চিড়িয়াখানায় শৃঙ্খলা ফিরলেও ‘আইন’ না থাকায় নানা জটিলতা



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
জাতীয় চিড়িয়াখানা/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

জাতীয় চিড়িয়াখানা/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের তুলনায় অনেকটা শৃঙ্খলায় ফিরেছে জাতীয় চিড়িয়াখানা। এক বছর আগেও অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত থাকা চিড়িয়াখানা এখন অনেকটাই শৃঙ্খল। সুন্দর পরিবেশ আর খাঁচায় বন্দি প্রাণি নিয়ে এক প্রাণবন্ত বিনোদন কেন্দ্র। তবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ জনবল কম থাকায় রোগে আক্রান্ত প্রাণিদের চিকিৎসায় হিশশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। এছাড়া চিড়িয়াখানা আইন না থাকায় আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াজার (ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব জু এন্ড অ্যাকুরিয়ামস) সদস্য হতে পারছে না চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ, ফলে বিদেশ থেকে প্রাণি আনাসহ মুখোমুখি হতে হচ্ছে নানা জটিলতার।

 

চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে, শুরুর দিকে চিড়িয়াখানার অবকাঠামো ও ব্যবস্থাপনায় ঘাটতির কারণে ওয়াজার সদস্য হতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু পরে সে সমস্যা কাটিয়ে সদস্য পদের জন্য আবেদন করা হলেও চিড়িয়াখানা অ্যাক্ট না থাকায় সদস্য পদ দেওয়া হয়নি। শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে চিড়িয়াখানা অ্যাক্ট করার। এ কারণে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলো এই সংস্থার সদস্য। আর সংস্থার সদস্য না হওয়ায় বৈধপথে পশু-পাখি আনতেও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সদস্যপদ না পাওয়ায় সংস্থাটি প্রশিক্ষণ দিচ্ছে না ঢাকা চিড়িয়াখানার কোন কর্মকর্তাকে।

আর চিড়িয়াখানায় আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে যাওয়া প্রাণিদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। যেগুলো খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকে সেগুলোকে অভ্যন্তরীণ হাসপাতালে রাখা হয়। কিন্তু অন্যান্য দেশে 'নো পেইন' ইনজেকশন দিয়ে বার্ধক্যগ্রস্ত প্রাণিদের মেরে ফেলা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে চিড়িয়াখানা অ্যাক্ট না থাকায় এ ধরনের কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। ফলে শেষ পর্যন্ত আবদ্ধ খাঁচায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয় প্রাণিদের।

ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত এ চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ১৩৭ প্রজাতির ২ হাজার ৭৮৪টি প্রাণি রয়েছে। এরমধ্যে ১৯ প্রজাতির ৩৫৮টি বৃহৎপ্রাণি (তৃণভোজী), ১১ প্রজাতির ৩৫টি মাংসাশী, ১৫ প্রজাতির ১৬৭টি ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণি, ৫৭ প্রজাতির ১ হাজার ১১৯টি পাখি, ৯ প্রজাতির ৬২টি সরিসৃপ প্রাণি ও ২৬ প্রজাতির ৯৭১টি মাছ রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, চিড়িয়াখানার প্রাণি ও পাখির জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেকটাই অপ্রতুল। পাঁচজন প্রশিক্ষিত ডাক্তার দিয়ে চলছে চিড়িয়াখানার চিকিৎসার কাজ। তবে নেই দক্ষ স্টাফ। চিড়িয়াখানার ভেটেনারি হাসপাতালটি একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল। উপজেলা পর্যায়ের পশুর হাসপাতালে যেসব চিকিৎসা দেওয়া হয়, সেখানে যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এখানে প্রাণিদের চিকিৎসা পদ্ধতি কিছুটা জটিল। অনেক পশুকেই পাইপ দিয়ে ইনজেকশন দেওয়া হয়। ফলে এ বিষয়ে দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। কিন্তু চিড়িয়াখানার ভেটেনারি হাসপাতালে থাকা একজন অভিজ্ঞ কম্পাউন্ডার অবসরে যাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে চিকিৎসকদের।

চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা গেছে, ১৯৭৪ সালে পুরনো আদলে সাজানো চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের চলাচলের রাস্তা এখন অনেকটাই পরিচ্ছন্ন। প্রায় সব প্রাণির খাঁচার বাইরে নির্দেশিকা বোর্ড রয়েছে। নির্দেশিকা বোর্ডে ওই প্রাণি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য লিপিবদ্ধ রয়েছে। আর বাইরে হকারদের দৌরাত্ম্য কমলেও ভেতরে হকারদের সরব উপস্থিতি রয়েছে।

চিড়িয়াখানার পরিবেশ নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. মো: নূরুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, চিড়িয়াখানার পরিবেশ আমরা দিন দিন ভালো করার চেষ্টা করছি। বিশেষ করে খাঁচাগুলো মেরামত করা হয়েছে। সড়ক যেটা সমস্যা ছিল সেটা পিচ ঢালাই করা হয়েছে, বাকি কাজও আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করব। চিড়িয়াখানা এখন আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। আধুনিকায়ন হয়ে গেলে এর অনেক পরিবর্তন আসবে।

এদিকে চিড়িয়াখানায় বর্তমানে দশটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খাবার সরবরাহ করছে। বিভিন্ন ঠিকাদারদের কাছ থেকে খাবার বুঝে নেওয়ার জন্য আট সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে। তারা খাবার পরীক্ষা নীরিক্ষা করে, ওজন নিশ্চিত হয়ে তা সংগ্রহ করকরে থাকেন। কোন গরু জবাই করে প্রাণিদের খাদ্যের যোগান দেওয়ার আগে সেই গরুটি খাদ্যের উপযুক্ত কিনা সেটিও পরীক্ষা করে নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রাণি পুষ্টি শাখার কর্মকর্তা সঞ্জিব কুমার বিশ্বাস বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আমরা প্রতিদিন ৪০টি আইটেমের খাবার সরবরাহ করি।এ জন্য আমাদের একটি কমিটি আছে, তারা খাদ্যের মান যাচাই করে তা সরবরাহ করেন। মাংসাশী প্রাণিদের রোববার ছাড়া প্রতিদিন গরুর মাংস দেওয়া হয়। শুধু রোববার প্রাণিদের হান্টিং ক্যাপাসিটি রাখার জন্য বয়লার মুরগি দেওয়া হয়।

চিড়িয়াখানায় আগত অনেক দর্শনার্থীর অভিযোগ, দিনে দিনে প্রাণিগুলো রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বাঘ ও সিংহের অবস্থা খুবই নাজুক।

এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার তথ্য কর্মকর্তা ডা: মো: ওয়ালিউর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, অনেকেই বলে বাঘ-সিংহ রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে আমাদের বাঘ সিংহ লাইফস্টাইল সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। আমাদের বাঘ-সিংহ কৃত্রিম অবস্থায় ১৫ বছর বাঁচে। এখানে যে বাঘ-সিংহ ছিল বা আছে তার কয়েকটির আয়ুষ্কাল পেরিয়ে গেছে। আয়ুষ্কাল পেরিয়ে যাওয়া মানেই তারা খাওয়া দাওয়া কম করবে, মুভমেন্ট কম হবে। তাদের স্বাস্থ্য খারাপের দিকে যাবে। বর্তমানে আয়ুষ্কাল পেরিয়ে যাওয়া বাঘ রয়েছে দুইটি আর সিংহ রয়েছে তিনটি।

তিনি বলেন, ভিন্ন ভিন্ন প্রাণি ভিন্ন ভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। আমাদের চিড়িয়াখানার ভেটেনারি সেকশন থেকে তাদের চিকিৎসা দিয়ে থাকি। তবে দক্ষ জনবল প্রয়োজনীয় সংখ্যক না থাকলেও কাজ চালিয়ে নেওয়ার মতো রয়েছে। পাঁচজন অভিজ্ঞ ডাক্তার এখানে রয়েছেন। দক্ষ স্টাফের অপ্রতুলতা আছে। আমাদের এটি বিশেষায়িত হাসপাতাল। এখানে যারা কাজ করবে তাদের দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। সেজন্য আমাদের দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে। আমরা ওয়াজার সদস্য পদের জন্য আবেদন করেছিলাম, চিড়িয়াখানা আইন না থাকায় তারা আমাদের সদস্য পদ দেয়নি।

   

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর হাজারিবাগ এলাকার পেছনের মাঠে তার মরদেহ পড়েছিল। খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটনের (এসএমপির) বিমানবন্দর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

নিহত অমিত দাস শিবু গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরীর বাগবাড়ি নরসিং টিলা এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন।

জানা যায়, অমিত দাস শিবু প্রতিদিনের মতো আজ রাতেও উত্তরপূর্ব পত্রিকা অফিসে কাজ করে বাসায় ফিরছিলেন। রাত পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়।

এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল। তবে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। কিন্তু মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মিলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

;

গ্যাস-বিদ্যুৎ-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ও ভর্তুকি সহনীয় পর্যায়ে রেখে সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়ের (বাড়ানো) সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল।

অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে এক বৈঠকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ সুপারিশ করেছে ঋণ কর্মসূচির আওতায় শর্ত বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে আসা আইএমএফ’র প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদলটি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাও জানতে চেয়েছে। এছাড়া লক্ষ্যভিত্তিক খেলাপিঋণ কমানো বিশেষ করে সরকারি মালিকানার ব্যাংকগুলোর খেলাপিঋণ কমিয়ে আনা এবং প্রক্রিয়াধীন থাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত আইনগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে ভর্তুকি নিয়ে বৈঠক করে মিশনের একটি অংশ, ভর্তুকি কমিয়ে আনেত পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক সূত্র-ভিত্তিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সরকারকে স্বাগত জানায়।

তবে সার্বিক বাজেট ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্য বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আপাতত কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে যাবে সরকার। তবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি কমাতে পর্যায়ক্রমে এসবের দাম বাড়ানো হবে।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ–এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।

বৈঠকে সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারাসহ সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিমসহ জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের এমডিরাও উপস্থিত ছিলেন।

;

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর দুই আরোহী মিলন হোসেন (২৫) ও জাব্বারুল (১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে নিহত টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে ও আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত টুটুল আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইলস কিনে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মহেশপুর গ্রামে ফিরছিলেন টুটুলের পিতা ইলিয়াস। পথে ভালাইপুর বাজারের অদূরে টাইলসবাহী গাড়িটি বিকল হয়ে পড়লে ইলিয়াস ছেলে টুটুলকে ফোন দিয়ে ডাকেন। টুটুল মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে মিলন ও জাব্বারুলকে নিয়ে ভালাইপুরের উদ্দেশে বের হন। পথে হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা একটি লাটাহাম্বারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন হোসেন ও জাব্বারুল নামের দুই যুবক জরুরি বিভাগে আসে। আহতদের মধ্যে মিলনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এবং জাব্বারুলকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

;