ছুটি শেষ হলেও পর্যটকে ভরপুর সমুদ্রপাড়
কক্সবাজার: ঈদুল আজহার টানা ৫ দিনের ছুটি শেষ হলেও লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
রোববার (২৬ আগস্ট) সকাল থেকে সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলীসহ ১১টি পয়েন্টে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এদিকে টানা পাঁচদিনের ছুটি শেষ হলেও কর্মস্থলে ফেরেনি অনেক পর্যটক।
পাহাড়, সমুদ্র আর ঝর্ণার টানে যান্ত্রিক শহরের মানুষগুলো পর্যটন নগরীতে আসছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। চলতি মাসের শেষ দিন পর্যন্ত পর্যটকের এ চাপ থাকবে বলে আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, ঈদুল আজহার আগের দিন থেকেই কক্সবাজারে লাখো পর্যটক অবস্থান করেছিল। কিন্তু ছুটি শেষ হলেও এখনো পর্যটকের চাপ রয়েছে।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক রুমা ও সুমন দম্পতি বলেন, ‘আমরা ঈদের একদিন পর কক্সবাজারে অবস্থান করেছি। এবার ঈদের ছুটির চেয়ে একটু বেশি বেড়াতে চাই। তাই ফিরে যাইনি। আরও কয়েকদিন থাকব।’
সিলেট থেকে আসা পর্যটক রামিউল হাসান রিশাদ বলেন, ‘গত শুক্রবার বাবা-মায়ের সঙ্গে এসেছি। সবাই মিলে খুব মজা করছি। সমুদ্রে গোসল করা থেকে শুরু করে সবখানে গিয়েছি।’
টাঙ্গাইল থেকে আসা পর্যটক সুমন বড়ুয়া বলেন, ‘ছুটি শেষ, কাল ফিরে যাব। তারপরও পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটির চেয়ে একটা দিন বেশি ছিলাম। খুব ভালো লাগছে।’
সি-গাল হোটেলের ম্যানেজার নুরে আলম মিথুন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমাদের হোটেলে সবগুলো রুম আগামী ২৯ তারিখ পর্যন্ত বুকিং আছে। যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এরপরও অনেকে ফোন করে বুকিং দিতে চাইলেও নিতে পারছি না। ঈদের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।’
কক্সটুডের কর্মকর্তা আবু তালেব বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘পর্যটকসহ স্থানীয় অতিথিদের বরণে আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। বিশেষ করে শিশু বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ছুটি শেষ হলেও এখনো প্রচুর বুকিং পাচ্ছি। আগামী ২ দিন পর্যন্ত আমাদের হোটেলের সব রুম বুকিং হয়ে গেছে।’
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলে রাব্বী বার্তা২৪.কমকে জানান, ঈদ উপলক্ষে কক্সবাজার শহর ও সমুদ্র সৈকতের নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব, বিচ কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে। যাতে পর্যটকরা কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার না হন সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। ছুটি শেষ হলেও এখনো পর্যটকের চাপ রয়েছে। তাই বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।