হাইটেক পার্ক প্রকল্পে ১ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে
কালিয়াকৈরে ৩৫৫ একর জমির উপর স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি ফ্লাগশিপ প্রকল্পে প্রায় ১ লাখ লোকের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটির ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনে ৯টি কোম্পানিকে প্লট বরাদ্দের অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আইসিটি বিভাগের অধীনে ২২ টি প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপন প্রকল্প এবং গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন হলে আমরা মাতৃভাষার প্রতি আমাদের যে দায়বদ্ধতা তা অনেকাংশে পুরণ করতে পারবো৷
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ওই কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করে তাদের প্লট বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ৪০ বছরের জন্য বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি-তে রবি অজিয়াটা, জেনেক্স ইনফোসিস, বিজেআইটি সফটওয়্যার, ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স, কেডিএস গ্রুপ, ইন্টারক্লাউড, বিজনেস অটোমেশন, নাজডাক টেকনোলজিস এবং জেআর এন্টারপ্রাইজ নামীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ বিনিয়োগের সুযোগ পেল।
এই চুক্তির মাধ্যমে যে ৯টি কোম্পানি মোট ২০দশমিক ৫০ একর জমি বরাদ্দ পেলো, তারা হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, আইওটি, বিপিও, ট্রেনিং সেন্টার, ডাটা-সেন্টার, R&D প্রভৃতি উচ্চ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে যা এই হাই-টেক পার্কে প্রায় ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। কোম্পানিগুলো এখানে প্রায় ১৪০দশমিক ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।
বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি দেশের প্রথম হাই-টেক পার্ক। এখানে কাজ শুরু করার জন্য প্রথম পর্যায়ে প্রাপ্ত ২৩২ একর জমিকে ৫ টি ব্লকে ভাগ করে ডেভেলপার নিয়োগ করা হয়। পরবর্তীতে পার্ক সংলগ্ন ৯৭দশমিক ৩৩ একর জমি বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অনুকূলে বরাদ্দ পাওয়া যায়। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সরাসরি বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করা হলো।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতায় নির্মিত/নির্মিতব্য হাই-টেক পার্ক সমূহে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।