ইয়াবা ও অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় ওসি প্রত্যাহার
চট্টগ্রাম: ইয়াবা ও অস্ত্র দিয়ে শিক্ষানবীশ আইনজীবী সমর চৌধুরীকে ফাঁসানোর ঘটনায় অবশেষে সমালোচিত সেই ওসি হিমাংশু দাস রানাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম পুলিশ সদর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়েছে।
শনিবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ বোয়ালখালি থানায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন বোয়ালখালি থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান।
এ ঘটনায় এর আগে আরো দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা জানান, বোয়ালখালী থানার ওসি হিমাংশু দাস রানাকে পুলিশ সদরে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
সমর চৌধুরীর ঘটনায় এর আগে গত ১৯ জুলাই একই থানার এসআই আরিফুর রহমানকে এবং ১১ আগস্ট এসআই আতিক উল্লাহকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। আজ (শনিবার) করা হয়েছে ওসি হিমাংশু দাস রানাকে।
সমর চৌধুরী চট্টগ্রাম শহরে থাকলেও তার বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলার দক্ষিণ সারোয়াতলী গ্রামে। ওই গ্রামের লন্ডনপ্রবাসী সঞ্জয় দাশের সঙ্গে তার কাকা স্বপন দাশের জমি নিয়ে বিরোধ আছে। স্বপন দাশকে আইনগত পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছিলেন সমর চৌধুরী।
ওই ঘটনার জের ধরে ‘সঞ্জয় দাশের প্ররোচনায়’ চট্টগ্রাম রেঞ্জের তৎকালীন ডিআইজি মনির-উজ-জামানের ‘নির্দেশে’ সমরকে গত ২৭ মে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর তাকে ইয়াবা ও অস্ত্র মামলার আসামি করা হয়। সারাদেশে মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে সমর চৌধুরীকে ইয়াবা আটকের মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
অস্ত্র হাতে সমর চৌধুরীর ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর মধ্যেই ডিআইজি মনির-উজ-জামানকে চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
গত ১২ জুন জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সমর চৌধুরী অভিযোগ করেছিলেন এসআই আরিফুর রহমান ও এসআই আতিক উল্লাহর নেতৃত্বে বোয়ালখালী থানার একটি দল তাকে থানায় ধরে নিয়ে যায়।
ওসি হিমাংশু দাশ রানার নির্দেশে তাকে ‘ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলার চেষ্টা ও থানায় নির্যাতনের অভিযোগ করেন সমর। সে ঘটনার পরিপেক্ষিতে এখন ওসি হিমাংশু দাশ রানার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।