ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে: তাজুল ইসলাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, 'এডিস মশার বিষয়ে আমাদের সচেতনতা ইতোমধ্যে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আশা করি, সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে ডেঙ্গু পরিস্থিতির সামাল দিতে পারব।'

রোববার (২৫ আগস্ট) বিকালে ১৭টি জেলার ২০ জন নব-নির্বাচিত সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উত্তরোত্তর উন্নতি হচ্ছে। ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়োজিত করেছি। এখানে যুগ্মসচিব পদমর্যাদার অনেক অফিসার আছেন, তারা সবাই স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে করে অ্যাডিশনাল ওয়ার্ক করছেন।'

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, 'ঈদের সময় আমরা সকল কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করে কাজ করেছি। আমি নিজেও ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আমাদের অফিসারদের নিয়ে ডেঙ্গু ইস্যুতে কাজ করেছি। যারা বিদেশে বিভিন্ন কর্মসূচিতে ছিলেন, তাদেরকেও টেলিফোন করে ঢাকায় ডেকেছি। আমরা বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছি।'

তাজুল ইসলাম বলেন, 'আমরা দেখেছি, এটা শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতেই ডেঙ্গু আক্রমণের মাত্রা অনেক বেশি। এর আগে ২০০০ সালে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় মৃতের হার ছিল বেশি, কিন্তু এখন আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও সচেতনতার ফলে তুলনামূলক মৃতের সংখ্যা কম হয়েছে।'

ডেঙ্গু ইস্যুতে পরবর্তী প্রক্রিয়া কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮ কোটি মানুষের মধ্যে ১০ লাখ মানুষ কয়েকবছর আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল। সেখানে এক হাজার মানুষ মারা যায়। এভাবে কলকাতায় কয়েক হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের অভিজ্ঞতা আমাদের থেকে বেশি হবে।'

'এবার যেভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এটা আগে কখনো হয়নি। স্বাভাবিকভাবে এবার আমাদের অভিজ্ঞতা অনেক বেড়েছে। আমরা ইনটেনসিভলি কাজ করতে গিয়ে যেসব জায়গায় ঘাটতি আছে সেগুলো নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছি। এখান থেকে আমরা বুঝতে পেরেছি, এটা কোন সিজনাল প্রোগ্রাম নয়, এটা বছর জুড়েই আমাদের কর্মকাণ্ড হাতে নিতে হবে।'

শুকনা মৌসুমে এডিস মশা ডিম ছাড়লেও তা ফুটবে না উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, 'শুকনা মৌসুমে এডিস মশার লার্ভা হবে না। সে কারণে আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদী একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করব। কোন মাসে কত বেশি কাজ আমাদের করতে হবে। যারা ইতোমধ্যে এডিস মশা নিধনে অনেকটা সফল হয়েছে তাদের অভিজ্ঞতাগুলো আমরা প্রতিনিয়ত কালেক্ট করছি। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি সেল করা হয়েছে তারা রেগুলারলি মনিটরিং করছে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা সিটি করপোরেশনকে মাস্টার প্লান করতে বলেছি। তাদের লোকবল বাড়ানোর কথা বলেছি। তারা মশা নিধনের জন্য কাজ করবে। সেই প্লানে থাকবে- কোথায় কোথায় এডিস মশার জন্ম হয়, কোথায় অন্যান্য মশা জন্ম হয় এবং কোথায় কী ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে তার জন্য সিটি করপোরেশনকে পরিষ্কার পরিকল্পনা নিতে বলা হয়েছে।'

   

পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম (২০) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

বিএসএফের গুলিতে নিহত আবুল কালাম উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত অপির উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে সাত-আটজনের একটি গরু পাচারকারীর দল ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে পকেট পাড়া নামক স্থানে যায়। হঠাৎ ১৬৯ ডুরাডাবড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদল সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় আবুল কালাম। সঙ্গে থাকা অন্যরা উদ্ধার করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এনে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বার্তা ২৪ কমকে জানান, সীমান্তে বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

;

লালমনিরহাটে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শাহিন মিয়া নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা-বুড়িমারী মহাসড়কের বুড়িমারী ইউনিয়নের কল্লাটারী উচা ব্রিজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাহিন মিয়া উপজেলার বুড়িমারী স্টেশনপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীসহ ২ জন পাটগ্রাম থেকে বুড়িমারী যাওয়ার সময় উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের কল্লাটারী উচা ব্রিজ এলাকায় বুড়িমারী-লালমনিরহাটগামী পাকা রাস্তায় পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।

আহতরা হলেন উপজেলার একই ইউনিয়নের স্টেশনপাড়া এলাকার আব্দুল মালেক ছেলে ওলিউর রহমান অলু (৪০) ও আব্দুল খলিলের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫)। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার।

বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য হাসানুজ্জামান বলেন, পাটগ্রামে থেকে আসার পথে কল্লাটারী উচা ব্রিজে কয়েকজন লোককে পড়ে থাকতে দেখতে পাই। গাড়ি থেকে নেমে দেখি একজন মারা গেছেন আর দুজন মোটরসাইকেলসহ পড়ে আছে।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কল্লাটারী উচা ব্রিজ এলাকায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শাহিন নামে একজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এতে দুজন আহত হয়েছেন।

;

তেঁতুলিয়ায় জমিতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বোরো ক্ষেতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মুরাদ হোসেন (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) সকালে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহল্লাল জোত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মুরাদ দেবনগর ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের ছেলে। সে ছোট থেকে মহল্লা জোত গ্রামে নানা আজিজুলের বাড়িতে থাকতেন।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, মুরাদ সকালে তেঁতুলিয়ার বাইপাস এলাকার বাংলা টি নিকটস্থ এলাকায় বৈদ্যুতিক মোটরে বোরো ক্ষেতে পানি দিতে যান। ওই সময় বৈদ্যুতিক তার হাতে জড়িয়ে পড়লে স্পৃষ্ট হয়ে তারসহ পানিতে পড়ে যান। এতে করে ক্ষেতের পানিও বিদ্যুতস্পৃষ্ট হলে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

ছিনতাইকারীর কবলে নারী, বাঁচাতে গিয়ে জীবন শঙ্কায় যুবক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর উত্তরার ৮নং সেক্টরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ইফতেখার নামে ২৮ বছরের যুবক আহত হয়েছেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আহত ইফতেখার উত্তরা ৬নং সেক্টর শিরিন ভিলার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত সোয়া ১টার দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

বন্ধু আরমান জানান, গত রাত পৌনে ১২টার দিকে কাজ শেষে বাসায় ফিরছিল আরমান। এ সময় উত্তরা ৮নং সেক্টর বীমা কলোনির সামনে কয়েক জন ছিনতাইকারী এক নারীকে ঘিরে ধরে । ইফতার ছিনতাইকারীদের কবরে পড়া ওই নারীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ইফতেখারকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ইফতেখারকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানিয়েছেন ইফতেখারের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্তমানে জরুরি বিভাগের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতরাতে উত্তরা থেকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে আনা হলে জরুরী বিভাগে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার অবস্থা আশঙ্কা জনক। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

;