যাত্রীর চাপে পথে আটকা পড়ছে ট্রেন,ভোগান্তির আশঙ্কা
ঢাকা: আবারও বিকল হয়ে পড়েছে লালমনি এক্সপ্রেস। এ অবস্থায় লালমনিরহাট থেকে পুরাতন রেক দিয়ে ট্রেনটিকে ঢাকা আনা হচ্ছে। এতে প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘন্টা দেরি হচ্ছে।এদিকে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস জয়দেবপুর গিয়ে যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়েছে।
কমলাপুর রেলওয়ে সূত্র জানায়, এবার ঈদে রেলের চমক ছিলো লালমনি এক্সপ্রেস। দেশে কোচগুলো মেরামত করে চলাচল উপযোগি করা হয়েছিলো। কিন্তু যাত্রা শুরুর এক সপ্তাহের মাথায় পরপর দু'বার ট্রেনটি বিকল হলো। অতিরিক্ত যাত্রী চাপে ট্রেনটির কোচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রেলভবন সূত্র জানায়, ঈদ যাত্রায় ১৩ জুন যে যাত্রী চাপ তা ট্রেনগুলো ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি। এ অবস্থায় কোচ দেবে যাচ্ছে। ফলে আগামী দুই দিন ট্রেন যাত্রায় ভোগান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বুধবার (১৩ জুন) সকালে নীলসাগরের পেছনের ২ কোচের অতিরিক্ত যাত্রীর জন্য কোচে সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় ট্রেনটি একঘন্টা জয়দেবপুরে বসে থাকে। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন নীলসাগরকে পেছনে ফেলে চলে যায়। বেলা ১টার কিছুক্ষণ পরই কোচ থেকে যাত্রী কমিয়ে নীলসাগর সচল করে আবার রওনা দেয়।
এদিকে শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে আরও কয়েকটি ট্রেন। রাতে লালমনি এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ে আসতে পারবে না তার ছাড়তেও বিলম্ব হবে বলে জানিয়েছেন কমলাপুর রেলস্টেশন মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন।
স্টেশন মনিটরের তথ্য অনুযায়ী, সকালে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ট্রেন ছাড়ার কথা পৌনে ৯টায়; ট্রেনটি ছেড়েছে নির্ধারিত সময়ের পৌনে একঘণ্টা পর।
লালমনিরহাটের লালমনি ঈদ স্পেশাল ট্রেন সকাল সোয়া ৯টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ছাড়ে সকাল ১১টায়।
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন সকাল ৯টায় ছাড়ার কথা থাকলেও তা সকাল ১০টার পরে কমলাপুর রেল স্টেশন ছেড়ে যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস কমিউটার ট্রেন সকাল সাড়ে ৯টার পরিবর্তে ২০ মিনিট দেরি করে বেলা ৯টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে গেছে। জামালপুরের তারাকান্দি রুটের অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেন আধাঘণ্টা দেরি করে সকাল সোয়া ৯টায় ছেড়েছে।
এছাড়া দিনাজপুরের একতা এক্সপ্রেস ২০ মিনিট দেরি করে বেলা ১০টা ২০ মিনিটে ছেড়েছে।
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাড়ার সময় সকাল ৮টায়। তবে ট্রেনটি আধাঘণ্টা দেরি করে সকাল সাড়ে ৮টায় গেছে। এর আগে ধুমকেতু এক্সপ্রেস ও সুন্দরবন দেরি করে ছাড়ে।
ট্রেনগুলোর পরপর শিডিউল বিপর্যয়ের ফলে যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি রেল চলাচলে ঈদ যাত্রায় বড় বিপযর্য ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা।