শুধু কল নয় অ্যাপসেও পাওয়া যাবে জরুরি সেবা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪ডিএমপির আয়োজিত কমিউনিটি  সেফটি অ্যাওয়ারনেস শীর্ষক সেমিনার-বার্তা২৪।

ছবি: বার্তা২৪ডিএমপির আয়োজিত কমিউনিটি সেফটি অ্যাওয়ারনেস শীর্ষক সেমিনার-বার্তা২৪।

 

এখন আর শুধু কল নয়। অ্যাপসেও মিলবে জরুরি সেবা। এমনটাই জানালেন জাতীয় জরুরি ফোন নম্বর প্রকল্পের ইনচার্জ পুলিশ সুপার তবারক উল্লাহ। তিনি জানান একটা কল দিলে গ্রাহকের সম্পূর্ণ সেবা পেতে তিনটি ধাপ পেরোতে হয়। সেখানে অ্যাপস থেকে সাহায্য চাইলে তা সরাসরি চলে যায় ডিসপ্যাচ টিমের কাছে। এতে সময় বাঁচানোর পাশাপাশি গ্রাহকে চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় ডিএমপির সেন্ট্রাল কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে আয়োজিত কমিউনিটি সেফটি অ্যাওয়ারনেস শীর্ষক এক সেমিনারে ৯৯৯ এর পুরো কার্যপ্রণালী এর কথা তুলে ধরা হয়। প্রাথমিক ভাবে ১০০ কল-টেকার এজেন্ট, ১৯ জন ডিসপ্যাচার ও ৮ জন সুপারভাইজার দিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হলেও এখন সংখ্যাটি দ্বিগুণ। দৈনিক তিন শিফটে ২৪ ঘণ্টায় তারা নিরবিচ্ছিন ভাবে জরুরি সেবা প্রদান করে থাকেন গ্রাহকদের।

যেভাবে একজন গ্রাহক সেবাটি পান:

বিজ্ঞাপন

৯৯৯ এ ফোন দিয়ে কেউ সাহায্য চাইলে প্রথমে একজন কল টেকার এজেন্ট গ্রাহকের সমস্যার কথা বুঝতে চেস্টা করেন, পরে চাহিদা অনুযায়ী তা পাঠানো হয় সুপারভাইজার এর কাছে পরে সুপারভাইজার কলটি ফরওয়ার্ড করেন একজন ডিস্প্যাচার এর কাছে। এখান থেকেই একজন গ্রাহক মুল সেবা পেয়ে থাকেন। অন্যদিকে অ্যাপসের মাধ্যমে গ্রাহক প্রথমেই তার কি ধরনের সাহায্য দরকার তা বেছে নিতে পারছেন। এক্ষেত্রে একজন ডিজিটাল সার্ভিস অপারেটর গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী জরুরি সেবাটি ডিসপ্যাচ করে থাকেন।

সেমিনারে পুলিশ সুপার জানান, বর্তমানে গ্রাহক কোন জরুরি সেবা চাইলে তা স্থানীয় থানাকে জানানো হয়। সে অনুসারে স্থানীয় থানা ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে পুলিশের সকল টহল গাড়িতে মোবাইল ডাটা টার্মিনাল বা এমডিটি বসানো হবে। এতে করে থানাকে ফোন করে জানানোর মত ধীর প্রক্রিয়া আরো কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর চালু হবার পর ৯৯৯ এখন পর্যন্ত কল এসেছে প্রায় পৌনে চুয়াল্লিশ লাখ । যার মধ্যে ৫০ শতাংশ ছিলো প্রাঙ্ক কল বা বিরক্তিকর কল। আর জেনেরিক ইনফরমেশন বা সাধারন তথ্য জানার জন্য কল দিয়েছে ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৬২১ জন। এর মধ্যে ২৭ হাজার গ্রাহককে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সম্পুর্ন জরুরি সেবা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে বলে জানায় ৯৯৯ কতৃপক্ষ।