রাখাইন গেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রোহিঙ্গা ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী শনিবার (১১ আগস্ট) সকালে হেলিকপ্টারে করে রাখাইন গেছেন।

নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা নিজের চোখে দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

মাহমুদ আলী বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) মিয়ানমারে যান।  রোববার সকালে বাংলাদেশের উদ্দেশ্য রেঙ্গুন ছাড়বেন তিনি। আজ রাতেই তিনি রাখাইন থেকে রেঙ্গুন যাবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী শুক্রবার (১০ আগস্ট) দেশটির উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

সে বৈঠকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে হট লাইন চালু করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকার। শুক্রবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপোডি-র থিনগাহা হোটেলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে বাংলাদেশ মিয়ানমার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

বিজ্ঞাপন

ইউনিয়ন মিনিস্টার ইউ কিউ থিন সভাপতিত্ব বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী,ইউনিয়ন মিনিস্টার থিইন সু এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে বৈঠকে দুই দেশ ৮ টি পয়েন্টে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

এদিকে, রাখাইনের বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য গত বছরের ২৩ নভেম্বর মিয়ানমার-বাংলাদেশ চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশের মধ্যে গত ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়। যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ এ পর্যন্ত দুইটি বৈঠক করেছে। সর্বশেষ বৈঠকটি গত ১৭ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘৯ অক্টোবর ২০১৬ এবং ২৫ আগস্ট ২০১৭ সালের পর যে সকল রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তাদেরকে ফেরত নিবে মিয়ানমার। চুক্তি স্বাক্ষরের দুই মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন শুরু হলে প্রাণ বাচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখেরও বেশি মানুষ। সব মিলিয়ে মিয়ানমারের নাগরিক ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের একাধিক শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।