৫৫০ টাকার মিটার নিতে ৫ হাজার টাকা ঘুষ!



কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল: জেলার লোহাগড়ায় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতায় নুতন সংযোগে গ্রাহকদের কাছ থেকে উৎকোচ (ঘুষ) নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং একটি দালাল চক্র এই উৎকোচ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

জানা যায়, উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের একটি দালাল চক্র বিদ্যুতের মিটারসহ নতুন সংযোগ দিতে গ্রাহক প্রতি ৪ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ৫ হাজার ৩০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। হাতিয়ে নেয়া টাকার কথা অন্য কারো কাছে প্রকাশ না করার জন্য গ্রাহকদের নিষেধ করে দিয়েছেন সংঘবদ্ধ চক্রটি।আর উৎকোচের বিষয়টি প্রকাশ করলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগটি কেটে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একটি মিটার সংযোগের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ আবেদন ফি ১০০ টাকা, সদস্য ফি ৫০ টাকা এবং জামানত ফি ৪০০ টাকা অর্থাৎ প্রতি মিটার বাবদ সর্বমোট ৫৫০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ হিসাব মতে দেখা যায়, মিটার প্রতি অফিস বা দালাল চক্র ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৫ হাজার ৩০০ টাকা অতিরিক্ত উৎকোচ হিসেবে নিচ্ছেন।
অনেক গ্রাহকের কাছ থেকে এর চেয়ে আরও বেশি টাকা নেয়ারও নজির আছে। আর ওই টাকা পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ও দালাল চক্ররা ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। মাঝখানে গ্রাহকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিসহ নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নোয়াপাড়া গ্রামের মঞ্জুর আলমের ছেলে দালাল বদরুল শেখ নোয়াপাড়া গ্রামের ৭১টি পরিবারের ১২০টি মিটারের মধ্যে ৯৬টি মিটার দিয়ে প্রতিটি নারী গ্রাহকের কাছ থেকে ৪ হাজার ৩০০ টাকা এবং পুরুষ গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫ হাজার ৩০০ টাকা হারে কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছেন।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, সংঘবদ্ধ ওই দালাল চক্রটি হাতিয়ে নেয়া টাকার বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন জড়িতরা।

নোয়াপাড়া গ্রামের গ্রাহক হাই মিয়া জানান, দীর্ঘদিন এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় গ্রাহকদের মধ্যে এর ব্যাপক চাহিদা ছিল। সেই সুযোগে বিদ্যুৎ অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও একই গ্রামের সাখায়াত হোসেন সকুর ছেলে নুর মোহাম্মদ এবং দালাল বদরুল শেখের যোগসাজশে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে।

একই গ্রামের উত্তর পাড়ার দিপালী বেগম বলেন, ‘আমার কাছ থেকে বদরুল শেখ মিটার দিয়ে ৫ হাজার ৩০০ টাকা নিয়েছেন।’

হাবিবর শেখ বলেন, ‘আমি বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য হাই মিয়ার কাছে ৮ হাজার ১০০ টাকা দিয়েছি। হাই মিয়া সব টাকা নিয়ে দালাল বদরুলকে দিয়েছেন। বদরুল আমার কাছে আরও টাকা দাবি করেছিলেন। কিন্তু আমি তা দেয়নি।’

দোলেনা বেগম বলেন,‘বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা বলে কৌশলে ভিন্ন ভিন্ন খাতে টাকার অংক উল্লেখ করে ৫ হাজার ৩০০ টাকা নিয়েছেন। আমার সঙ্গে জুলুম করা হয়েছে।’

দালাল বদরুল শেখ বলেন, ‘আমি বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কাজ করেছি। তবে গ্রামের কয়েকজন ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাই তারা অনিয়ম করে থাকতে পারেন। আমি কোনো অনিয়ম করিনি।’

এ বিষয়ে যশোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন লক্ষ্মীপাশা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘যশোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডিজিএম টেকনিক্যাল অরুণ কুমার কুণ্ডুসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা সরেজমিনে অভিযোগটির তদন্ত সম্পন্ন করেছেন। তবে তদন্ত রিপোর্ট সম্পর্কে এখনো আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

   

বীর মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহ, পৌর মেয়রের বিচারের দাবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. মঞ্জুরুল আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করে প্রকাশ্যে অবমাননার ঘটনায় মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের একটি চাইনিজ রেস্তোরায় মেয়র রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে অবমাননার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুবিচার চেয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মঞ্জুরুল আলমের ব্যবসায়ীক অংশীদার সৈয়দ আহম্মদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজল ইসলাম, জাফর আহমেদ ভূঁইয়া ও মোকতার আহমেদ ভূঁইয়া।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মঞ্জুরুল আলম বলেন, ২০২২ সালে রায়পুর থানা মসজিদ সংলগ্ন আমি ও আমার অংশীদার যৌথভাবে একটি ৯ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করি। শুরু থেকেই মেয়র রুবেল ভাট আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে আসছে। কিন্তু আমি চাঁদা দেবো না বলছি। এরমধ্যেই পঞ্চম তলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ষষ্ঠ তলার কাজ চলমান রয়েছে। গত ৪ মার্চ মেয়র রুবেল ভাটের লোকজন এসে আমাদের ভবনের সামনে রাউন্ড দেওয়াল ভেঙে দেয়। আমি এসে কারণ জানতে চাইলে তারা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। একইদিন আমি ওমরাহর জন্য রায়পুর থেকে চলে যায়। আমার অংশীদার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ আহম্মদ অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপরও পরদিনের একটি মারামারির ঘটনা সাজিয়ে মেয়র তার কার্যালয়ের কার্যসহকারী মহিন উদ্দিন বিপুকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ চাঁদা দাবির ঘটনায় আমি মেয়র রুবেলভাটসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতে ২১ এপ্রিল মামলা দায়ের করি। এর জের ধরে আমার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মানববন্ধন করা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে মেয়রের লোকজন আমার কুশপুত্তলিকা দাহ ও ঝাড়ু মিছিল করেছে। আমি এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মঞ্জুরুল আলমের ব্যবসায়ীক অংশীদার সৈয়দ আহম্মদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বর্তমান সরকারের অন্যতম স্লোগান। এরপরও মেয়র রুবেল ভাট একজন মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে। মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করিয়েছে। যারা দেশ স্বাধীন করেছে তাদের এমন অপমান কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম। আগে জানতাম না, পরে শুনেছি। আমি পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র আমার পক্ষে লোকজন আসতেই পারে। কেউ যদি এসে মিছিল বা অন্য কিছু করে তাতো আমার বিষয় না। পক্ষে-বিপক্ষে লোকজন থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, মেয়রের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে আদালতের নির্দেশনা পেয়েছি। আগামি ৬ জুনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এছাড়া পৌর কর্মচারী বিপুও একটি মামলা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলমের বিরুদ্ধে। দুটি মামলাই তদন্ত চলছে। মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহের ঘটনাটি জানা নেই।

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান খান বলেন, মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মিছিল হয়েছে শুনেছি। কুশপুত্তলিকা দাহ করার ঘটনাটি জানা নেই। কেউ আমাকে বলেনি। এমন ধরণের ঘটনা অবশ্যই ঘৃণিত কান্ড। এ ঘটনায় তিনি মানহানি মামলা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাঁকে সহযোগীতা করা হবে।

;

বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারের আশুলিয়ায় একটি বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মুখ ও মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত নারীর নাম আনজু খাতুন (৩১)। তিনি গাইবান্ধা জেলার সদর থানার ঘাগোয়া ইনিয়নের মৃত মনোয়ার হোসেনের মেয়ে।

নিহত আনজু খাতুন আশুলিয়ার নরসিংহপুরের হা-মীম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকার একটি বাঁশবাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ওই এলাকার একটি বাঁশবাগানের ভেতর নারী পোশাক শ্রমিকের মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেউ তাকে হত্যা করে ওই স্থানে ফেলে রেখে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভজন চন্দ্র রায় বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকান্ডের কারন উদঘাটনের চেষ্টা করছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

;

পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম (২০) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

বিএসএফের গুলিতে নিহত আবুল কালাম উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত অপির উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে সাত-আটজনের একটি গরু পাচারকারীর দল ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে পকেট পাড়া নামক স্থানে যায়। হঠাৎ ১৬৯ ডুরাডাবড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদল সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় আবুল কালাম। সঙ্গে থাকা অন্যরা উদ্ধার করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এনে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বার্তা ২৪ কমকে জানান, সীমান্তে বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

;

লালমনিরহাটে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শাহিন মিয়া নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা-বুড়িমারী মহাসড়কের বুড়িমারী ইউনিয়নের কল্লাটারী উচা ব্রিজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাহিন মিয়া উপজেলার বুড়িমারী স্টেশনপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীসহ ২ জন পাটগ্রাম থেকে বুড়িমারী যাওয়ার সময় উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের কল্লাটারী উচা ব্রিজ এলাকায় বুড়িমারী-লালমনিরহাটগামী পাকা রাস্তায় পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।

আহতরা হলেন উপজেলার একই ইউনিয়নের স্টেশনপাড়া এলাকার আব্দুল মালেক ছেলে ওলিউর রহমান অলু (৪০) ও আব্দুল খলিলের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫)। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার।

বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য হাসানুজ্জামান বলেন, পাটগ্রামে থেকে আসার পথে কল্লাটারী উচা ব্রিজে কয়েকজন লোককে পড়ে থাকতে দেখতে পাই। গাড়ি থেকে নেমে দেখি একজন মারা গেছেন আর দুজন মোটরসাইকেলসহ পড়ে আছে।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কল্লাটারী উচা ব্রিজ এলাকায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শাহিন নামে একজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এতে দুজন আহত হয়েছেন।

;