ওয়াটার ট্যাক্সি ৬টি,  চলে ১টি তাও অনিয়মিত



নাজমুল হাসান সাগর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃৃহীত

ছবি: সংগৃৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৩ সালে সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান গাবতলী ওয়াটার ট্যাক্সি ল্যান্ডিং স্টেশনে ‘গাবতলী টু সদরঘাট’র নতুন চারটি ওয়াটার ট্যাক্সির উদ্বোধন করেন। মোট ছয়টি ওয়াটার ট্যাক্সি এই রোডে চলাচল করার কথা থাকলেও চলছে মাত্র একটি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই একটি ওয়াটার ট্যাক্সিও চলে অনিয়মিত।

প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এক ঘণ্টা পর পর গাবতলী ও সদরঘাট থেকে একটি করে ওয়াটার ট্যাক্সি যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টা পঞ্চান্ন মিনিটে গাবতলী ওয়াটার ট্যাক্সি ল্যান্ডিং স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ল্যান্ডিং স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ও বসার আসনগুলোতে বাস্তুহীন মানুষ ও পথ শিশুরা ঘুমাচ্ছে।

তখনও ল্যান্ডিং স্টেশনে ওয়াটার ট্যাক্সি সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারির দেখা মেলেনি কোথাও। ল্যান্ডিং স্টেশনের নিরাপত্তারক্ষী ঘুম থেকে উঠলেন সাতটা ত্রিশ মিনিটে। তার সাথে কথা বলে জানা গেল, ওয়াটার ট্যাক্সি সদরঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় সকাল নয়টা দশ মিনিটে। যাত্রী না হওয়ার কারণে এই অবস্থা জানান তিনি।

এদিকে আটটার ওয়াটার ট্যাক্সি ধরে ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য গাবতলী ওয়াটার ট্যাক্সি ল্যান্ডিং স্টেশনে এসেছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্মান দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া রিথিলা তন্বী। দূর থেকে প্ল্যাটফর্মের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ফিরে যাচ্ছিলেন। ওই সময় রিথিলার সঙ্গে কথা হয়।

তিনি জানান, আসলে ওয়াটার ট্যাক্সি করে যাওয়াটা আমার জন্য সহজ। বিগত দুই বছর ধরে নিয়মিত ওয়াটার ট্যাক্সি করে যাওয়ার চেষ্টা করি কিন্তু ট্যাক্সিই তো ঘাটে আসে না।

ট্যাক্সি ঘাটের পরিবেশ নিয়ে এই যাত্রী বলেন, ‘দেখছেন একবার এখানকার পরিবেশটা? কোথাকার কারা এখানে শুয়ে আছে, কে জানে! এমন অবস্থা দেখলে খুব ইনসিকিউর ফিল করি। তাই চলে যাচ্ছি।’

সাতটা ৫৮ মিনিটে তাড়াহুড়ো করে একজনকে স্টেশনে আসতে দেখা গেল। তিনি এসেই নিরাপত্তারক্ষীকে নির্দেশ দিলেন ঘুমন্ত মানুষগুলোকে ডেকে তুলে প্ল্যাটফর্ম থেকে বের করে দিতে। নির্দেশ শুনে তৎপর নিরাপত্তারক্ষী। একে একে সবাইকে ডেকে তুলে প্ল্যাটফর্ম থেকে বিদায় করে দিলেন। কেনো তাদের সড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এমনটা জানতে চাওয়ায় নিরাপত্তারক্ষীকে নির্দেশকারী জানালেন, ‘বড় স্যার (সচিব) আসবেন’।

এই বলেই হন্তদন্ত হয়ে তিনি চলে গেলেন ল্যান্ডিং স্টেশনের একটি কক্ষে। সেখান থেকে ঝাড়ু হাতে ফিরে, নিজেই পরিষ্কার করলেন সমস্ত স্টেশনসহ প্ল্যাটফর্মে বসার আসনগুলো। অবস্থা দেখে মনে হলো, গত দুই দিন থেকে এই স্টেশন পরিষ্কার করা হয় না। সিমেন্ট দিয়ে বাধানো বসার আসনগুলোতে ছারপোকার অভাব নেই। ছারপোকার কামড়ে এক জায়গায় পাঁচ মিনিটের বেশি বসে থাকা অসাধ্য।

নয়টা বাজার কিছুক্ষণ আগে চার থেকে পাঁচজন যাত্রী এসে হাজির হলেন স্টেশনে। উদ্দেশ্য ওয়াটার ট্যাক্সি ধরে সদরঘাট যাবে। তাদেরই একজন আজীবুল মোল্লা, পেশায় ক্ষুদে কাপড় ব্যবসায়ী। তিনি নয়টার সময় এসেও ওয়াটার ট্যাক্সি ঘাটে না দেখে স্টেশনে লঞ্চ-স্টিমার শাখায় কর্মরত একজন কর্মচারীকে জিজ্ঞেস করলেন ‘এখনো ঘাটে ওয়াটার বাস নাই কেন?’ প্রত্যুত্তরে ওই কর্মকর্তা বললেন, ‘এইডা আর নতুন কি? ওরা তো শুরু থাইকাই মন-মর্জি মতো চলে। যেদিন পকেট ফাহা (খালি) থাকে হেইদিন আয় যাত্রি লইতে।’

আজ আসবে কি না জানতে চাইলে ওই কর্মচারী বলেন, ‘আইলে এতক্ষণে আইসা পড়তো। আইজ আর আইবো না।’

পাশে থেকে আরেক অপেক্ষমান যাত্রী বললেন, ‘খবরে দেখায় এত এত ট্যাক্সি ছাড়ছে,তাহলে এগুলা দিয়া লাভ কি?’

প্রত্যুত্তরে ল্যান্ডিং স্টেশনের নিরাপত্তারক্ষী বললেন, ‘আরে ভাই সাংবাদিকরা আর কি জানে। তারা আহে ফটো তুলে আর ভিডিও কইরা যায়। টিভিতে যা দেহায় তার সবই কি সত্যি না কি! আগের দুইডায় সরকার লোকশানে আছিলো। এহন যেডি ছাড়ছে হেডিতে সরকার ভর্তুকি দেয়। হের লেইগা সকাল-সন্ধ্যা না চইলা, দিনে একটা ট্রিপ দেয় ট্যাক্সি। খবরের কতা বাদ দেন। আমরা যা কই হেইডাই সত্যি।’

ওয়াটার ট্যাক্সির এমন বেহাল দশা নিয়ে যোগাযোগ করা হয় বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ তাজুল ইসলামের সাথে। তিনি না থাকায় তার ব্যাক্তিগত সহকারি কল রিসিভ করে প্রশ্নের সুরে বলেন, ‘কেন চলবে না? এটা তো প্রতিদিন চলার কথা। কেন চলছে না সেটার কোনো কারণ এখনও আমরা জানি না। আমরা চট্টগ্রাম আছি। আপনি দুই দিন পর যোগাযোগ করুন, তখন জানানো হবে’।

উল্লেখ্য, গাবতলী থেকে সদরঘাট পর্যন্ত চলাচল করা এসব ওয়াটার ট্যাক্সির ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। যাত্রাপথে এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনের ভাড়া ১৫ টাকা। ২০১৩ সালে উদ্বোধন করা ট্যাক্সিগুলোতে যাত্রী আকর্ষণে ভর্তুকি দিয়ে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। আগের ওয়াটার ট্যাক্সিগুলোর যাত্রী ধারণক্ষমতা ৩৫ জন। কেরানীগঞ্জের ‘ঢাকা ডকইয়ার্ডে’ নবনির্মিত চারটি ওয়াটার ট্যাক্সির প্রতিটির যাত্রী ধারণক্ষমতা ৮১ জন। সদরঘাট থেকে যাত্রা করে ওয়াটার ট্যাক্সিগুলো পথে খোলামোড়া, সোয়ারিঘাট, বছিলা ও রায়েরবাজারে যাত্রী ওঠানামা করাবে।

বলে রাখা ভালো, ২০০৪ সালে একটি ওয়াটার ট্যাক্সি নামানো হয়েছিল। এরপর ২০১০ সালের ২৮ আগস্ট দুটি নৌযান দিয়ে দ্বিতীয় ওয়াটার বাস সার্ভিস চালু করা হয়। তবে গত দুইবারই যাত্রীর অভাব, নৌযানে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এসব সেবা বন্ধ হয়ে যায়। তৃতীয়বারের মতো ওয়াটার ট্যাক্সি সেবা চালু হলেও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনেকেই বলছেন, এই সেবাও বন্ধ হয়ে যাবে খুব দ্রুত। নানা সমস্যার কারণে এসব সরকারি সেবার ধার ধারে না যাত্রীরা। নদীর নোংরা পানির দুর্গন্ধ ও অনিয়মিত যাত্রী সেবার কারণে এমন অবস্থা বলে মনে করেন অনেকেই।

 

   

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর হাজারিবাগ এলাকার পেছনের মাঠে তার মরদেহ পড়েছিল। খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটনের (এসএমপির) বিমানবন্দর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

নিহত অমিত দাস শিবু গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরীর বাগবাড়ি নরসিং টিলা এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন।

জানা যায়, অমিত দাস শিবু প্রতিদিনের মতো আজ রাতেও উত্তরপূর্ব পত্রিকা অফিসে কাজ করে বাসায় ফিরছিলেন। রাত পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়।

এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল। তবে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। কিন্তু মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মিলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

;

গ্যাস-বিদ্যুৎ-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ও ভর্তুকি সহনীয় পর্যায়ে রেখে সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়ের (বাড়ানো) সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল।

অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে এক বৈঠকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ সুপারিশ করেছে ঋণ কর্মসূচির আওতায় শর্ত বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে আসা আইএমএফ’র প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদলটি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাও জানতে চেয়েছে। এছাড়া লক্ষ্যভিত্তিক খেলাপিঋণ কমানো বিশেষ করে সরকারি মালিকানার ব্যাংকগুলোর খেলাপিঋণ কমিয়ে আনা এবং প্রক্রিয়াধীন থাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত আইনগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে ভর্তুকি নিয়ে বৈঠক করে মিশনের একটি অংশ, ভর্তুকি কমিয়ে আনেত পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক সূত্র-ভিত্তিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সরকারকে স্বাগত জানায়।

তবে সার্বিক বাজেট ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্য বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আপাতত কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে যাবে সরকার। তবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি কমাতে পর্যায়ক্রমে এসবের দাম বাড়ানো হবে।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ–এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।

বৈঠকে সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারাসহ সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিমসহ জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের এমডিরাও উপস্থিত ছিলেন।

;

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর দুই আরোহী মিলন হোসেন (২৫) ও জাব্বারুল (১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে নিহত টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে ও আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত টুটুল আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইলস কিনে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মহেশপুর গ্রামে ফিরছিলেন টুটুলের পিতা ইলিয়াস। পথে ভালাইপুর বাজারের অদূরে টাইলসবাহী গাড়িটি বিকল হয়ে পড়লে ইলিয়াস ছেলে টুটুলকে ফোন দিয়ে ডাকেন। টুটুল মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে মিলন ও জাব্বারুলকে নিয়ে ভালাইপুরের উদ্দেশে বের হন। পথে হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা একটি লাটাহাম্বারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন হোসেন ও জাব্বারুল নামের দুই যুবক জরুরি বিভাগে আসে। আহতদের মধ্যে মিলনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এবং জাব্বারুলকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

;