এমএনপি সেবার যাত্রা শুরু 

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে বহুল প্রতীক্ষিত মোবাইল নাম্বার পোর্টেবেলিটি (এমএনপি) সেবা চালু হয়েছে। বর্তমান মোবাইল নাম্বার অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের সুযোগকে বলা হয়ে থাকে এমএনপি সেবা।

সোমবার (১ অক্টোবর)  থেকে গ্রাহকরা এমএনপি সেবা নিতে পারছেন। এরই মধ্যে গ্রাহকরা এই সেবা নেওয়া শুরু করেছেন। এ উপলক্ষে সোমবার সকালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এক সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক আনুষ্ঠানিকভাবে এই সেবা চালুর ঘোষণা দিয়ে বলেন, এই সেবা এখন থেকে চালু হলো। এর ফলে গ্রাহক চাইলেই তার অপারেটরের নেটওয়ার্ক পরিবর্তন করতে পারবেন। অথচ মোবাইল নাম্বার বদল হবে না। এতে মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে মানসম্মত সেবা দিতে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে।

বিজ্ঞাপন

প্রথমে এই সেবা পেতে গ্রাহকদের ৩০ টাকা খরচ করার কথা উল্লেখ করেছিল। তবে শেষ মুহূর্তে এই খরচ ২০ টাকা বাড়িয়ে ৫০ টাকা করায় এ নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। নম্বর ঠিক রেখে মোবাইল অপারেটর পরিবর্তনের এই আবেদনের ৭২ ঘন্টার মধ্যে বদলে যাবে তার অপারেটর। একবার অপারেটর পরিবর্তন করলে ৯০ দিন পর আবার অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে।

তবে এই সেবা নিতে হলে গ্রাহককে মোবাইল ফোনের সিম কার্ড বদলাতে হবে। সিম পরিবর্তনের বিষয়টি ঝামেলাপূর্ণ হলেও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সব গ্রাহককে এটি মেনেই নতুন এই সেবা নিতে হবে। 

বিজ্ঞাপন

এই সেবা দিতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার ব্যবসায়ীদের কনসোর্টিয়াম ইনফোজিলিয়ান টেলিটেক বিডি। গত বছরের নভেম্বরে এমএনপি এর লাইসেন্স পায় প্রতিষ্ঠানটি।

বিটিআরসি আগের সূচি অনুযায়ী, আগামী ১ আগস্ট থেকে এমএনপি চালু হওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দুই মাস পিছিয়ে চালু হলো।  

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এরই মধ্যে তিন মোবাইল অপারেটর এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু এমএনপির ক্ষেত্রে গেটওয়েগুলো যে সংযোগের দায়িত্ব পালন করার কথা তা এখন মোবাইল অপারেটরদের করতে বলা হয়েছে। এর ফলে মোবাইল অপারেটরগুলোকেই সংশ্লিষ্ট কারিগরি উন্নয়নের কাজ করতে হবে। আর এ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

২০০৬ সাল থেকে টেলিটেকের আর্মেনিয়া, স্লোভেনিয়া, মন্টেনিগ্রো ছাড়াও আরো কয়েকটি দেশে তাদের অপারেশন চালু রয়েছে। 

সূত্র জানায়, এই নেটওয়ার্কে প্রথম যুক্ত হয় দেশের বৃহৎ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। এরপর যুক্ত হয় দ্বিতীয় বৃহত্তম অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড ও বাংলালিংক।

পাশ্ববর্তী দেশে ভারত পাকিস্তানসহ বিশ্বের শতাধিক দেশে এই সেবা চালু রয়েছে। ১৯৯৭ সালে সিঙ্গাপুর সর্বপ্রথম এই সেবা চালু করে।  

নাম্বার ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তনের আগে গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের সঙ্গে সব দেনা-পাওনা নিষ্পত্তি করতে হবে। নতুবা এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে না। তবে কেউ যদি প্রি-পেইড মোবাইল ফোনের সিমে কোনো টক টাইম রেখে অপারেটর পরিবর্তন করেন পুনরায় আগের অপারেটরে গেলেও তা আর ফেরত পাওয়া যাবে না।