনিয়ায় আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। আগুন গাছের ওপরে বা ডালপালায় বিস্তৃত হয়নি, শুধু মাটির ওপরে বিক্ষিপ্তভাবে বিস্তৃত হয়েছে।

ঘটনাস্থলে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট, নৌবাহিনী, পুলিশ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সিপিজি, স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনগণ অগ্নিনির্বাপণে কাজ করছেন।

এ ছাড়া বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারও অগ্নিনির্বাপণে ওপর থেকে পানি ছিটিয়ে সহায়তা করেছে।

সুন্দরবনের আগুনের বিষয়ে রবিবার (৫ মে) পাঠানো এক বিবৃতিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এসব কথা জানিয়েছে।

বন বিভাগের কর্মীরা স্থানীয় কমিউনিটি প্যাট্রোলিং গ্রুপ, ভিলেজ টাইগার রেসপনস টিম এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় আগুন লাগার চারপাশে ‘ফায়ার লাইন’ (আগুন নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ রাখতে চারদিকে নির্দিষ্ট গভীরতায় ভূমি খনন) কাটার কাজ শুরু করেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগুন লাগার স্থানের চারদিকে প্রায় পাঁচ একর জায়গাজুড়ে ফায়ার লাইন কেটে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। তবে যেহেতু গাছের শিকড়ের মধ্য দিয়ে বিস্তৃতি লাভ করছে, কাজেই সতর্কতার সঙ্গে আগুন নেভাতে হচ্ছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আগামী কয়েক দিন এখানে অগ্নিনির্বাপণ-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চলমান রাখা হবে। কেননা, আগুন আপাতত নিভে গেছে বা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে মনে হলেও আবার যেকোনো সময় এটি নতুনভাবে সৃষ্টি ও বিস্তৃতি লাভ করতে পারে।

আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ নির্ণয়ে তদন্তের জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ সুন্দরবনের অগ্নিনির্বাপণ কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিকভাবে তদারকি ও সমন্বয় করছেন। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অবহিত আছেন এবং তিনি নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন।

;

ঝড়ে ভেঙ্গে পড়া গাছ একাই সরালেন ট্রাফিক সার্জেন্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর জুড়ে বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ছিল বেশ ভারী বাতাস।

ঝড় বৃষ্টির মধ্যে কাকরাইল মসজিদ থেকে মৎস্য ভবন যাওয়ার পথে একটি গাছ ভেঙে পড়ে যায়।

ভেঙ্গে যাওয়া গাছ ও ডালপালা একাই সরালেন এই সড়কে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট জাফর ইমাম।

রবিবার (৫ মে ) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের গাছটি পড়ে যাওয়ার কারণে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে যান চলাচলের প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আশপাশ এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।

পরে ঘটনাস্থলে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট জাফর ইমাম মৎস্য ভবন থেকে এসে ডালপালা সরিয়ে রাস্তা চলাচল স্বাভাবিক করেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট জাফর ইমাম বলেন, ‘ঝড় বৃষ্টির মধ্যে মানুষ পাগলের মত তাদের গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এর মধ্যে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয় পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি একটি গাছ পড়ে আছে। ঝড় বৃষ্টির মধ্যে আমি একা ডালপালা ও গাছটি সরানোর চেষ্টা করি।’

;

৭২ ঘণ্টার জন্য ১৪৮ উপজেলায় বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট উপলক্ষ্যে ৭২ ঘণ্টার জন্য ১৪৮ উপজেলায় মটর সাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতিমধ্যে সংস্থাটির নির্দেশনায় প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

রবিবার (৫ মে) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সহকারি সচিব মো. জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি সংশ্লিষ্ট সকলকে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৩২ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ৭ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৮ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিক আপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

এদিকে ৬ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৯ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটর সাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসন ইত্যাদি প্রয়োজনে বাস্তবতার নিরীখে ও স্থানীয় বিবেচনায় উল্লিখিত যানবাহন ছাড়াও উক্তরূপে যেকোনো যানবাহন চলাচলের উপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে।

এ নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।

এছাড়া, নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন-এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

জাতীয় মহাসড়ক (Highways), বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারবেন।

যানবাহনসমূহ চলাচলের উপর বর্ণিত সময়সূচি অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপের জনসংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

;