রাজধানীর ৩ সড়কে অবাধে চলছে রিকশা
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মালিবাগ হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত সড়ক, মিরপুর রোডের গাবতলি-ধানমন্ডি হয়ে আজিমপুর পর্যন্ত সড়ক এবং সাইন্সল্যাব থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সড়কে অযান্ত্রিক যানবাহন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংশ্লিষ্ট সংস্থা।
পরীক্ষামূলকভাবে গত ৭ এপ্রিল থেকে রাজধানীর প্রধান এ তিনটি সড়কে রিকশা বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
গত ৩ জুলাই রিকশা বন্ধের ঘোষণা দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
সেদিনের ঘোষণার পর ৭ জুলাই ওই তিন সড়কের কোথাও কোথাও রিকশা বন্ধ হলে আন্দোলনে নামেন চালকরা। এরপর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের সঙ্গে রিকশাচালকদের পৃথক দু’টি সভা হয়। এসব সভায় সিদ্ধান্ত হয়, রাজধানীতে চলাচলকারী অবৈধ রিকশা বন্ধ করতে হবে। আর বৈধগুলোকে নির্দিষ্ট রুটে চলাচল করার সুযোগ দিতে হবে।
উভয়পক্ষের সেই সিদ্ধান্তের পর কয়েকদিন ওই তিন সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ থাকলেও তদরকির অভাবে এখন আবার অবাধে রিকশা চলাচল করছে।
এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ভার পড়েছিল ট্রাফিক বিভাগের ওপর। তাদের শিথিলতার কারণেই আবার সড়কে রিকশা চলাচল করছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
আর এসব সিদ্ধান্ত সমন্বয় করছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। সিটি করপোরেশনের মেয়রকে কমিটির প্রধান করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রিকশা চলাচলের ব্যাপারে ডিটিসিএ নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘রিকশা চলবে না, সেই সিদ্ধান্ত এখনো বহাল রয়েছে। কিন্তু যাদের বাস্তবায়ন করার কথা, তারা যদি না করে থাকে, তার কারণ তারাই বলতে পারবে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার যখন চাওয়া হবে, তখন তাদের ব্যাখা চাওয়া হবে।’
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রাজধানীতে বৈধ রিকশার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি অবৈধ রিকশা চলাচল করে। রাজধানীতে ১৯৮৬ সালের পর আর কোনো রিকশার লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। সেই হিসেব অনুযায়ী লাইসেন্সভুক্ত অযান্ত্রিক যানবাহন মাত্র ৫৮ হাজার ৭৬৭টি। এর মধ্যে রিকশা ৫২ হাজার ৭১২টি, ব্যক্তিগত রিকশা ২৫টি, ভ্যান ৫ হাজার ৮৬০টি, মাল টানা টালি গাড়ি তিনটি, ঠেলা গাড়ি ৭৬টি ও ঘোড়ার গাড়ি রয়েছে ১৪টি। অথচ ঢাকায় রিকশা চলছে কয়েক লাখ।