এক গাছেই ধরে কয়েক জাতের আম



মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: যতদূর চোখ যায় বিস্তৃত জায়গা জুড়ে বাগান আর বাগান! কোথায় যে বাগানের শেষ – তার সীমানা নির্ধারণ স্থানীয়দের কাছেও দূরহ! ঢাকা থেকে এসেছি শুনে অটোর সহযাত্রী স্থানীয় বাসিন্দা নাজমা আক্তার বললেন, ‘কোন বাগানে যাবেন। সব বড় বড় বাগান। দেখে কুলাতে পারবেন না। কোথায় শেষ আমরাও জানি না।’

তার পরামর্শে শিবগঞ্জ সদরে জালমাছমারি পাড়ায় নামলাম। নেমেই দেখলাম বাগানের শুরু। সকালের আভা মিলিয়ে তখন দুপুরের রোদ। বাগানের সবুজে প্রশান্তির ছোঁয়া থাকলেও তা ভেদ করে শরীরে ভ্যাপসা গরমের উপদ্রপ।

আম বাগানের বড় একটি গাছের গোড়ায় বসে নকশী কাঁথা সেইলায়ে ব্যস্ত গ্রামের নারী-তরুণীরা। এলাকার সবচেয়ে বড় বাগান কোনটা, তাতে কি পরিমাণ আম হয় -জানতে চাইলে তরুণী মারুফা বলে ওঠে, ‘সামনে ভোলার বাগান, ওখানে যান কথা বলার মানুষ পাবেন। উৎসুক মেয়েটি নির্দেশনা দিয়েই থামলেন না। বাগানে পৌঁছে দিয়ে তবেই ফিরলেন।

/uploads/files/8C3wHE7ji8BANjldv2EAj2IGJ4jxB6sJGl0bySrx.jpegভোলার বাগানে কাঠের টুলে বসে গায়ে হাওয়া খাচ্ছিল পঁচাত্তোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ। তার কাছে আম বাগানের বর্তমান অবস্থা ও ইতিহাস জানতে চাওয়া হল। তার বলার আগেই পাশ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন আরেক ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি। চেহারায় বয়সের ছাপ থাকলেও কথা ও চলাফেরা তিনি একবারেই টনটনে।

তাকে থামিয়ে দেখে ‘বৃদ্ধ’ বলল, ও আছিরউদ্দিন । কয়েকটা বাগান আছে, অন্যের আম বাগান নিয়েও কাজ করে। সব বলতে পারবে।

কথায় কথায় জানা গেল, আছিরউদ্দিন চার বছরের জন্য তিনটি বাগান লিজ নিয়েছে। তবে আম চাষী বা ব্যবসায়ীর চেয়ে আছির উদ্দিনের মূল পরিচয় হলো গাছ পরিচর্যা ও গাছের কলমের জন্য। এই মৌসুমে প্রায় চার হাজার গাছ কলম করেছেন তিনি। ফজলীর ডালে জোড়া দিয়েছেন ল্যাংড়া, ক্ষীরসাপাতের ডালে হয় আম্রপলি, আবার ল্যাংড়ার ডালে আশ্বিনা বা শুধু ফজলির ডালে জোড়া দিয়েছেন ল্যাংড়া, আশ্বিনা, আম্রপলি, মোহনভোগ আরো কয়েকটি জাতের আম।

/uploads/files/dP1dGYIKhIOAUf21p0BgNgWNKqxunmDuGp5bmXrF.jpegছটফটে বৃদ্ধ আছিরউদ্দিন প্রথমে কথা বলছিলেন সাইকেলে চেপে। পরে বোঝানোর জন্য সাইকেল থেকে নেমে দেখালেন, কিভাবে এক জাতের আম গাছের ডালের সঙ্গে আরেক জাতের আমের ডাল জোড়া দিয়ে কলম করা হয়। বের করলেন ছুরি। ডাল কেটে নরমাল টেপ দিয়ে একটা গাছের ডাল আরেক গাছের ডালের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে দেখালেন জোড়া কলম। এতে কোনো ধরনের রাসায়নিক পর্দাথ বা ঔষধ ব্যবহার করা হয় না। চাঁপাইনবাবগঞ্জে জোড়া কলম খুব জনপ্রিয়।

আছির উদ্দিন বলেন, কলমের অনেক চাহিদা। এক গাছে অনেক জাতের ডাল কলম করে চাষী বুঝতে চায় কোন আমের ফলন বেশি। আজকাল গোপালভোগের ফলন কমে যাওয়ায় -আম চাষীরা এই গাছের উপর কলম করে বেশি। যার যাদের বাগানে কম গাছ; তারা একটি গাছে কলম করে সব জাতের আমের স্বাদ পূরণ করে।

দীর্ঘ ১৫ বছর এ কাজ করছেন আছিরউদ্দিন। বললেন, কলম করলে গাছের কোনো ক্ষতি হয় না। দীর্ঘদিনের পুরোনো গাছ যেগুলো ফল কম হয়, বা ফল হয়ই না, সেসব গাছেও কলম করে ফল পাওয়া যায়।

আছির উদ্দিনের শুধু কলম নিয়ে অভিজ্ঞতা যে –তা নয়, বাপ-দাদাদের সঙ্গে আম বাগানে তার কেটেছে শৈশব। ফলে কখন আম পাকবে, খেতে মজা হবে, আমের ফলন কেমন হবে- এসব বলে দিতে পারেন একবাক্যেই।

শেষ সময়ে বললেন আম খাওয়ার উপযুক্ত সময় সম্পর্কে, ‘আমে যখন ডানা হবে তখনই আম খেতে মজার হবে- বুঝাইবার পারসি’।

   

মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সবজি বিক্রেতা নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন, আব্দুস সালাম (৫০) এবং অপরজন হলেন ছানোয়ার হোসেন (৪৫)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সবজি বিক্রেতাদের বাড়ী মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রাম এলাকায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলড়া হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো: শাহ আলম বলেন, সকালে মানিকগঞ্জের জাগীর সবজি আড়ত থেকে সবজি ক্রয় করে কাটিগ্রাম এলাকার মৃত সাইজুদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম এবং আব্দুস সামাদের ছেলে ছানোয়ার হোসেন নিজ এলাকায় যাচ্ছিলো।

যাত্রাপথে তাদের বহন করা ভ্যানটিকে অজ্ঞাত একটি গাড়ি চাপা দিয়ে চলে যায়। এসময় ভ্যান চালক রাস্তার পাশে পড়ে গেলেও ওই দুই সবজি বিক্রেতা মারা যায় বলে জানান তিনি।

গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত এক জনের মরদেহ জেলা হাসপাতালে এবং একজনের মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে। নিহতদের পরিবারে খবর দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর হাজারিবাগ এলাকার পেছনের মাঠে তার মরদেহ পড়েছিল। খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটনের (এসএমপির) বিমানবন্দর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

নিহত অমিত দাস শিবু গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরীর বাগবাড়ি নরসিং টিলা এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন।

জানা যায়, অমিত দাস শিবু প্রতিদিনের মতো আজ রাতেও উত্তরপূর্ব পত্রিকা অফিসে কাজ করে বাসায় ফিরছিলেন। রাত পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়।

এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল। তবে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। কিন্তু মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মিলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

;

গ্যাস-বিদ্যুৎ-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ও ভর্তুকি সহনীয় পর্যায়ে রেখে সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়ের (বাড়ানো) সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল।

অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে এক বৈঠকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ সুপারিশ করেছে ঋণ কর্মসূচির আওতায় শর্ত বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে আসা আইএমএফ’র প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদলটি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাও জানতে চেয়েছে। এছাড়া লক্ষ্যভিত্তিক খেলাপিঋণ কমানো বিশেষ করে সরকারি মালিকানার ব্যাংকগুলোর খেলাপিঋণ কমিয়ে আনা এবং প্রক্রিয়াধীন থাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত আইনগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে ভর্তুকি নিয়ে বৈঠক করে মিশনের একটি অংশ, ভর্তুকি কমিয়ে আনেত পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক সূত্র-ভিত্তিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সরকারকে স্বাগত জানায়।

তবে সার্বিক বাজেট ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্য বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আপাতত কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে যাবে সরকার। তবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি কমাতে পর্যায়ক্রমে এসবের দাম বাড়ানো হবে।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ–এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।

বৈঠকে সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারাসহ সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিমসহ জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের এমডিরাও উপস্থিত ছিলেন।

;

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;