মানহানির দু’মামলায় খালেদার জামিন নামঞ্জুর
ঢাকা: ভুয়া জন্মদিন পালন ও যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়া সংক্রান্ত পৃথক দু’মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) মামলা দু’টিতে খালেদার জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন ঢাকার বকশিবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের অস্থায়ী আদালতে পৃথক দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খুরশীদ আলম ও আহসান হাবিবের আদালত জামিনের আবেদন দুটি নাকচ করে দেন।
খালেদার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলা দু’টির ধারা জামিনযোগ্য হলেও ম্যাজিস্ট্রেট জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। ম্যাজিস্ট্রেটের জামিন নাকচের আদেশটি আইনানুগ হয়নি। এ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
তবে রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, যে কোন মামলায় জামিন মঞ্জুর না মঞ্জুর আদালতের এখতিয়ার। মামলার ধারা জামিনযোগ্য হলেই যে জামিন দিতে হবে এমন কোন বিষয় নেই।
২০১৬ সালের ০৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষয়ের সভাপতি এবি সিদ্দিকী ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
মামলায় বলা হয়, ‘১৯৭৫ সালের ০৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে সামরিক সরকারের দায়িত্ব দখল করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছেন। ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতা গ্রহণ করে স্বাধীনতাবিরোধী আলবদর-রাজাকারদের হাতে মন্ত্রিত্ব তুলে দেন। যার মাধ্যমে স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটিয়েছেন’।
২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগ এনে ঢাকার সিএমএম আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় বলা হয়, মেট্রিক পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ সাল, ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ১৯ আগস্ট ১৯৪৫ সাল, বিবাহের কাবিননামায় ৪ আগস্ট ১৯৪৪ সাল ও ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পার্সপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ৫ আগস্ট ১৯৪৬ সাল বলে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগ করা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে ৪টি জন্মদিনের সংবাদ পাওয়া গেলেও খালেদা জিয়ার ১৫ আগস্টে জন্মদিনের স্বপক্ষে কোন তথ্যপ্রমান পাওয়া যায়নি। ৪টি জন্মদিনের কোন একটি পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীতে ঘটা করে জন্মদিন পালন করে আসছেন।