চার কোম্পানিকে টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স প্রদান   

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম   
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মোবাইল টাওয়ার শেয়ারিং কোম্পানির লাইসেন্স হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আনুষ্ঠানিকভাবে চার কোম্পানির হাতে লাইসেন্স তুলে হয়। 

লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠানসমূহ হচ্ছে সামিট টাওয়ারস লিমিটেড, ইডটকো বাংলাদেশ, এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেড ও কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড এই লাইসেন্স পেতে যাচ্ছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার টিএএসসি সামিট টাওয়ার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম, ইডটকো বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল চৌধুরী, এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান মোল্লা এবং কীর্তনখোলা টাওয়ার লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান করিমের হাতে লাইসেন্স তুলে দেন। 

বিজ্ঞাপন

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, মোবাইল প্রযুক্তির প্রসার ঘটাতে হলে টাওয়ারের বিকল্প নেই। টাওয়ারের পেছনে যে বিনিয়োগ করার দরকার ছিল অপারেটরদের তা থেকে তারা বেঁচে গিয়েছেন। এখন তাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে গুনগত মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করা। যে অর্থ তারা টাওয়ারের পেছনে ব্যয় করতেন তা এখন মানসম্পন্ন সেবায় বিনিয়োগ করবেন। 

এমএনপি চালু করে মোবাইল গ্রাহকদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছি। ১৭ বছরের পুরাতন টেলিযোগাযোগ নীতিমালা

বিজ্ঞাপন

বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, ৫ বছরের মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে অপারেটর টাওয়ারসমূহ হস্তান্তর করতে হবে। কোনো অপারেটর টাওয়ার শেয়ার করতে পারবেন না। ৬ মাস থেকে ৫ বছরের মধ্যে সব উপজেলায় পৌছাতে হবে। তবে আমরা আশাকরি ৫ বছরের আগেই সব টাওয়ার কোম্পানিসমূহ যেতে পারবে। 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, গত এক বছরে  টেলিযোগাযোগ খাতে বার্ষিক বৈদেশিক মূদ্রা আয় ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে থেকে ৮০০ মিলিয়নে ছাড়িয়ে গিয়েছে।

টাওয়ার শেয়ারিং কোম্পানি লাইসেন্স পেতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিটিসিএলসহ মোট ১৯টি কোম্পানি আবেদন করেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তা জমা দিয়েছিল মাত্র ৮টি কোম্পানি। কোম্পানিসমূহের আবেদনের যাচাই-বাছাই শেষে চারটি কোম্পানিকে লাইসেন্স প্রদান করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।  

টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ কোটি ও বার্ষিক লাইসেন্স ফি ৫ কোটি টাকা।  টাওয়ার কোম্পানিতে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ থাকতে পারবে। এর আগের নীতিমালার খসড়ায় এ সীমা ছিল সর্বোচ্চ ৪৯ শতাংশ।

লাইসেন্স পাওয়ার পর নির্দিষ্ট কোম্পানিকে প্রথম বছর সব বিভাগীয় শহরে সেবা পৌছে দিতে হবে। দ্বিতীয় বছর জেলা শহর, তৃতীয় বছর ৩০ শতাংশ উপজেলা, চতুর্থ বছর ৬০ শতাংশ উপজেলা ও পঞ্চম বছর দেশের সব উপজেলায় টাওয়ার নিতে হবে লাইসেন্স পাওয়া কোম্পানিকে।