দিনে মোবাইল ফোন কল কমেছে ৫ কোটি মিনিট

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন

সর্বনিম্ন কলরেট ২৫ পয়সা থেকে বেড়ে ৪৫ পয়সা হওয়ায় মোবাইল ফোন গ্রাহকদের কলের পরিমান কমে গিয়েছে। নতুন কলরেট চালুর পর মোবাইল ফোন কল দিনে প্রায় ৫ কোটি মিনিট কমে গিয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। 

বিটিআরসি’র নির্দেশনায় মোবাইল অপারেটরেরা গত ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সার কলরেট ও অভিন্ন কলরেট চালু করে।  সর্বনিম্ন কলরেট ৪৫ পয়সা হলেও সর্বোচ্চ কলরেট নির্ধারণ করা হয় ২ টাকা। বিশ্বের কোথাও অফনেট (অন্য অপারেটরে) ও অননেট (একই অপারেটরে) পদ্ধতি নেই। একমাত্র বাংলাদেশেই এই পদ্ধতি চলে আসছিল। 

বিজ্ঞাপন

এর আগে অন-নেটে সর্বনিম্ন রেট ছিল প্রতি মিনিটে ২৫ পয়সা। আর অফ-নেট কলের ক্ষেত্রে প্রতি মিনিটে মূল্য ছিল ৬০ পয়সা। যদিও অপারেটররা এতো কম কখনোই চার্জ করেনি।

বিটিআরসি এই সমীক্ষার ব্যাপ্তিকাল ছিল নতুন কলরেট চালুর দুই সপ্তাহ আগে এবং তা বাস্তবায়নের এক সপ্তাহ পর্যন্ত। সপীক্ষায় দেখা যায়, প্রতিদিনের গড় মোবাইল ফোন কল (অফ-নেট ও অন-নেটসহ) গড়ে ৬.০৩ শতাংশ কমে গিয়েছে। মিনিট হিসেবে ধরলে এটি ৪.৮ কোটি মিনিট। সমীক্ষা অনুসারে মোবাইল ফোনে দিনে গড়ে আগে কল হতো ৭৯.৬ কোটি মিনিট, যা এখন ৭৪.৮ কোটি মিনিটে নেমে এসেছে।   

বিজ্ঞাপন

টেলিযোগাযোগ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত গ্রাহকরা নিজেদের মোবাইল ফোন বিল সীমার মধ্যে রাখতেই কল সংখ্যা বা মিনিট কমিয়ে দিয়েছে।

এদিকে সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সার কলরেট ও অভিন্ন কলরেট চালু হওয়ায় মোবাইল অপারেটরগুলোর আয় বেড়েছে। বিটিআরসি’র এক হিসাবে দেখা গেছে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের মাসে অতিরিক্ত প্রায় চারশ কোটি টাকা আয় করছে।

এই কলরেট চালু হওয়ার পর থেকে মোবাইল অপারেটরেরা নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। ৪৫ পয়সার কলরেট চালুর পর বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়া ও সমালোচনার মুখে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি এই কলরেট পর্যালোচনা শুরু করেছে।  

এই নতুন কলরেট চালু হওয়ার পর এ নিয়ে গ্রাহকরাও হিসেব-নিকেশ করেছেন। তারা নতুন প্য্যাকেজ অফার নিয়ে বিশ্লেষণ করছেন। তবে মোবাইল অপারেটরেরা বলেছিলেন অভিন্ন কলরেট চালুর ফলে গ্রাহকরা লাভবান হবেন। অন্যদিকে বেশিরভাগ গ্রাহক বলছেন, অভিন্ন কলরেট পদ্ধতি চালু পর তাদের খরচ বেড়েছে।