একান্ত সাক্ষাৎকার

বিশ্বাসী পুলিশ তৈরি করতে চাই: ডিআইজি



জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান

পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আমাকে সহযোগিতা করুন। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, পুলিশের আইজি ড. জাবেদ পাটোয়ারী স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক আপনাদের উপহার দেব সুন্দর বাসযোগ্য পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ। আজ আইজি স্যারের নেতৃত্বে নতুন দিগন্তে প্রবেশ করেছে পুলিশ বাহিনী। সততা, জবাহদিহিতা, স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

পুলিশে কনস্টেবল পদে নিয়োগে এবার বজায় রাখা হয়েছে শতভাগ, স্বচ্ছতা আর নিরপেক্ষতা। যার ফলশ্রুতিতে আগামী দিনে পুলিশ বাহিনীতে সূচনা করবে নতুন ধারার। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি আইজি স্যারের সুদৃঢ় নেতৃত্বে গুজব প্রতিরোধে ৬৪ হাজার গ্রাম, শহর বন্দরে আজ কাজ করছে পুলিশ।

আমার মিশনই হচ্ছে, দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন। যেখানে অপরাধীরাই থাকবে আতঙ্কে আর নিশ্চিত করা হবে জনসাধারণের নিরাপত্তা।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটিই বলছিলেন, সদ্য যোগ দেওয়া পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান।

পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (প্রশাসন) থেকে গত ২২ মে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি পদে যোগ দেন তিনি।

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার পদে কাজের সুবাদেই দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। সাভারে বেদে পল্লীর সমাজ ব্যবস্থা উন্নয়নে থেকে শুরু করে স্কুল, কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার, গাড়ি চালনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বুটিক হাউসসহ নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে তাদের আত্ন কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বেদে পল্লীর অভিশপ্ত বাল্য বিবাহ রোধেও তার ভূমিকা প্রশংসিত হয় দেশে -বিদেশে। নিজের প্রতিষ্ঠিত উত্তরন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সুবিধা বঞ্চিত ও অবহেলিত পিছিয়ে পড়া হিজড়া  জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘উত্তরণ কর্ম-সংস্থান প্রশিক্ষণ’ কর্মসূচি চালু করেন এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের জীবনমান উত্তরণ,তাদের পূর্নবাসন ও মানুষ হিসেবে তাদের সামাজিক মর্যাদা সমুন্নোত করতে সাড়া জাগানো বেশ কিছু পদক্ষেপ নেন। যে কারণে এই দুই জনগোষ্ঠির কাছে তার পরিচয় মানবতার ফেরিওয়ালা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/29/1564403674401.jpg

ওই সময়ে তার উদ্যোগে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। রাজারবাগে প্রতিষ্ঠিত এই যাদুঘর ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ উম্মুক্ত করে দেয়া হয় সর্বসাধারণের জন্য।বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর অবদান ও ঢাকায় তাদের প্রথম প্রতিরোধ নিয়ে “মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ” নামের একটি বই-ও লিখেছেন হাবিবুর রহমান।

 

গোপালগঞ্জের চন্দ্র দিঘলিয়া গ্রামে ১৯৬৭ সালে জন্ম।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউট থেকে  স্নাতোকোত্তর  হাবিবুর রহমান ১৭তম বিসিএস দিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে পুলিশে যোগদানের পর থেকেই কর্মক্ষেত্রে নিজের মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখেন। সাহস, সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার জন্য তিনি তিনবার বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং  রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন দু’বার।

পেশাগত ও মানবিক কাজের বাইরে সফল ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

ঢাকা রেঞ্জের কার্যালয়ে পা রাখতেই পরিবর্তনের দৃশ্যপট। ডিআইজির আগের অফিস কক্ষের ডেকোরেশন ভেঙ্গে আধুনিক ও সুসজ্জিত করা হচ্ছে অফিসের পরিবেশ।

‘এই যে পরিবর্তন দেখছেন তা কিন্তু কেবল আমার অফিসেই নয়, এটা ছড়িয়ে পড়বে রেঞ্জের সকল থানায়। পরিবর্তন আসছে সেবার ধরন আর মানসিকতায়। যে পরিবর্তনটা পুলিশের প্রতি আস্থা আরো বাড়িয়ে দেবে। থানায় প্রবেশ করলে ওয়েলকমিং অ্যাপ্রচটাই থাকবে অন্যরকম’। বলছিলেন,ডিআইজি হাবিবুর রহমান,বিপিএম(বার), পিপিএম(বার)।

দায়িত্ব নেওয়ার সূচনাতেই কোন বিষয়গুলোর প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন?

‘পুলিশকে প্রকৃত অর্থেই জনগণের বন্ধু হিসেবে গড়ে তোলা। জনগণ যাতে পুলিশের উপর পূর্ণাঙ্গ বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে পারে, সেরকম বিশ্বাসী পুলিশ গড়ে তোলা।সকলের প্রতি এটাই আমাদের প্রধান বার্তা।যেটা আমরা  ইতোমধ্যে সকলকে পৌঁছে দিতে আমরা সক্ষম হয়েছে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে পুলিশ সদস্যদের জনমুখী, স্বচ্ছ, জবাবদিহি এবং সৎ হিসেবে গড়ে তোলা’।

এত কড়া বার্তা,নানা উদ্যোগ।তারপর-ও তো কতিপয় সদস্যের নেতিবাচক কার্যক্রম বাহিনীর মর্যাদা ক্ষুন্ন করে।তাদের বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিটা কেমন?

দেখুন,সবাই তো এই দেশেরই মানুষ।তবে আমি মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে যেখানে পুলিশ সমান সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে, সেখানে সততার সাথে নিজের দায়িত্ব পালন করে অন্যকেও সৎ রাখার জন্য কিন্তু যথেষ্ট।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/29/1564403688105.jpg

যে ধরনের পুলিশিং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন,রাজনৈতিক প্রভাবের মুখোমুখি হতে হয়নি কখনো?

একেবারেই না। এটা সত্য।অনেকেই কাজ করতে গিয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। তবে আশার কথা হচ্ছে,আমি কিন্তু সেই পরিস্থিতি তাদের অনুকূলে এনে দিয়েছি।

যখন সরকার গণতান্ত্রিক এবং রাজনৈতিক।তখন আমি বলবো না কাজ করতে গিয়ে কোন রাজনৈতিক প্রভাব তৈরি হয়। বরং  বলতে চাই, রাজনৈতিক ভাবে কিছু ডিমান্ড তৈরী হয়  কিংবা হয়ে  থাকতে পারে। তবে আমি চেষ্টা করি  সেটা যাতে যৌক্তিক পর্যায়ে থাকে।

সেটার জন্য কোথাও যাতে বঞ্চনার তৈরি না হতে পারে। দল-মত নির্বিশেষে সেটা কিন্তু দেখার দায়িত্ব আমার।

পুলিশের পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা উন্নয়নে কোন বিষয়টিতে  অগ্রাধিকার দিচ্ছেন ?

আইন তো বইয়ে লেখা থাকে। কিন্তু সেটা যারা প্রয়োগ করবেন, তাদের যদি মানবিক বা পেশাদারিত্বে দক্ষতা উন্নয়ন না হয়, তাহলে কিন্তু কোন লাভ নেই।

সেজন্য পুলিশ সদস্যদের আগে নিজেদের সচেতন হতে হবে।পাশাপাশি মানসিকতা পরিবর্তন জরুরি। আর সেই লক্ষ্যেই আমি কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমি চেয়েছি, আমার অফিসাররা আগে নিজে সচেতন হোক। জ্ঞান সমৃদ্ধ হোক এবং নিজেদের জানাশোনা পর্যায়টা আরো বিস্তৃতি লাভ করুক। তবেই তারা অন্যকে সচেতন করতে পারবে এবং তৃণমূলে আইন প্রয়োগের বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে পারবে।

ইতিমধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার সার্কেল অফিসারদের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে সকল থানার ওসিদেরকে-ও এই প্রশিক্ষণ নিতে হবে। অফিসার ইনচার্জ পর্যায়েই প্রশিক্ষণটা কিন্তু আগে ছিল না। আমি দায়িত্ব নেবার পর সেটার উপর বেশি জোর দিয়েছি এবং প্রথমবারের মতো এখানে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/29/1564403703082.jpg

এসব প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু গুলো কি?

প্রশিক্ষণে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে আইন, সততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা আর মানবাধিকারের বিষয়ে।

বাংলাদেশি ক্রিমিনাল জুডিশিয়াল যে  সিস্টেম রয়েছে, সেখানে পুলিশি কিন্তু গেটওয়ে।

আপনারা জানেন, একটি অপরাধ সংঘঠনের পর মামলার তদন্ত থেকে মামলার সাক্ষী হাজির করা। এভাবে বিচারের রায় পর্যন্ত পুলিশের ভূমিকা রয়েছে।

বলতে পারেন,পুলিশের কাজের জন্য যে বিষয়গুলো প্রয়োজন তার সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে প্রশিক্ষণ সূচীতে।

পাশাপাশি অপরাধ সংগঠন থেকে  অপরাধীকে আইনের হাতে সোপর্দ করে  ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি জোর দেয়া ব্যবহারের বিষয়ে। থানায় আসা জনসাধারণের সাথে কি ধরনের ব্যবহার করতে হবে সে বিষয়টিও প্রশিক্ষণ সূচীতে অন্তভূক্ত করা হয়েছে।

আপনার এসব পদক্ষেপের সাথে যারা তাল মেলাতে পারবে না,তাদের কি হবে?

আমার এখানে কাজ করতে হলে,কিভাবে করতে হবে, কিভাবে চলতে হবে- সেটা তাদের আমি আগেই বলে দিয়েছি। আমার বিশ্বাস,আমাকে কোন ব্যবস্থা নিতে হবে না। আমার কাজের সাথে যারা তাল মেলাতে পারবে না তারা একাই চলে যাবে।

ঢাকা রেঞ্জে  কাজের চ্যালেঞ্জ কেমন?

যেহেতু রাজধানী পরিবেষ্টিত পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ। সে  হিসেবে এর গুরুত্ব অনেক।এই রেঞ্জের মধ্যেই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাড়ি। সুতরাং এটি একটি বড় বিষয়।  আমাদের জাতীয় স্মৃতিসৌধ,টুঙ্গীপাড়ায় বাঙালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধীসৌধসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা  ছাড়াও আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু তৈরি হচ্ছে এই রেঞ্জে। তাই রেঞ্জের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে অনেক কিছুই।

অন্যদিকে রাজধানী পরিবেষ্টিত হওয়ায় ঢাকার অপরাধের ধরণ মাল্টি টাইপ। এ ধরনের  ক্রাইম সংঘটিত হলে সেটার রেশ  কিন্তু গিয়ে পড়ে পাশ্ববর্তী জেলাগুলোতে। এ রেঞ্জের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ঠিকঠাক রাখার পাশাপাশি  আবার মেট্রোপলিটন পুলিশ কে সাপোর্ট দেওয়াটাও কিন্তু আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

বর্তমানে আপনার রেঞ্জের কাজের গতি কেমন?

একটা সিস্টেমের মধ্য দিয়ে এখানকার কাজগুলো পরিচালিত হয়। আমার লক্ষ্য কাজের  এই  গতিকে আরো বাড়িয়ে দেয়া।  সেটাই আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

পূর্ববর্তী কর্মকর্তা হিসেবে আমি  স্থলাভিষিক্ত হয়েছি, চৌধুরি আব্দুল্লাহ আল মামুন স্যারের। তিনি অনেক ভালো কাজ করে গেছেন। রেঞ্জের কার্যক্রমকে একটি সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসার বিষয়ে অনেক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। যা আমার কাজকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। এই ধারাকে স্থায়িত্ব করার পাশাপাশি আরও কি করে গতিশীল এবং ত্বরান্বিত করা যায়, কি করে পুলিশকে আরো জনমুখী এবং জনবান্ধব  করা যায়-  সে বিষয়েই আমি কাজ করছি।এ ক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত সুবিধাটা হচ্ছে, এখানে যারা অফিসার আছেন তাদের বেশিরভাগই আমার অত্যন্ত পরিচিত।আশিভাগ অফিসার ইনচার্জ আমার পূর্ব পরিচিত। এদের সবাই আমার চেনা জানার গণ্ডিতে। এটা না থাকলে নতুন পরস্পরকে চিনতে এবং জানতেই বেশ সময় চলে যায়।সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমি জানি, কাকে দিয়ে কোন কাজটা ভাল ভাবে করানো যায় এবং কে কোন জায়গায় সে যোগ্য।

   

হাসপাতালের এক্সরে মেশিন নষ্ট, ভোগান্তিতে রোগীরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরের ১০০ শস্যাবিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে হাত এক্সরে করাতে এসে মমতা বেগম শুনেন, সরকারি হাসপাতালে এক্সরে মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। বাইরের হাসপাতালে এক্সরে করাতে বেশি টাকা লাগে যা বহন করা কষ্টসাধ্য।

হাসপাতালটিতে এক্সরে মেশিন টানা ২০ দিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় সেবা-বঞ্চিত হচ্ছেন কয়েকশত মানুষ৷ বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ফি দিয়ে প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্সরে করছেন রোগীরা। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন শহর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ২০০ মানুষ চিকিৎসা নিতে আসেন এ হাসপাতালে। একদিনে দুর্ঘটনাসহ হাত-পা ভাঙা নিয়ে চিকিৎসা করাতে আসেন গড়ে ২০-২৫ জন। গত ১৬ এপ্রিল হঠাৎ এক্সরে মেশিনের ইউপিএস নষ্ট হওয়ার কারণে অচল হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত মেশিনটি অচল হয়ে আছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক্সরে করতে আসা রোগীরা মেশিন নষ্ট হওয়ায় ফেরত যাচ্ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রুমের দরজায় একটি চিরকুটে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাময়িক সময়ের জন্য এক্সরে বন্ধ আছে লিখে রেখেছেন। বিশেষ করে দূর থেকে আসা রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।  

চিকিৎসা নিতে আসা রোগী হালিম বলেন, আমার ছোট বাচ্চা অসুস্থ। বাসায় খেলার সময়ে পড়ে গিয়েছিলো খুব কান্নাকাটি করছে। হাসপাতালে ডাক্তারের পরামর্শে এক্সরে করাতে আসলাম  এসে শুনি মেশিন নষ্ট এখন বাইরে বেশি টাকা দিয়ে এক্সরে করাতে হবে। 

আরেক রোগী জিয়ারুল হক বলেন, এখানে এক্সরে করতে আসলাম এসে শুনি মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। পরশুদিন এসেও আমি ঘুরে গেছি; আজকেও মেশিন ঠিক হয়নি ৷ এখানে করলে আমারা সুবিধা পাই। বাইরে করাতে গেলে বেশি টাকাও লাগে কষ্টও হয়।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর ১০০ শস্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নাজমুল হুদা বলেন, এক্সরে মেশিন নষ্ট হয়েছে। আমরা এটি দ্রুত চালু করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। 

;

শ্রমিক দিবসে স্বামীর হাতে নারী শ্রমিকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মহান মে দিবসে পারিবারিক কলহের জেরে সাভারের আশুলিয়ায় স্বামীর বেধরক মারধরে পোশাক শ্রমিক স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। 

বুধবার(০১ মে) সন্ধ্যায় আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

নিহত ময়না বেগম(৬০) আশুলিয়ার উত্তর গাজীরচট এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তিনি স্থানীয় গ্রামীণ নিটওয়্যার লি. পোশাক কারখানায় ক্লিনার পদে চাকরি করতেন ।

গ্রেফতারকৃত স্বামী তৈমুর রহমান(৬৫) পেশায় দিনমজুর। তাদের গ্রামের বাড়ি নওগা জেলার নিয়ামতপুর থানার নিরাপাড়া গ্রামে।

নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বিকালে পারিবারিক কলহের জেরে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ময়না বেগমকে মারধর করে তার স্বামী। পরে আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের শরীরে কিল-ঘুষির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।

আশুলিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বদিউজ্জামান বার্তা ২৪.কমকে বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারে আর্থিক অনটন নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ চলে আসছিল। নিহতের পরিবার বাদি হয়ে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।



;

ফেসবুকে কম দামে ইলিশ বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা



মোস্তাফিজ মুরাদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীসহ সারাদেশে অনলাইনে কমদামে ইলিশ মাছ বিক্রির নামে চলছে অভিনব প্রতারণা। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নামে-বেনামে পেইজ খুলে বাজার-মূল্যের চেয়ে অস্বাভাবিক ও অকল্পনীয় কমদামে ইলিশ মাছ বিক্রির নামে প্রতারণার নতুন কৌশল শুরু করেছে একটি চক্র।

বাজারে এক কেজি ওজনের যে মাছের দাম ২ হাজার থেকে ২২শ টাকা; ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’, ‘চাঁদপুরের ইলিশ’, ‘ইলিশ বাজার’, ‘মাছের আড়ত চাঁদপুর’ নামে বিভিন্ন পেইজে তেমন ৬ পিসের ৬ কেজি ওজনের মাছের মূল্য দেখাচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩৩শ টাকা।

পেইজগুলোর চটকদার বিজ্ঞাপন আর লোভনীয় অফারে প্রলুব্ধ হয়ে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। অর্ডার কনফার্ম করার নামে ডেলিভারি চার্জ ও মাছের বাক্সের খরচ বাবদ ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা অগ্রীম আদায় করছে পেইজগুলো। এরপর নির্দিষ্ট সময় পার হলেও মাছ পাঠানো দূরে থাক, ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ পর্যন্ত বন্ধ করে দেয় প্রতারক চক্রগুলো। এমন তথ্যের অনুসন্ধানে বের হয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইলিশ মাছ লিখে সার্চ দিলেই ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর, ইলিশ বাজার, চাঁদপুরের ইলিশসহ বিভিন্ন নামে একাধিক পেইজের সন্ধান পাওয়া যায়। এতএত পেইজের ভিড়ে কোনটি আসল কোনটি নকল বুঝে উঠা দায়! তবে অধিকাংশ পেইজের বিক্রির কৌশল ও ধরণ একই।

ক্রেতাদের বিশ্বাস যোগাতে একই ধরনের পোস্ট ও সে পোস্টে নিজেদের লোকজন দিয়ে পণ্য বুঝে পাওয়ার কমেন্ট বা ভালো রিভিউ করায় পেইজগুলো। এসব রিভিউ দেখে তাদের ফাঁদে পা দিলেই ক্রেতার কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয় অর্ডার কনফার্মের অগ্রিম টাকা।

পেইজগুলো ঘুরে দেখা যায়, সাইজ ও পরিমাণের ভিত্তি করে ৬ কেজি ইলিশ মাছের দাম দেখানো হয় ১৬শ টাকা থেকে ৩৩শ টাকা পর্যন্ত। সে হিসেবে কেজি প্রতি ২৬৬ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা দাম দেখানো হচ্ছে; যা কোনভাবেই বাজার মূল্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

পেইজগুলোতে ১কেজি ওজনের ৬টি মাছের মূল্য ৩৩শ টাকা, ৭৫০ গ্রাম ওজনের ৮ টি মাছের মূল্য ২৯শ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ১২টি মাছের মূল্য ১৯শ টাকা, ৩৩০ গ্রাম ওজনের ১৮ টি মাছের মূল্য ১৬শ টাকা দেখানো হচ্ছে। এছাড়াও ৬ কেজি ইলিশ মাছের ডিমের মূল্য ২৯শ টাকা উল্লেখ করা হয়।

সম্প্রতি অনলাইন থেকে মাছের অর্ডার করে প্রতারিত হয়েছেন ফেনী শহরে বাসিন্দা বদরুল আলম। বার্তা২৪ কে তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা ইলিশ মাছ খেতে পছন্দ করে। বাজারে ইলিশ মাছের দামের তুলনায় অনলাইনে কমদামে ইলিশ বিক্রির পোস্ট দেখে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর পেইজে দেয়া নম্বরে কল করে ১০ কেজি মাছের অর্ডার করি। কুরিয়ার চার্জ ও বাক্সের বাবদ ৫৫০ টাকা বিকাশে পেমেন্ট করি। দুদিন পর হঠাৎ কল করে বলে আপনার মাছ ফেনীতে এসে পৌঁছেছে। ৫ মিনিটের মধ্যে বিকাশ বা নগদে মাছের মূল্য পরিশোধ করুন। কুরিয়ার সার্ভিস ম্যানের কাছে দাম পরিশোধ করে মাছ বুঝে নেব বললে সে গরম হয়ে ফোন কেটে দেয়। এরপর একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।’

আরাফাত হোসেন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে যে মাছ কেজি ২ হাজার টাকা অনলাইন সে মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২শ টাকায়। কমদাম দেখে ৬ কেজি ইলিশ মাছ অর্ডার করেছিলাম। ডেলিভারি চার্জের বাবদ বিকাশে ৫৫০ টাকা দেয়ার পর ওই নাম্বারে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে  না। পেইজে মেসেজ দিলেও কোনো উত্তর মিলছে না। পরে বুঝলাম প্রতারকের খপ্পরে পড়েছি।’

তাসমি আক্তার নামে এক গৃহিণী বলেন, ‘বেশ কয়েক মাসে আগে এরকম একটি পেইজে মাছের অর্ডার করে মাছও পেলাম না অগ্রীম পাঠানো ৪০০ টাকাও ফেরত পাইনি।’

ফেনী ডাক্তার পাড়ার বাসিন্দা বাবু ভুঁইয়া নামে আরেক ক্রেতা বলেন, এদের প্রতারণার ধরণও খুব ইউনিক। আপনি যখন পেইজের নাম্বারে কল দিবেন। প্রথম কয়েকবারে এরা কল ধরবে না। পরে কল ব্যাক করে সুকৌশলে কাস্টমার থেকে ডেলিভারি চার্জ বাবদ টাকা হাতিয়ে নেয়। দ্বিতীয় ধাপে মাছ নির্দিষ্ট এলাকায় এসে গেছে বলে টাকা দাবি করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্রেতারা দ্বিতীয় ধাপে টাকা দিতে রাজি হন না। তবে ডেলিভারি চার্জের টাকাও আর ফেরত পান না।

এ বিষয়ে ফেনী বড় বাজারের মাছ ব্যবসায়ী রহিম উল্ল্যাহ বলেন, ‘অনলাইন সম্পর্কে আমার ধারণা কম। তবে মাঝে মাঝে কিছু ক্রেতা বলেন অনলাইনে আমাদের থেকে অনেক কমে ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। ২২শ টাকায় মাছ বিক্রি করে দুই একশ টাকা লাভ করতে কষ্ট হয় আমাদের। আমার বুঝে আসে না এরা ৫শ টাকায় কেমনে ইলিশ মাছ বিক্রি  করে।’

অনলাইনে কম দামে মাছ বিক্রির পোস্ট দেখে প্রতারিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পৌর হকার্স মার্কেটের মাছ ব্যবসায়ী মিলন। তিনি বলেন, অনলাইনে কমদামে মাছ বিক্রির পোস্ট ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে এক শ্রেণির প্রতারক চক্র। তাদের ফাঁদে পা না দিয়ে বাজারে এসে দেখে-শুনে মাছ ক্রয় করা উত্তম।

অনলাইনে পণ্য কিনে মানহীন পণ্য সরবরাহ ও সঠিক পণ্য না পাওয়ার অভিযোগ বেশ পুরোনো।  তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রতিক শুরু হওয়া কম দামে ইলিশ কিংবা সাগরের মাছ বিক্রির প্রতারণা রোধে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।

;

চাকমা তরুণীকে চীনে পাচারের অভিযোগে মামলা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাহাড়ি চাকমা তরুণীকে তুলে নিয়ে রাজধানীতে আটকে রেখে চীনে পাচারের অপচেষ্ঠা করছে উল্লেখ করে এবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ভুক্তভোগীর বোন। বুধবার (১ মে) বিকেলে তরুণীকে উদ্ধারের আকুঁতি জানিয়ে রাঙামাটির নানিয়ারচর থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।

এই মামলায় পাহাড়ি চার নারী পাচারকারী ও চারজন পুরুষ পাচারকারিসহ মোট আটজনের নাম উল্লেখ করে আরো ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়েছে। নানিয়ারচর থানা পুলিশ মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছে। তদন্তের স্বার্থে আসামিদের বিস্তারিত জানাতে অপারগতা জানিয়েছে থানা পুলিশ।

মামলার এজাহারে ভিকটিমের বোন উল্লেখ করেন, তারই ছোট বোন ২১ বছর বয়সী বিউটি চাকমাকে (ছদ্মনাম) নার্সিংয়ে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে গত ১ এপ্রিল  ঢাকায় নিয়ে যায়। প্রথমে রাঙামাটির নানিয়ারচর থানাধীন বুড়িঘাট ইউনিয়নের গর্জণতলী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বের করে নানিয়ারচরের ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের জুরাছড়ি বেনুবন এলাকায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে সেখান থেকে তাকে মাইক্রোবাস যোগে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, মাইক্রোবাসে যাওয়ার সময় আসামিদের কথাবার্তায় নার্সিং পড়তে যাওয়া বিউটি চাকমা বুঝতে পারেন তিনি নারী পাচারকারীদের খপ্পড়ে পড়েছেন।

মামলার এজাহারে তরুণীর বড়বোন বলেন, জনৈক রিকা চাকমার নেতৃত্বে একদল নারী পাচারকারি বিউটিকে চীনের নাগরিকের সাথে জোর করে বিয়ে দেয় এবং তার সাথে আপত্তিকর ছবিও তোলে। রাজধানীর অজ্ঞাতস্থানে বন্দি অবস্থা থেকে যেকোনো সময় তাকে চীনে পাচার করে দেওয়া হতে পারে।

গত ৭ এপ্রিল বিউটি তার বড়বোনকে ফোনে এসব তথ্য জানিয়ে তাকে উদ্ধারের আঁকুতি জানায়। বিষয়টি লিখিত আকারে নানিয়ারচর থানা পুলিশকে অবহিত করে মানবপাচার মামলা করে ভুক্তভোগীর বড় বোন।

নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ আজম উদ্দিন মাহমুদ মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে প্রতিবেদককে জানান, ভুক্তভোগীর বোনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মানবপাচার ও প্রতিরোধ আইন ২০১৮ এর ৬/৭/৮ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নং-১ তারিখ: ০১/০৫/২০২৪ইং। এই বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে, রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহাম্মেদ জানিয়েছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পাহাড়ি নারীদের চীনে পাচারের খবরে টনক নড়েছে স্থানীয় প্রশাসনের। ইতিমধ্যে পাচার চক্রের সদস্যদের ধরতে কাজ শুরু করেছে রাঙামাটির পুলিশ।

প্রতিবেদকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সংবাদ মাধ্যমে পাহাড় থেকে নারীদের চীনে পাচারের বিষয়টি রাঙামাটির পুলিশের নজরে এসেছে। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর মন্তব্য করে এই বিষয়ে আমলে নিয়ে পুলিশ নিষ্ঠার সাথেই তদন্ত করছে বলেও জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

এদিকে মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়ি চাকমা তরুণীকে চীনে পাচারের মূল হোতা ঢাকা উত্তরার ১৪ সেক্টরে বসবাস করা রিকা চাকমা নামের একজন চাকমা নারী। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলাধীনর রাঙ্গাপানি ছড়া গ্রামে। এই মামলায় তার সাথে রাঙামাটি সদর উপজেলাধীন সাপছড়ি ইউনিয়নের কামারপাড়ার এক পুরুষ ও একজন নারী, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার উদাল বাগান এলাকার দুই নারীসহ অজ্ঞাত ঠিকানার দু’জন পুরুষের নাম মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

;