‘বেআইনি মোবাইল শনাক্তকরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে’
আশুলিয়ার জিরাবো থেকে: বাংলাদেশে এখন প্রচুর পরিমাণে বেআইনি মোবাইল সেট প্রবেশ করছে এর ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব এর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই এ সকল বেআইনি মোবাইল হ্যান্ডসেট শনাক্তকরণের দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আশুলিয়ার জিরাবোতে সিম্ফনির নবনির্মিত মোবাইলফোন কারখানা ‘এডিসন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ উদ্বোধন এর পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মোস্তফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজার ব্যাপক সম্ভাবনাময়। কিন্তু মোবাইল হ্যান্ডসেটের জন্য আমাদেরকে বিদেশী কোম্পানির ওপর নির্ভর করতে হতো। এ খাতে দেশীয় শিল্পের বিকাশ মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল, সিম্ফনি মোবাইল ফোন কারখানা স্থাপনের মধ্য দিয়ে সে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটল।
সম্মেলনে এডিসন ইন্ডাস্ট্রিজ এর ডিরেক্টর এসএম মোর্শেদুজ্জামান বলেন, উন্নতমানের কথা চিন্তা করে আমরা ৮০ ভাগ জনবল কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়োগ দিয়েছি এবং তাঁদেরকে কয়েকমাস ধরে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
বিটিআরসি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, এডিসন মেড ইন বাংলাদেশ হিসাবে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে বলে আশা করি। তাই তাদের যেকোন সমস্যা আইন অনুযায়ী ও যুক্তিযুক্ত হলে বিটিআরসি তাদের পাশে থাকবে
জাকারিয়া শাহীদ জানান, যখন বাংলাদেশ সরকার মোবাইলফোন কারখানা করার জন্য অনুমোদন দেয় তখন আমরা ‘এ’ ক্যাটাগরী কারখানার জন্য আবেদন করি এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)আবেদন মঞ্জুর করেন। এর ফলে আমরা দ্রুত সম্পূর্ণ ডিভাইস নিজের দেশে উৎপাদন করতে পারবো বলে আশা করি।
সাংবাদিক সম্মেলন শেষে মোস্তাফা জব্বার সফরসঙ্গীদের নিয়ে সিম্ফনি মোবাইলফোন কারখানার প্রডাকশন লাইন, গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ, মাননিয়ন্ত্রণ বিভাগ ও টেস্টিং ল্যাব ঘুরে দেখেন।
সিম্ফনি জানায়, আশুলিয়ার জিরাবোতে ৫৭ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে এডিসন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। যাতে রয়েছে হ্যান্ডসেট সংযোজন, গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ, মাননিয়ন্ত্রণ বিভাগ ও টেস্টিং ল্যাব । প্রাথমিক ভাবে স্মার্টফোন কারখানাটিতে বার্ষিক ৩০-৪০ লাখ ইউনিট হ্যান্ডসেট উত্পাদন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।