কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে নেপালের অসন্তুষ্টি
ঢাকা: কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজের দুর্ঘটনা নিয়ে কাঠমান্ডুর পোস্টের প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বেগ ও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে এ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি।
সোমবার নেপালের বেসামরিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে নেপালের ইংরেজি দৈনিক কাঠমান্ডু পোস্ট একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। এতে দুর্ঘটনার জন্য এক তরফাভাবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের দূর্ঘটনাকবলিত বৈমানিক ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানকে দায়ি করে বলা হয়, বৈমানিক মারাত্মক মানসিক চাপ ও উদ্বেগের মধ্যে ছিলেন। এ কারণে তিনি একের পর ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এর পথ ধরেই গত মার্চে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে এই দূর্ঘটনা ঘটে।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই এই দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ তদন্ত দলের প্রধান ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন এম রহমত উল্লাহ এই প্রতিবেদনকে অসত্য ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন। এছাড়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষও তদন্ত চলাকালে নিহত পাইলট আবিদ সুলতানকে জড়িয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তাকে মনগড়া ও ভিত্তিহীন বলে আখ্যায়িত করেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে বিমান চলাচল খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার তৈরি হয়।
সোমবার তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব বুদ্ধি সাগর লামিচানে স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি বার্তা২৪ এর হাতে এসেছে। বিবৃতিতে এ ধরনের একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনাকে জড়িয়ে অপ্রয়োজনীয় ও কল্পনাপ্রসূত প্রতিবেদন প্রকাশকে স্পর্শকাতর উল্লেখ করে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট খাতের লোকেরা যেন বিষয়টি এড়িয়ে চলেন।
এতে বলা হয়, তদন্ত কমিটি একই সঙ্গে এ ধরনের অনৈতিক প্রতারণামূলক সংবাদের বিষয়ে আপত্তি জানাচ্ছে। কারণ এতে জনমানুষের মনে ও বিশ্বাসে ভুল ধারণা তৈরি হবে।
দুর্ঘটনার পর নেপালী কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এই কমিটিতে বাংলাদেশ দলের প্রধান ছিলেন ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন। তদন্ত দলের একজন সদস্য হিসেবে তিনি এ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে নেপালের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই প্রতিবেদন সঠিক নয়, এটি ভিত্তিহীন। এই দুর্ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে। তাই মাঝপথে এ নিয়ে তিনি আর বিস্তারিত বলতে রাজি হননি।
এ বছরের ১২ মার্চ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে এই দুর্ঘটনায় ২৭ জন বাংলাদেশী, ২৩ জন নেপালী ও একজন চীনা যাত্রী নিহত হন। আহত হন নয় জন বাংলাদেশী, ১০ জন নেপালী ও একজন মালদ্বীপের নাগরিক।