এমএনপিতে অপারেটরদের যত অফার!



তাসকিন আল আনাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম 
এমএনপি

এমএনপি

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন চলছিলো মোবাইল নাম্বার অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদল করার সেবা বা এমএনপি সেবা চালু করার। অবশেষে ১লা অক্টোবর থেকে ইনফোজিলিয়ান টেলিটেক এর হাত ধরে বাংলাদেশে এমএনপি সেবা চালু করে বিটিআরসি। তবে সঠিক প্রচারণা না থাকায় অনেকে পুরোপুরি বিষয়টি সম্পর্কে না জানলেও ইতিমধ্যে প্রায় ১০ হাজার ৯০০ আবেদন জমা পড়েছে এই সেবাটি নেয়ার জন্য।এছাড়াও সম্প্রতি এমএনপি সেবায় নিতে যে ১০০ টাকা রাজস্ব গুনতে হতো গ্রাহকদের তা দ্রুত উঠিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে রাজস্ব বোর্ড। তা বাস্তবায়ন হলে গ্রাহকরা খুব কম খরচেই যে কোন অপারেটরকেই বেছে নিতে পারবেন।

এখন আসুন জেনে নেয়া যাক এমএনপি সেবা নিলে কোন কোন অপারেটর কি কি অফার দিচ্ছে।

গ্রামীণফোন এমএনপি অফার

মাইগ্রেশন চার্জ: ১৫৫ টাকা

গ্রামীণফোনে এলে আপনার যে নতুন সিম নিতে হবে সেটির জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে ১৫৫ টাকা। অন্য অপারেটর থেকে মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কে এলে আপনি জিপি’র নতুন সিম অফারটিই এমএনপি অফার হিসেবে পাবেন। অর্থাৎ নতুন গ্রামীণফোন সিম কিনলে যে অফার, সেটিই আপনি আপনার আগের নম্বরে নতুন জিপি নেটওয়ার্কে উপভোগ করতে পারবেন। অফারের বিস্তারিত এখানে তুলে দেয়া হল।

এমএনপি ব্যবহার করে গ্রামীণফোনে এলে যে বিশেষ এমএনপি অফার পাবেন তা নিম্নরূপ:

৫ টাকার প্রিলোডেড ব্যালেন্স

প্রিলোডেড অ্যামাউন্ট-এর মেয়াদ বোনাস প্রাপ্তির দিন থেকে ৩০ দিন (বিতরণের দিনসহ)

প্রিলোডেড অ্যামাউন্ট জানতে ডায়াল *৫৬৬#

নতুন সিমে ইন্টারনেট ব্যবহারে টাকা ১.০০/MB চার্জ প্রযোজ্য হবে, সর্বোচ্চ ৫MB পর্যন্ত। একই রেটে ২০০MB পর্যন্ত নিরবিছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ অব্যাহত রাখতে ডায়াল করতে হবে  *121*3352# অথবা ইন্টারনেট প্যাক কিনতে ডায়াল করতে হবে  *121*3#

প্রথম রিচার্জে ফ্রি ইন্টারনেট, ১ পয়সা প্রতি সেকেন্ডঃ

প্রথমবার ঠিক ৩৪ টাকা রিচার্জে গ্রাহকগণ ২৪ ঘণ্টা যেকোনো  লোকাল অপারেটরে ১পয়সা/সেকেন্ড কল রেটে কথা বলতে পারবেন, যার মেয়াদ ৩০ দিন। সাথে পাবেন ৭ দিন মেয়াদে ১ জিবি ইন্টারনেট

বোনাস ও মেয়াদ জানতে ডায়াল *১২১*১*২#

৯ টাকা রিচার্জে ১ জিবি ইন্টারনেটঃ

গ্রাহকগণ ৯ টাকা রিচার্জে (সকল চার্জ অন্তর্ভুক্ত) ১ জিবি ইন্টারনেট কেনার সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। ৭ দিন মেয়াদে এই ১ জিবি ইন্টারনেট কিনতে গ্রাহককে ঠিক ৯ টাকা (সকল চার্জ অন্তর্ভুক্ত) রিচার্জ করতে হবে। (প্রতি মাসে সর্বোচ্চ একবার)।

৯ টাকায় ১ জিবি ইন্টারনেট অফারটি সংযোগ চালু হওয়ার পর ৩৪ টাকা রিচার্জ-এর মাস সহ ৯ মাস পর্যন্ত চালু থাকবে

প্রতি মাসে কেনার অবশিষ্ট সুযোগ জানতে ডায়াল *১২১*১১১১#

রবি এমএনপি অফার

মাইগ্রেশন চার্জঃ ১৪৯ টাকা

মেইন ব্যাল্যান্সে দেয়া হবে ৫০ টাকা (২ মাস মেয়াদ)

কলরেট ৫০ পয়সা প্রতি মিনিট, যে কোন নম্বরে ( পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত)

১০০ মিনিট টকটাইম/ যে কোন নম্বরে (মেয়াদ ৩০ দিন)

ফ্রি ২ জিবি ডেটা একবার (মেয়াদ ৩০ দিন)

ফ্রি ২ জিবি ডেটা একবার (মেয়াদ ৭ দিন)

এয়ারটেল এমএনপি অফার

মাইগ্রেশন চার্জঃ ১৪৯ টাকা

মেইন ব্যাল্যান্সে এমএনপি অফার দেয়া হবে ৮০ টাকা

কলরেট ০.৯ পয়সা প্রতি সেকেন্ড, যে কোন নম্বরে (মেয়াদ ৯০ দিন)

ফ্রি ৪ জিবি ডেটা এমএনপি অফার একবার (মেয়াদ ৩০ দিন)

১ জিবি করে ৪ বারে মোট ৪ জিবি ফ্রি ডেটা মাইগ্রেশনের ৩১ তম, ৬১ তম, ৯১ তম ও ১২১ তম দিনে পাবেন। প্রত্যেকবার ৭ দিন করে মেয়াদ।

৯ টাকায় ১ জিবি পাবেন প্রতি মাসে ১ বার করে ১০ মাসে মোট ১০ বার (প্রত্যেকবার মেয়াদ ৭ দিন করে)। ৯ টাকা রিচার্জ করলেই অটো টাকা কেটে এই ডেটা কেনা হয়ে যাবে।

৩১ টাকায় ২জিবি (১ জিবি ৪জি/৩জি/২জি +১ জিবি ৪জি) ডেটা যতবার খুশি ততবার (মেয়াদ ৭ দিন), মাইগ্রেশন করার ৯০ দিন পর্যন্ত এই অফার চলবে।

ফোন ব্যালেন্স চেক করতে ডায়ালকরতে হবে  *১#

ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়ালকরতে হবে  *৩#

বাংলালিংক এমএনপি অফার

মাইগ্রেশন চার্জঃ ১০০ টাকা

রিচার্জ অফার:

১GB ফ্রি ইন্টারনেট এমএনপি অফার

যেকোনো নাম্বারে ৫৪ পায়সা/মিনিট আর এক সেকেন্ড এর পালস (মেয়াদ ৩ মাস)

১GB @ ৩৩ টাকা প্যাক:

৩৩ টাকায় ১GB নেট কিনতে পারবেন  যত খুশি ততবার (সিম এক্টিভেট করার প্রথম ৯০ দিনের মধ্যে)। কিনতে রিচার্জ করতে হবে  ৩৩ টাকা অথবা ডায়াল করতে হবে  *১৩২*০৩৩# নম্বর।

অফারের বিস্তারিত:

রিচার্জে কলরেটের মেয়াদ ৩ মাস (৯০ দিন) এবং ১GB ইন্টারনেটের মেয়াদ ১৫ দিন

১GB ফ্রি ইন্টারনেটের ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল *১২৪*৫#

৩৩ টাকায় ১GB ইন্টারনেটের মেয়াদ ৭ দিন

৩৩ টাকায় ১GB ইন্টারনেটের ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল *১২৪*৩০০#

SIM চালু করার প্রথম ৯০ দিনের মাঝে আপনি যতবার খুশি ততবার ৩৩ টাকায় ১GB ইন্টারনেটের প্যাকটি নিতে পারবেন

এই অফারগুলো সীমিত সময়ের জন্য

অ্যাক্টিভেশন বোনাস:

নতুন সংযোগে শুরুতেই ৫ টাকা এমএনপি অফার বোনাস দেয়া থাকবে যার মেয়াদ ১৫ দিন। এটি যেকোনো বাংলালিংক সার্ভিসের জন্য ব্যবহার যাবে। মূল একাউন্টের ব্যালেন্স জানতে ডায়াল *১২৪#

৩ দিনের মেয়াদে ৫০MB ইন্টারনেট দেয়া থাকবে। ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল *১২৪*৫#

৫০টি বাংলালিংক টু বাংলালিংক এসএমএস থাকবে ১০ দিনের মেয়াদে। এসএমএস ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল *১২৪*৪#

২২ পয়সা/১০ সেকেন্ড যেকোনো নাম্বারে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা

টেলিটক এমএনপি অফার

মাইগ্রেশন চার্জঃ ফ্রি

বর্তমানে একমাত্র টেলিটক সম্পুর্ন বিনামূল্যে এই এমএনপি সার্ভিসটি দিচ্ছে। তবে আপনার যদি কোনো ব্যালেন্স ধার নেয়া থাকে কিংবা আপনার কাছ থেকে এরকম কোনো পাওনা আপনার বর্তমান অপারেটরের থাকে, তাহলে সেই টাকাটা আপনার খরচ করতে হবে। টেলিটকে আসতে চাইলে এজন্য নিকটস্থ টেলিটক কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে হবে।

এমএনপি ব্যবহার করে টেলিটকে এলে যে বিশেষ এমএনপি অফার পাবেন তা নিম্নরূপঃ

৫৭ পয়সা প্রতি মিনিট (ভ্যাট সহ, ১ সেকেন্ড পালস, ৩ মাস)

৪৫ টাকা রিচার্জে ১জিবি ৩০ দিন (৯০ দিন পর্যন্ত নেয়া যাবে)

পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত টেলিটকের এই এমএনপি অফার চলবে।

বলে রাখা ভালো এই অফার গুলো প্রতিটি অপারেটরদের ওয়েবসাইট থেকে নেয়া। অফারগুলো যে কোন সময় পরিবর্তনীয়।  তাই নতুন অফার জানতে অপারেটরদের নিজস্ব ওয়েবসাইট বা এক সঙ্গে সব খবর জানতে আমাদের টেক পাতায় চোখ রাখুন।

 

   

২০২৪ সাল

ব্যবসায়িক সাফল্য দিয়ে প্রথম প্রান্তিক শুরু গ্রামীণফোনের



ইশতিয়াক হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোন (জিপি) লিমিটেড ৩,৯৩২.৯ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৩ শতাংশ বেশি।

প্রথম তিন মাসে ১০ লাখ নতুন গ্রাহক নিয়ে প্রথম প্রান্তিকের শেষে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৩০ লাখ। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের ৫৫.৮ শতাংশ অথবা ৪ কোটি ৬৩ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছেন।

গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা আমাদের কর্মকৌশলে অটুট থেকে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছি। এছাড়াও অংশীদারিত্বগুলোকে দৃঢ় করার পাশাপাশি, আমাদের কার্যক্রমকে আরো সুসংহত করেছি। এই সব কিছুই আজকের এই সাফল্যে অবদান রেখেছে। টেলকো থেকে টেলকো-টেক কোম্পানিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলা উচিত। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা নিরলসভাবে ডিজিটাল সম্পদ তৈরি ও ডিজিটাল প্লেয়ারদের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কাজ করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আমরা সিলেটে আমাদের প্রথম টিয়ার থ্রি স্ট্যান্ডার্ড ডেটা সেন্টার উদ্বোধন করেছি, যা একটি প্রযুক্তিগত বিস্ময় হিসেবে নেটওয়ার্কে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এছাড়াও অনন্য হোম ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে আমরা ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড সলিউশন ‘জিপিফাই’ চালু করেছি, যা নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ এবং ডিজিটাল বিনোদন উপভোগ করতে চান, এমন পরিবারের জন্য একটি সামগ্রিক সল্যুশন।

টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যগুলো অর্জনের বিশ্বাস আমরা শুধু নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখিনি, আমরা কৌশলগতভাবে এমন সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করছি, যারা আমাদের মূল্যবোধ এবং পরিবেশ, সমাজ ও সুশাসন (ইএসজি) উদ্যোগগুলোকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করে।’

গ্রামীণফোনের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) অটো রিসব্যাক বলেন, ‘২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে আমাদের ক্রমাগত ব্যবসায়িক অগ্রগতিতে আমরা সন্তুষ্ট। প্রথম প্রান্তিকের ফলাফলে আমাদের ইতিবাচক আর্থিক প্রবৃদ্ধির প্রতিফলন হয়েছে। এই নিয়ে টানা ১২ প্রান্তিকে লক্ষ্যণীয় আর্থিক অগ্রগতি এবং ইবিআইটিডিএ-এর ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে গ্রামীণফোন। ভালো কর্মপরিকল্পনা এবং কঠোর আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখায় প্রথম প্রান্তিকে সাবস্ক্রিপশন ও ট্রাফিক রেভিনিউ হার ৫.২ শতাংশ এবং ইবিআইটিডিএ মার্জিন ৬০.৮ শতাংশে পৌঁছেছে।

আমাদের শক্তিশালী ব্যালেন্স শিট ও ক্যাশফ্লো’র কল্যাণে প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা এবং উদ্ভাবনে বিনিয়োগ অব্যহত রাখা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি তৈরি হয়েছে, একটি আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণার ভিত্তি।’

মূলত ফোরজি নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং ফাইবার সংযোগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি ২,৬০০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম প্রসারণে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোন (লাইসেন্স, ইজারা ও এআরও ব্যতিত) ৭১৭.৩ কোটি টাকার মূলধনী বিনিয়োগ করেছে।

নতুন কভারেজ সাইটসহ গত তিন মাসে ৫০০-এর বেশি নতুন ফোরজি সাইট চালু করেছে গ্রামীণফোন। ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিক শেষে গ্রামীণফোনের মোট ফোরজি সাইটের সংখ্যা ২১,৭০০ এর বেশি, যার মাধ্যমে ৯৭.৯ শতাংশ গ্রাহক ফোরজি সেবার আওতায় এসেছেন।

;

বেসিস নির্বাচন

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ২০৪১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি চাই’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টিম সাকসেসের পক্ষে ফ্লোরা টেলিকমের মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা সরকারের কাছ থেকে এই ট্যাক্স এক্সেমশন আদায় করতে চাই। টিম সাকসেসের দৃঢ় বিশ্বাস, তথ্যপ্রযুক্তির মেধা আর চাহিদা সমন্বয় করতে এই ট্যাক্স এক্সেমশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।

সম্প্রতি কাকরাইলে আইডিইবি মিলনায়তনে নির্বাহী কমিটির ১১ পদে ৩৩ প্রার্থীর পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে তিন প্যানেলে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অনুষ্ঠানে টিম সাকসেসের পক্ষে ফ্লোরা টেলিকমের মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, আমাদের একটি বড় লক্ষ্য বেসিসের জন্য স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তোলা। এর জন্য প্রয়োজন একটি স্থায়ী জমি, তার উপর নির্মাণ করা হবে বেসিসের নিজস্ব ভবন। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কারার জন্য আমরা ঢাকা সিটি মেয়র এবং রাজউক কর্তৃপক্ষকে সাথে রেখে নিষ্ঠার সাথে এই সাফল্য অর্জন করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, সদস্যদের সবচেয়ে জরুরি দাবি কর অব্যাহতির সময় বাড়াতে কাজ করতে চাই। বর্তমানে ২০২৪ সালের জুন মাসে এই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।

অনুষ্ঠানে টিম সাকসেসের অন্য প্রার্থীরা তাদের পরিচিতি দিয়ে বক্তব্য রাখেন। এর মধ্যে সাধারণ সদস্য তৌফিকুল করিম, মোহাম্মদ আমিনুল্লাহ, মো. সহিবুর রহমান খান, ফারজানা কবির, মো. শফিউল আলম, ইমরান হোসেন, সৈয়দা নাফিসা রেজা এবং এন এম রাফসান জানি (সহযোগী), আবদুল আজিজ (অ্যাফিলিয়েট) ও আবু মুহাম্মদ রাশেদ মজিদ (আন্তর্জাতিক)।

প্রার্থী পরিচিতি সভা পরিচালনা করেন বেসিসের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান টি আই এম নুরুল কবির। তার সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন বোর্ডের অপর দুই সদস্য সৈয়দ মামনুর কাদের ও নাজিম ফারহান চৌধুরী। নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ তৌহিদ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বেসিসের মোট সদস্যসংখ্যা ২ হাজার ৪০১। তবে এবারের নির্বাচনে ভোটার হয়েছেন ১ হাজার ৪৬৪ জন। তাদের মধ্যে সাধারণ ৯৩২, সহযোগী ৩৮৯, অ্যাফিলিয়েট ১৩৪ ও আন্তর্জাতিক সদস্য শ্রেণিতে ভোটার ৯ জন।

;

এক মাসেও ঠিক হচ্ছে না দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাটা পড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (সিমিউই-৫) থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে দেশে ইন্টারনেট সমস্যার এখনো কোনো সমাধান হয়নি। ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে গ্রাহকেরা এবার দীর্ঘ দুর্ভোগে পড়েছেন।

ক্যাবল মেরামত না হওয়ায় সহসাই এই সমস্যার সমাধান মিলছে না। রাষ্ট্রায়ত্ব বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, মূলত গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় সিমিউই-৫ ক্যাবলটি কাটা পড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

সাবমেরিন ক্যাবলের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইন্দোনেশিয়ার সাগর অংশে প্রবেশের অনুমতি এখনো পাওয়া যায়নি। অনুমতি পেতে তিন থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। এরপর কাটা ক্যাবল মেরামত করতে আরও ৮ থেকে ১০ দিন সময় লেগে যেতে পারে। সব মিলিয়ে এক মাসেও দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ পুরোপুরি সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।

তবে বিকল্প উপায়ে তারা দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। এখন পর্যন্ত তারা যে পরিমাণ ব্যান্ডউইথ সরবরাহের চাহিদা পেয়েছেন প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল থেকে আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ৪০ শতাংশ পূরণ করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

বর্তমানে সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। এই সরবরাহের পুরোটা বন্ধ রয়েছে। সিমিউই-৪ দিয়ে (প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল) বিকল্প উপায়ে ইন্টারনেট সচল এখনো করা যায়নি। এজন্য কাজ করছে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি। তারা বলছে, ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগবে। এই সময়কালে তারা চাহিদার মাত্র ৪০ শতাংশ ইন্টারনেট সচল করতে পারবেন।

বর্তমানে দেশে সাড়ে ৫ হাজার ব্যান্ডউইথের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি আড়াই হাজারের বেশি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে। বাকি চাহিদা মিটিয়ে থাকে ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি)।

;

ডেটায় সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে শীর্ষে রবি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ ও তীব্র প্রতিযোগিতা থাকার পরেও ডেটা সেবা থেকে আয়ের উপর নির্ভর করে সামগ্রিক আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে রবি। মোট ডেটা গ্রাহকের বিচারে এই খাতে সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে রবি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতিতে তার অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।

নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে নতুন ৫৭৭টি ফোরজি সাইট যুক্ত করেছে রবি। পরিষেবার মান উন্নত করার জন্য এই ধরনের উদ্যোগের ফলে রবি'র ৮১ শতাংশের বেশি ডেটা গ্রাহক এখন ফোরজি ব্যবহারকারী, যা এই খাতে সর্বোচ্চ। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এমন চিত্রই উঠে এসেছে।

বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির আয় হয়েছে ২ হাজার ৫১৬ দশমিক ২ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। একই সময়ের ব্যবধানে ডেটা থেকে আয় বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ।

রবি'র আর্নিংস বিফোর ইন্টারেস্ট, ট্যাক্স, ডেপ্রিসিয়েশন এবং এমোর্টাইজেশন (ইবিআইটিডিএ) গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেড়ে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ মার্জিনসহ ১ হাজার ২২০ দশমিক ২ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে কর-পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) ছিল ১০৬ দশমিক ৭ কোটি টাকা, আর কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল শূন্য দশমিক ২ টাকা।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮১ লাখে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩৬ লাখ। ফোরজি ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ। রবির গ্রাহকদের ৭৫ শতাংশেরও বেশি ডেটা ব্যবহার করেন যা এই খাতে সর্বোচ্চ।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে এক হাজার ৬০৫ দশমিক ৫ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে রবির অর্জিত আয়ের ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এ সময়ে ৩৬৬ দশমিক ২ কোটি টাকা মূলধনী বিনিয়োগ করেছে কোম্পানিটি।

রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রাজীব শেঠি বলেন, ‍আমরা দেখতে পাচ্ছি সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং মূল্যস্ফীতির প্রভাব আমাদের গ্রাহকদের মোবাইল ব্যবহারের ওপর পড়ছে। একইসাথে লক্ষণীয় যে, স্মার্টফোন ডিভাইসের ব্যবহারের প্রসার অনেকাংশে থমকে গেছে।

উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় ডেটা ব্যবহার বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। তবে এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে অতি সত্বর স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রসার বাড়াতে সরকার থেকে নীতি সহায়তা প্রয়োজন।

গুণগত মান নিশ্চিত করে সেবা দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে রাজীব শেঠি বলেন, গ্রাহকের অভিজ্ঞতা দিয়েই বলা যায়, আমাদের নেওয়া উদ্যোগের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, যার জন্য আমি গর্বিত। গত এক বছরে গড় ডেটা স্পিড শতভাগেরও বেশি বেড়েছে। সারাদেশে কভারেজ ও নেটওয়ার্কের সর্বত্র ধারাবাহিক স্পিড নিশ্চিত করার মাধ্যমে এ উন্নতি অর্জন করা হয়েছে। কল ড্রপের হার একইভাবে গত এক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। আমরা নিশ্চিত যে পরিষেবার গুণমান বৃদ্ধির উপর চলমান উদ্যোগ গ্রাহকের আস্থা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

;