১২, ১৩ ও ১৪ জুনে ট্রেনে চাপ বেশি
ঢাকা: সড়কের অবস্থা তেমন সুবিধার নয়। এজন্য ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে ট্রেনেই ভরসা দেখছেন ঢাকাবাসীদের অনেকেই। তাই ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর পর থেকেই বাড়ছে টিকেট প্রত্যাশীদের ভিড়।
দিন যতই যাচ্ছে চাহিদা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে ট্রেন টিকেটের।
শেষ মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে ট্রেনের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি ১২ ১৩ ও ১৪ তারিখের। তবে ১৭ জুন ঈদ হলে তার আগের দিনের যার কোন ট্রেন শিডিউল এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
রোববার ৩ জুন দেওয়া হচ্ছে ১২ জুনের অগ্রিম ট্রেন টিকেট। এদিনের টিকিটের চাহিদা অনেক বেশি। সবচেয়ে বেশি চাহিদা উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের। তিস্তা, সিল্কসিটি, একতা, রংপুর এক্সপ্রেস, দ্রুতযান, এসব ট্রেনের টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইন কমলাপুরে।
স্টেশন চত্বর থেকে বাইরে চলে গেছে লাইন। কাঙ্ক্ষিত টিকেট পাচ্ছেন না অনেকেই, অভিযোগ বরাবরের মতই।
তবে এবার উত্তরের ট্রেনযাত্রায় স্বস্তির খবর জানিয়েছে রেলওয়ে।
রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসাইন বলেন, গতবারের মতো খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে না। উত্তরের লালমনি এক্সপ্রেসকে নতুনরূপে সাজানো হয়েছে ইরানিয়ান সাদা কোচ দিয়ে। এতে বেশি যাত্রী এবং নির্বিঘ্নে এই ট্রেন নির্ধারিত সময় যাতায়াত করতে পারবে।
৬ জুন কমলাপুরে নতুনরুপে লালমনী এক্সপ্রেস ট্রেন উদ্বোধন করা হবে। গতবছর বারবার এই ট্রেন বিকল হওয়ার ঘটনায় অসহনীয় পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল।
আন্ত:নগর ট্রেনের ২২ হাজারসহ মেইল-লোকাল মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫৬ হাজার টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বছরের অন্য সময় দিনে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টিকিট বিক্রি হয় এ স্টেশন থেকে।
কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে জানা যায়, কমলাপুর থেকে যে ৩১টি আন্ত:নগর ট্রেন চলে তার টিকিট সংখ্যা ২২ হাজার ১শ' ২২টি। এ টিকিটের ৬৫ শতাংশ কাউন্টার থেকে বিক্রি হয়। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৪টি করে টিকিট নিতে পারেন।
রেল মন্ত্রণালয়ের তথ্য, এবার ঈদে সারাদেশে ২ লাখ ৭০ হাজার যাত্রী টানবে রেল। চলবে সাত জোড়া বিশেষ ট্রেন। ঈদের ৫ দিন আগে থেকে বিশেষ ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
প্রতি বছর রেলের মোট টিকিটের ২৫ ভাগ বিক্রি করা হয় অনলাইনে, ৫ ভাগ বিক্রি হয় ভিআইপিদের কাছে আর আরও ৫ ভাগ বিক্রি করা হয় রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য। এ কারণে একটি ট্রেনের ৬৫ ভাগ টিকিট কাউন্টারের যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ থাকে। বাকি ২৫ ভাগ কোটায়।