প্রতিবাদে উত্তাল নগরীতে সড়কে ঝরছেই প্রাণ



মনি আচার্য্য, শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঢাকা: পরিবহন ধর্মঘট ও শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনে ফাঁকা নগরীর পথ-ঘাট। ছুটির দিনে ফাঁকা নগরীতে মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পরলেন সাইফুল। মগবাজার ওয়ারলেস মোড়ে বেপরোয়া গতি একটি বাস কেড়ে নিলো এই টগবগে এই যুবকের প্রাণ।

গণপরিবহন চালকদের বেপরোয়া গতির জন্য দুই সহপাঠীর নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারা দেশ জুড়ে চলছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। আর এই আন্দোলন যখন ৫ম দিনের মাথায় আবারও চালকের বেপরোয়া গতির কারণে প্রাণ গেল সাইফুল ইসলামের (২২)।

শুক্রবার (৩ আগস্ট) বেলা ১ টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর মগবাজারের ওয়ারলেস মোড়ে এসপি লাইন পরিবহনের একটি বাস, রিকশা ও মোটরসাইকেলে মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।

পরে আহত অবস্থায় সাইফুল ইসলামকে ঢামেকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, চালক চাইলেই এই দুর্ঘটনা এড়াতে পারত। কিন্তু সেএই বিষয়টিকে কোনো ধরনের পাত্তা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

এ বিষয়ে ওয়ারলেস এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা শিশির খান বলেন, নামাজ শেষে মগবাজার ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে যাচ্ছিলাম। এমন সময় দেখতে পাই একটি মোটরসাইকেল ফ্লাইওভার থেকে নামছে। তার পিছনেই এসপি লাইনের একটি বাস ছিল। ফ্লাইওভার নামার মুখে বাসের চালক গতি ধীর না করে সরাসরি বাইকটিকে ধাক্কায় দেয়।

তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আরও বলেন, এতে করে বাইকটি ১০-১৫ হাত দূরে ছিটকে গিয়ে পরে। পরে বাস চালকটি চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে নেমে পালিয়ে যায়। এমন পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীন বাসটি একটি রিকশায় গিয়ে আঘাত করে। এতে যাত্রীসহ রিকশার চালক রাস্তায় পরে যায়। আহত অবস্থায় রিকশা চালকে ঢামেকে নেওয়া হয়।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সিদ্দিক বলেন, বাস চালকটি একটু সচেতন বা নিয়ম অনুযায়ী চালালেই সাইফুল প্রাণে বেঁচে যেত। পাঁচ দিন ধরে আন্দোলন ও এত কিছু; এরপরও চালকরা ঠিক হচ্ছে না। তারা কি রাষ্ট্র থেকেও শক্তিশালী?

এ ঘটনায় স্থানীয় শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ চেষ্টা করলে রামনা জোনের ডিসি মারুফের নেতৃত্বে তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করে।

আর উত্তেজিত জনতার আগুন দেওয়া এসপি লাইনের বাসটিকে দ্রুত র‍্যাকার করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে ফেলে পুলিশ।

গতকাল সন্ধ্যায়ও প্রাইভেট কারের আঘাতে ফকিরাপুলে এক পথচারীও নিহত হন। ফুটপাতের উপর দিয়ে হাঁটার সময় পিছন থেকে প্রাইভেট কারটি ওই পথচারিকে ধাক্কা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢামেকে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন চলাকালে এমন দুর্ঘটনা চোখে দেখে  হতবাক সাধারণ মানুষ। তাদের মনে এখন নতুন ভয়ের সঞ্চয় হচ্ছে আসলেই কি তারা কোনো দিন নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা পাবেন এই শহরে?

   

মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম থেকে উদ্ধার যুবকের কিডনি অক্ষত আছে: চিকিৎসক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে আলোচিত মিল্টন সমাদ্দারে চাইল্ড অ্যান্ড এইজ কেয়ার থেকে উদ্ধার হওয়া ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের যুবক সেলিম মিয়ার (৪৫) দুটি কিডনি অক্ষত আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

শনিবার (১১ মে) রাতে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের চিকিৎসক ডা.সৈয়দ হাসানুল ইসলাম আকাশ।

এর আগে গত বুধবার (৮ মে) পুলিশের সহায়তায় সেলিমকে অসুস্থ অবস্থায় মিল্টন সমাদ্দারের আ্শ্রম চাইল্ড অ্যান্ড এইজ কেয়ার থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

সেলিম মিয়া ঈশ্বরফগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের বৃপাচাশী গ্রামের হাসিম উদ্দনের ছেলে।।

সেলিমের পরীক্ষা -নিরীক্ষা করেন নগরীর প্রান্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডা.সৈয়দ হাসানুল ইসলাম আকাশ। তিনি বলেন রোগীকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা গেছে তার শরীলে কোনো অপারেশন হয়নি। দুটি কিডনি ঠিক আছে যে জায়গায় কিডনি থাকে সে জায়গায় কাটা দাগ বা ক্ষত থাকায় সন্দেহ হয়েছিলো।হয়তো রোগী মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় তাকে আটকে রাখার জন্য কোনে কিছু দিয়ে বেঁধে বা বেল্ট পরিয়ে রাখার কারণে ক্ষত বা কাটা দাগের মত হয়েছে। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সেলিম প্রায় ছয় মাস আগে বাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়। অনেক খুঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঢাকায় মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যাড কেয়ারের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে দেখে পরিবার শনাক্ত করে। ঢাকা গিয়ে পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার করে। কিন্তু বাড়ি নিয়ে আসার পর সেলিমের পেটে বড় কাটা দাগ থাকা সন্দেহ হয়। পরিবারের দাবি সেলিম মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও পেটে কোনো কাটা দাগ ছিলো না।

 

;

জন্মদিনে শিশুদের মাঝে ১০ হাজার গাছ বিতরণ করল বাবুল্যান্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশুদের বিনোদনভিত্তিক ইনডোর প্লে-গ্রাউন্ড বাবুল্যান্ড এর ৬ষ্ঠ বছরপূর্তী উপলক্ষে শিশুদের মাঝে ১০ হাজার গাছ বিতরণ করেছেন বাবুল্যান্ড কর্তৃপক্ষ। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলার পাশাপাশি, সবুজ পৃথিবীর গুরুত্ব শিশুদের কাছে তুলে ধরে ভবিষ্যত সবুজ পৃথিবী গড়ে তোলার মূল্যবোধ সৃষ্টি করায় এই উদ্যোগের প্রধান উদ্যেশ্য বলে জানানো হয়।

শনিবার (১১মে) বাবুল্যান্ডের ৬ বছরে পদার্পন উপলক্ষে আয়োজিত বাবুল্যান্ডের ১১টি ব্রাঞ্চে শিশুদের মাঝে এই গাছ বিতরণ করা হয়।

শিশুদের স্বর্গরাজ্যখ্যাত বাবুল্যান্ডের বিশেষ আয়োজনে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে শিশুদের মাঝে গাছ বিতরণের মতো সামাজিক উদ্যোগ। এসময় প্রতিটি ব্রাঞ্চে দেখতে পাওয়া যায় বাবুল্যান্ড বাডিস গাব্বুশ,ক্যাপ্টেন কিকো, তুতুন সহ শিশুদের পছন্দের সব চরিত্র। ব্যতিক্রমী এই আয়োজন শিশুদের মাঝে এক ভিন্ন উত্তেজনা সৃষ্টি করে।

প্রতিষ্ঠাতা ইশনাদ চৌধুরী বলেন, 'বাবুল্যান্ড একটি ভিন্ন ধর্মী প্রতিষ্ঠান, যেখানে আমরা সবসময় শিশুদের বেনফিট এর জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সেই চিন্তা ভাবনার একটা বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে শিশুদের মাঝে এই ১০ হাজার গাছ বিতরণ। এবং সেই সাথে আমি আরো বলতে চাই বাচ্চাদের সুস্থ্য বিনোদন শুধু প্লে-গ্রাউন্ডে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। এখন সবার ঘরে ঘরে স্মার্টফোন তাই বাচ্চাদের সুস্থ্য বিনোদন হতে হবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও। সেই উদ্দেশ্যে বাবুল্যান্ডের নিজস্ব চরিত্র নিয়ে তৈরি করছে বাডিস-শো নামের ইউটিউব কনটেন্ট যা ইতিমধ্যে শিশুদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।'

এসময় বাবুল্যান্ডের জন্মদিনে কিছু অভিভাবকদের সাথে কথা হয় । তাদের মাঝে থেকে নিনিতের মা বলেন, 'বাবুল্যান্ড শুধু আমার ছেলের পছন্দের জায়গা না, আমারও অনেক পছন্দের। আমার ছেলে বাবুল্যান্ডে খেলতে এবং বাবুল্যান্ডের অন্য সব কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করতে খুবই পছন্দ করে। আর আজকের এই বিশেষ দিন জানার পর আমি নিজে থেকেই নিনিত কে নিয়ে চলে এসেছি। নিনিত বাবুল্যান্ডের জন্মদিনের জন্য একটি গিফট ও নিয়ে এসেছে ,সে নিজের হাতে বার্থডে উইশ কার্ড বানিয়ে নিয়ে এসেছে। আর বাবুল্যান্ডও নিনিতের মত সব শিশুদের কথা মাথায় রেখে গিফট হিসেবে রেখেছে গাছ এবং একটি পোস্টার। বাবুল্যান্ডের এই ব্যাপার গুলো সত্যি খুব অসাধারণ।'

রাজধানীতে উন্মুক্ত জায়গা দিন দিন কমে যাচ্ছে আর সেই সাথে কমে যাচ্ছে গাছ। সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ এখন শুধু বইয়ের পাতায়। অপরিকল্পিত নগরায়ন বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন তথা উষ্ণতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। শিশুদের মাঝে গাছের গুরুত্ব তুলে ধরতে বাবুল্যান্ডের এই উদ্যোগ।

জানা গেছে, বাবুল্যান্ড বিগত ৬ বছরে প্রায় ৩০ লাখ শিশুর হৃদয়ে এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। শিশুদের সাথে সাথে তাদের অভিভাবকের মনেও বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে বাবুল্যান্ড। ২০১৮ সালের ১১ই মে থেকে যাত্রা শুরু করে এখন পর্যন্ত বাবুল্যান্ডের মোট ব্রাঞ্চ সংখ্যা ১১টি। ঢাকার প্রায় সব এলাকায় জনপ্রিয় মার্কেট এবং ল্যান্ডমার্কেই আছে বাবুল্যান্ড ব্রাঞ্চ।

বাবুল্যান্ডের ঠিকানা: মিরপুর শপিং কমপ্লেক্স - মিরপুর ২, রমজান নেসা সুপার মার্কেট - মিরপুর ১২, শেওড়াপাড়া - মেট্রোরেল সেটশনের পাশে, রোজ ভ্যালী শপিং মল - ওয়ারী, এলিয়েন স্কয়ার - লক্ষ্মীবাজার, নর্থ টাওয়ার হাউজ বিল্ডিং - উত্তরা, আতিক টাওয়ার - আজমপুর উত্তরা, বিটিআই প্রিমিয়ার প্লাজা - উত্তর বাড্ডা, ওয়েস্ট পয়েন্ট বিল্ডিং - গ্রিন রোড, ধানমন্ডি সিমান্ত সম্ভার এবং আলমাস পয়েন্ট শপিং কমপ্লেক্স - নারায়ণগঞ্জ।

;

মেয়র-চেয়ারম্যান গ্রুপে বিভক্ত রাঙামাটির শ্রমিক নেতারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাঙামাটির পরিবহণ শ্রমিক অঙ্গণ।

গত কয়েকদিনে শ্রমিক নেতাকে মারধর, ড্রাইভারের উপর হামলাসহ চট্টগ্রাম আদালতে অভিযোগ, রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় অভিযোগের পাশাপাশি টানা তিনদিনে পরপর তিনবার সংবাদ সম্মেলনে একের বিরুদ্ধে অপরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে পরিবহণ শ্রমিকদের নিয়ে রাঙামাটিতে ধর্মঘট পালনের হুমকি দেওয়া ঘটনা ঘটেছে।

গত ৯ এপ্রিল রাঙামাটি পৌর ট্রাক টার্মিনালে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ উত্থাপন করার পরেরদিন ১০ এপ্রিল রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারসহ সাধারণ শ্রমিকদের জিম্মি করে রাখার অভিযোগ করে রাঙামাটি প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন রাঙামাটি জেলা ট্রাক-মিনি ট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এটিএম হাসমত উল্লাহ। এসময় হাসমত উল্লাহ-সিরাজসহ অন্যান্য নেতারা রাঙামাটির পৌর মেয়রের দিকে ইঙ্গিত করে রুহুল আমিনকে মেয়রই মাঠে নামিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।

এ ঘটনার পরদিন ১১ এপ্রিল দুপুরে পাল্টাপাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ্যে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের হাসমত উল্লাহ, সিরাজদের ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ করে রুহুল আমিন বলেন, আমার প্রতি প্রতিশোধ নেয়ার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান রোমান আমাকে রাউজানে নিয়ে গিয়ে মার খাইয়েছেন।

এসব ঘটনায় প্রায় প্রকাশ্যেই এখন চাউর হয়েছে রাঙামাটির পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ এখন মেয়রপন্থী ও উপজেলা চেয়ারম্যানপন্থী হিসেবেই নিজেদের অর্ন্তোকোন্দল প্রকাশ্যে এনে সংঘাতে জড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে সাধারণ শ্রমিকরা।

শ্রমিকনেতাদের এমন পাল্টাপাল্টি ইন্ধনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আকবর হোসেন চৌধুরী মুঠোফোনে প্রতিবেদককে বলেছেন, রাঙামাটির প্রতিটি শ্রমিক সংগঠনের প্রতি আমার আন্তরিকতা ভালোবাসা শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। দলমত নির্বিশেষে আমি সবাইকে সহযোগিতা করি।

বিগত ২০১৭ সালের পাহাড় ধস, এরপর কোভিট পরিস্থিতিতে রানীরহাট, রাউজানসহ রাঙামাটির সর্বস্তরের সকল শ্রমিক ভাইদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছি। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমি এখনো পর্যন্ত তাদের পাশে থেকে কাজ করছি। ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের কোনো ধরনের অর্ন্তকোন্দলে আমি মোটেও জড়িত নই এবং এটি আগামী পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি কোনোদিন শ্রমিক সংগঠনের কোনো পদেই ছিলাম না। মেয়র বলেন, কেউ যদি কারো ব্যর্থতা ঢাকার জন্য সাধারণ শ্রমিকদের ব্যবহার করে তাদের ভেতরকার কোন্দলে আমাকে সম্পৃক্ত করার অপচেষ্ঠা করে তাহলে বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক হবে।

অপরদিকে শ্রমিক নেতা রুহুল আমিনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙামাটির সদর উপজেলার চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান বলেন, মূলতঃ উপজেলা নির্বাচনে আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে আগামী পৌর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর হতেই রুহুল আমিন গংরা আমার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

তিনি বলেন, সামনে পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের লক্ষ্যে এক জনপ্রতিনিধির ইন্ধনেই এসব করা হচ্ছে। পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরিবহন সেক্টরে,পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে নানা অরাজকতা, নৈরাজ্য সৃষ্টিসহ জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে।

;

'দেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে সরকার সব ধরণের পদক্ষেপ নেবে'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
'দেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে সরকার সব ধরণের পদক্ষেপ নেবে'

'দেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে সরকার সব ধরণের পদক্ষেপ নেবে'

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে সরকার সব ধরণের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির (বিএফডিএ) পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।

বিএফডিএ ২০২২-২০২৩ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র এবং দেশীয় ওটিটি মাধ্যমে মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েব ফিল্ম নির্মাণের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন শাখায় অবদান ও শ্রেষ্ঠত্বের জন্য প্রথমবারের মতো এ পুরস্কার প্রদান এবং অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, চলচ্চিত্র অত্যন্ত শক্তিশালী একটি মাধ্যম। এই মাধ্যমকে বাংলাদেশে আরো শক্তিমত্তা নিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিবেশ তৈরির জন্য অংশীজনদের সাথে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে এবং তাদের মতামত নিয়ে সরকার সবকিছু করবে। চলচ্চিত্র দিয়ে বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে তুলে ধরা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে এফডিসি (চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন) প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এফডিসি'র মাধ্যমে আমাদের শিল্পী-পরিচালকবৃন্দ যারা চলচ্চিত্রের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন তারা তার প্রতিদান দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের চলচ্চিত্রের বিশাল ভূমিকা ছিল। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়েও আমাদের চলচ্চিত্রের বিভিন্ন পর্যায়ে ভূমিকা রেখেছিল।

তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে সমাজে অনেক পরিবর্তন হয়েছে, যে পরিবর্তনগুলো ইতিবাচক। এ পরিবর্তনগুলো আমাদের সামনে অনেক ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তনগুলো আপাত দৃষ্টিতে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চ্যালেঞ্জকে কীভাবে সুযোগ হিসেবে আমরা পরিবর্তন করতে পারি, সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সিনেমা হলগুলো অর্থনৈতিকভাবে লাভবান না হলে চলচ্চিত্র সমস্যার সম্মুখীন হবে। সিনেমা হল যদি সচল থাকে এবং মানুষকে যদি হলে আনা যায় তাহলে চলচ্চিত্রের সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব। গোটা বাংলাদেশ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় সিনেপ্লেক্স এবং মাল্টিপারপাস সিনেমা হল তৈরি এবং সেগুলো কীভাবে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক করা যায় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

তিনি আরো বলেন, দেশে নির্মিত ভালোমানের চলচ্চিত্র দেশের হলগুলোতে হলিউড বা অন্যান্য দেশের চলচ্চিত্রকে প্রতিযোগিতায় পেছনে ফেলছে এবং সে সক্ষমতা এদেশের চলচ্চিত্রের রয়েছে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে অনেক সময় প্রযোজকরা দেশের বাইরে গিয়ে আধুনিক প্রযুক্তিগত সুবিধা নিচ্ছে। কারণ দেশে এ সুবিধাগুলো নেই।

আমরা যদি দেশে এই সুবিধাগুলোর ব্যবস্থা করতে পারি, এফডিসি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের আধুনিকীকরণ করতে পারি তাহলে এফডিসি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে। এজন্য এফডিসি বা এ ধরণের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান করার বিষয় নিয়ে সরকার কাজ করছে।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন্ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্বপ্নধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ উর রশিদ এবং বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজ-এর চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন।

;