বাঙালির ব্যাংক



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান ব্যাংক ইউনাইটেড ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকে (ইউবিআই) বলা হয় ব্যাংক ‘ফর দ্য বেঙ্গলি, বাই দ্য বেঙ্গলি, অব দ্য বেঙ্গলি’। যে ব্যাংকের উদ্যোক্তারা সবাই বাঙালি আর ব্যাংকটির জন্মের সঙ্গে আছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী জনপদ কুমিল্লার নাম। বাঙালির এই ব্যাংক সমগ্র ভারতবর্ষের গর্ব।

১৯৫০ সালের ১৮ ডিসেম্বর, কুমিল্লা ব্যাংকিং কর্পোরেশন, বেঙ্গল সেন্ট্রাল ব্যাংক, কুমিল্লা ইউনিয়ন ব্যাংক এবং হুগলি ব্যাংক মিলে গঠিত হয় ইউনাইটেড ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (ইউবিআই)। ওই চারটি ব্যাংকেরই প্রতিষ্ঠাতা চার বাঙালি।

সবার আগে তৈরি হয় কুমিল্লা ব্যাংকিং কর্পোরেশন। ১৯১৪ সালে কুমিল্লার আইনজীবী এন সি দত্ত পত্তন করেন কুমিল্লা ব্যাংকিং কর্পোরেশনের। মাত্র ৩০০০ টাকা ছিল সম্বল।

এরপর ১৯১৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক জ্যোতিষচন্দ্র দাস তৈরি করেন বেঙ্গল সেন্ট্রাল ব্যাংক।

ব্যাংকিং ব্যবসায় অভিজ্ঞ কুমিল্লার ইন্দুভূষণ দত্ত ১৯২২ সালে স্থাপন করেন কুমিল্লা ইউনিয়ন ব্যাংক। আর উত্তরপাড়ার জমিদার, স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং ধনেখালির তৎকালীন বিধায়ক ধীরেন্দ্রনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের হাতে ১৯৩২ সালে তৈরি হয় হুগলি ব্যাংক লিমিটেড, যার সদর দফতর ছিল কলকাতার ধর্মতলায়।

ইউবিআই জন্মলগ্ন থেকে যেসব অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছায়নি, সেসব অঞ্চলে ব্যাংকের শাখা খোলার ব্যাপারে বেশি উৎসাহ দিয়েছে। যখন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং পরিষেবা প্রায় ছিলই না, তখন সেখানে হাজির হয়েছে ইউবিআই।

দক্ষিণ বাংলার সুন্দরবনের মানুষের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জঙ্গল আর নদী। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্য একমাত্র নদীপথই ভরসা। নদীপথকে ব্যবহার করে সেখানে ব্যাংকিং চালু করেছিল ইউবিআই। দুটি ভ্রাম্যমাণ লঞ্চে ব্যাংকের শাখা চালু করে তারা। সেগুলো বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে মানুষকে ব্যাংকিং সেবা দিত। টাকা জমা দেওয়া ও তোলাসহ বিভিন্ন ব্যাংকিং পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই লঞ্চ দুটিই ব্যাংকের শাখা হিসাবে কাজ করত। নদীবক্ষে ভ্রাম্যমাণ ব্যাংকের প্রচলন সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও কুশলী উদ্যোগের প্রতিফলন।

ব্যাংকিং ব্যবস্থার ইতিহাসে উত্থান-পতন একটি সাধারণ ঘটনা। বিশ্বের নানা দেশে বহু নামিদামি ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে সমস্যায় পড়েছে। কোনটি উঠে দাঁড়াতে পেরেছে, কোনটি ধরাশায়ী হয়েছে।

শুরুর কয়েক বছর পর ইউবিআই-ও একবার সমস্যায় পড়েছিল। একসঙ্গে বহু গ্রাহক এসে লাইন দিয়েছিলেন টাকা তুলে নেওয়ার জন্য। খবর চলে যায় পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের কানে। তিনি স্বয়ং চলে আসেন ব্যাংকের রয়্যাল এক্সচেঞ্জ প্লেস শাখায়। সেখানে একটা টেবিলের উপর উঠে দাঁড়িয়ে গ্রাহকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। বলেন, ‘ব্যাংকে কোন সমস্যা নেই, সকলের টাকাই সুরক্ষিত। অযথা আতঙ্কিত হয়ে কেউ যেন টাকা তুলে না নেন।’ এ কথায় দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে সে যাত্রায় বেঁচেছিল ইউনাইটেড ব্যাংক। যে টেবিলের উপরে দাঁড়িয়ে বিধানবাবু বক্তব্য রেখেছিলেন, সেটি এখনও কলকাতার রয়্যাল এক্সচেঞ্জ প্লেস শাখায় সংরক্ষিত।

বিধানচন্দ্র রায় নিজেও ছিলেন ইউবিআই-এর গ্রাহক। এ ব্যাংকের গ্রাহক তালিকায় আরও আছেন নামকরা বহু মানুষ, যেমন- দেশের প্রাক্তন চার রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ, জৈল সিংহ, প্রতিভা পাটিল ও প্রণব মুখোপাধ্যায়। এ ছাড়া রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিত্ব।

ভারতের রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদের উদ্যোগে ইউবিআই-এর রজতজয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষে ১৯৭৬ সালে রাষ্ট্রপতি ভবনে ব্যাংকের একটি শাখার উদ্বোধন হয়, যার পোশাকি নাম প্রেসিডেন্ট এস্টেট ব্রাঞ্চ। রাষ্ট্রপতি ভবনে এটাই কোনও ব্যাংকের প্রথম শাখা। পরে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আমলে রাষ্ট্রপতি ভবনেই আরও বড় জায়গায় শাখাটি স্থানান্তরিত করা হয়।

বাংলার ছোট-বড় শিল্প সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ইউবিআই-এর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। রাজ্যের চা শিল্পে এই ব্যাংকই সব থেকে বেশি ঋণ দিয়েছে। এক সময়ে ব্যাংকের মোট ঋণের ৩০ শতাংশই পেত চা শিল্প। ঋণের আওতায় রয়েছে পাট শিল্পও। রাজ্যের বহু ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে ইউবিআই-এর ভূমিকা কম নয়।

ফুলের চাষ, কুমোরটুলির প্রতিমা শিল্প, তাঁত শিল্প, চিরুনি বা পিতলের জিনিস তৈরির মতো উদ্যোগকে চাঙ্গা করতেও এগিয়ে এসেছে ইউবিআই। হিমঘরগুলিকেও বিমুখ করেনি। ঋণ নিয়ে ব্যবসা বাড়িয়েছে বড় মাপের অনেক শিল্প সংস্থাও।

প্রথম যে বড় শিল্পগোষ্ঠীকে এই ব্যাংক ঋণ দেয়, সেটি হলো টাটা গোষ্ঠী। তাদের একটি কাপড়ের মিল ইউবিআই-এর থেকে ঋণ নেয়। বিড়লা গোষ্ঠীর প্রথম যে দুটি সংস্থা ইউবিআইয়ের দেওয়া ঋণের তালিকায় আসে, তারা হল হিন্দ সাইকেল এবং ইন্ডিয়ান রেয়ন। কলকাতার গ্র্যান্ড হোটেল বা ওবেরয় গোষ্ঠী, বেঙ্গল কেমিক্যালস, বেঙ্গল এনামেল, সরস্বতী প্রেস, মার্টিন বার্ন, টিস্কো ইত্যাদি সংস্থার ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ইউবিআই-এর ঋণের বড় ভূমিকা রয়েছে।

ইউবিআই-এর ৯০ শতাংশ আমানতই পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত। একটি জাতীয় স্তরের ব্যাংক হলেও এই ব্যাংকের মোট ঋণের ৫০ শতাংশই খাটছে ভারতের পূর্বাঞ্চলে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এক ঘোষণায় পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক, ওরিয়েন্টাল ব্যাংক অব কমার্স এবং ইউবিআই, এই তিনটি ব্যাংক মিলে নতুন একটি ব্যাংক তৈরি কথা জানিয়েছে। তার নামও হবে নতুন। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির ব্যাংকের স্মৃতি এবং বহু স্মৃতিবিজড়িত ‘ইউবিআই’ নামটিও।

   

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর হাজারিবাগ এলাকার পেছনের মাঠে তার মরদেহ পড়েছিল। খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটনের (এসএমপির) বিমানবন্দর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

নিহত অমিত দাস শিবু গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরীর বাগবাড়ি নরসিং টিলা এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন।

জানা যায়, অমিত দাস শিবু প্রতিদিনের মতো আজ রাতেও উত্তরপূর্ব পত্রিকা অফিসে কাজ করে বাসায় ফিরছিলেন। রাত পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়।

এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল। তবে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। কিন্তু মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মিলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

;

গ্যাস-বিদ্যুৎ-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ও ভর্তুকি সহনীয় পর্যায়ে রেখে সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়ের (বাড়ানো) সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল।

অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে এক বৈঠকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ সুপারিশ করেছে ঋণ কর্মসূচির আওতায় শর্ত বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে আসা আইএমএফ’র প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদলটি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাও জানতে চেয়েছে। এছাড়া লক্ষ্যভিত্তিক খেলাপিঋণ কমানো বিশেষ করে সরকারি মালিকানার ব্যাংকগুলোর খেলাপিঋণ কমিয়ে আনা এবং প্রক্রিয়াধীন থাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত আইনগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে ভর্তুকি নিয়ে বৈঠক করে মিশনের একটি অংশ, ভর্তুকি কমিয়ে আনেত পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক সূত্র-ভিত্তিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সরকারকে স্বাগত জানায়।

তবে সার্বিক বাজেট ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্য বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আপাতত কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে যাবে সরকার। তবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি কমাতে পর্যায়ক্রমে এসবের দাম বাড়ানো হবে।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ–এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।

বৈঠকে সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারাসহ সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিমসহ জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের এমডিরাও উপস্থিত ছিলেন।

;

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর দুই আরোহী মিলন হোসেন (২৫) ও জাব্বারুল (১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে নিহত টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে ও আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত টুটুল আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইলস কিনে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মহেশপুর গ্রামে ফিরছিলেন টুটুলের পিতা ইলিয়াস। পথে ভালাইপুর বাজারের অদূরে টাইলসবাহী গাড়িটি বিকল হয়ে পড়লে ইলিয়াস ছেলে টুটুলকে ফোন দিয়ে ডাকেন। টুটুল মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে মিলন ও জাব্বারুলকে নিয়ে ভালাইপুরের উদ্দেশে বের হন। পথে হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা একটি লাটাহাম্বারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন হোসেন ও জাব্বারুল নামের দুই যুবক জরুরি বিভাগে আসে। আহতদের মধ্যে মিলনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এবং জাব্বারুলকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

;