৫ দিনে অপারেটর বদলাতে ১০ হাজার অনুরোধ  

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহিত

ছবি: সংগৃহিত

মোবাইল নাম্বার পোর্টেবেলিটি (এমএনপি) চালুর প্রথম ৫ দিনে অপারেটর বদলাতে ১০ হাজার ১২২ গ্রাহকের অনুরোধ এসেছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ১৮১ জন অপারেটর বদলাতে সক্ষম হয়েছেন। বাকি ৫ হাজার ৮৬২ জনের অনুরোধ প্রত্যাখান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বিটিআরসি’র তথ্য অনুযায়ী এসব অনুরোধে ৭৯টি অনুরোধের বিষয়টি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গত ১ অক্টোবর টেলিযোগাযাগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এমএনপি সেবা চালু করে। বর্তমান মোবাইল নাম্বার অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের সুযোগকে বলা হয়ে থাকে এমএনপি সেবা।

বিটিআরসি হিসেব অনুযায়ী, এই সেবা চালুর প্রথম দিনেই ১ হাজার ৮১৬ জন গ্রাহক থেকে মোবাইল অপারেটর বদলাতে অনুরোধ আসে। এর মধ্যে ৪০০ জনের অনুরোধ গ্রহন করা হয়,আর ১ হাজার ৪১৬টি অনুরোধ প্রত্যাখান করা হয়। দ্বিতীয় দিনে অনুরোধ ছিল ২ হাজার ১৬৯টি, তৃতীয় দিনে ১ হাজার ৯৭৭টি, চতুর্থ দিনে ২ হাজার ৫৮০ এবং ৫ম দিনে ছিল ১ হাজার ৫৮০টি। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রথম দিনের তুলনায় চতুর্থ দিন পর্যন্ত অনুরোধের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে ৫ম দিনে গিয়ে এই সংখ্যা কিছুটা কমে। দ্বিতীয় দিনে অপারেটর বদলাতে সক্ষম হন  ৮৮৪, তৃতীয় দিনে ৭২৩, চর্তুর্থ দিনে ১ হাজার ২৪২ এবং ৫ম দিনে ৯৩২ জন। 

বিজ্ঞাপন

মানসম্মত সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই বিটিআরসি এই সেবা চালু করে। এ প্রসঙ্গে সংস্থার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, গ্রাহক চাইলেই তার অপারেটরের নেটওয়ার্ক পরিবর্তন করতে পারবেন। অথচ মোবাইল নাম্বার বদল হবে না। এতে মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে মানসম্মত সেবা দিতে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে।

প্রথমে এই সেবা পেতে গ্রাহকদের ৩০ টাকা খরচ করার কথা উল্লেখ করেছিল। তবে শেষ মুহূর্তে এই খরচ ২০ টাকা বাড়িয়ে ৫০ টাকা করায় এ নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। নম্বর ঠিক রেখে মোবাইল অপারেটর পরিবর্তনের এই আবেদনের ৭২ ঘন্টার মধ্যে বদলে যাবে তার অপারেটর। একবার অপারেটর পরিবর্তন করলে ৯০ দিন পর আবার অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে।

তবে এই সেবা নিতে হলে গ্রাহককে মোবাইল ফোনের সিম কার্ড বদলাতে হবে। সিম পরিবর্তনের বিষয়টি ঝামেলাপূর্ণ হলেও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সব গ্রাহককে এটি মেনেই নতুন এই সেবা নিতে হবে। 

এই সেবা দিতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার ব্যবসায়ীদের কনসোর্টিয়াম ইনফোজিলিয়ান টেলিটেক বিডি। গত বছরের নভেম্বরে এমএনপি এর লাইসেন্স পায় প্রতিষ্ঠানটি।

বিটিআরসি আগের সূচি অনুযায়ী, আগামী ১ আগস্ট থেকে এমএনপি চালু হওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেবাটি দুই মাস পিছিয়ে চালু হয়।

২০০৬ সাল থেকে টেলিটেকের আর্মেনিয়া, স্লোভেনিয়া, মন্টেনিগ্রো ছাড়াও আরো কয়েকটি দেশে তাদের অপারেশন চালু রয়েছে। 

পাশ্ববর্তী দেশে ভারত পাকিস্তানসহ বিশ্বের শতাধিক দেশে এই সেবা চালু রয়েছে। ১৯৯৭ সালে সিঙ্গাপুর সর্বপ্রথম এই সেবা চালু করে।