কলড্রপের সমাধান নেই অপারেটরদের হাতে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কলড্রপের সমাধান নেই অপারেটরদের হাতে, ছবি: বার্তা২৪.কম

কলড্রপের সমাধান নেই অপারেটরদের হাতে, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কলড্রপ নিয়ে গ্রাহকের অভিযোগ বিস্তর। এসব অভিযোগের বেশিরভাগই মূলত মোবাইল ফোন অপারেটরদের ঘিরে। কিন্তু একটি কল গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছাতে অপারেটর ছাড়াও এনটিটিএন, আইআইজি, আইসিএক্স, আইজিডব্লিউসহ অনেকগুলো পক্ষ জড়িত থাকে। অথচ তাদের সেবার মান নিয়ন্ত্রণের কোনো ক্ষমতা অপারেটরদের নেই। তাই স্বাভাবিকভাবেই কলড্রপ সমস্যার পুরো সমাধান অপারেটরদের হাতে নেই।

মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা যতটা সোচ্চার, অন্য সব পক্ষের কোয়ালিটি অব সার্ভিসের বিষয়ে তেমনটা দেখা যায় না। এখন পর্যন্ত ভয়েস কলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত অন্য পক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের কিউওএস বিষয়ে কোনো প্যারামিটার বা সূচক নির্ধারণ করা হয়নি।

মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এসোসিয়শেন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) আয়োজিত এক কর্মশালায় তিন মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের কর্মকর্তারা এ কথা জানান। এতে অপাটেরটরদের হয়ে উপস্থিত ছিলেন রবির হেড অব কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাহেদ আলম, বাংলালিংকের হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স তাইমুর রহমান ও গ্রামীণফোনের হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন শাহাদাত।

তারা বলেন, টেলিযোগাযোগ একটি ওয়্যারলেস প্রযুক্তির সেবা। কারিগরি সীমাবদ্ধতার কারণেই এখানে একটি নেটওয়ার্ককে সম্পূর্ণ কলড্রপ মুক্ত করা সম্ভব নয়। এসব কারিগরি সীমাবদ্ধতার মধ্যে রয়েছে তরঙ্গের স্বল্পতা, ঘন ঘন ফাইবার কেটে যাওয়া, নিম্নমানের হ্যান্ডসেট ও জনসংখ্যার ঘনত্বের মতো অনেকগুলো বিষয়। সম্প্রতি মোবাইল টেলিফোনে কলড্রপ নিয়ে জাতীয় সংসদে বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ক্ষোভ প্রকাশ এবং পরবর্তীতে বিগত এক বছরে কলড্রপ নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে। 

বাংলাদেশে তরঙ্গের উচ্চমূল্য কলড্রপ সমস্যার একটি অন্যতম কারণ। কারণ তরঙ্গ ব্যবহার করেই মূলত টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়া হয়। বাংলাদেশে প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের দাম এখন বিশ্বের সব দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ, এর বিপরীতে গ্রাহক প্রতি আয় এখন মাত্র ১৩০ টাকা। তরঙ্গের উচ্চমূল্যের কারণে বিভিন্ন ব্যান্ডের ১৮৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ এখনো বাংলাদেশে অব্যবহ্নত রয়ে গেছে। বিপুল পরিমাণ এ অব্যবহৃত তরঙ্গের বিষয়ে সরকারের একটি নীতিমালা থাকা দরকার।

তারা মনে করেন, তরঙ্গের ন্যায্য দাম নির্ধারণ করে অপারেটরদের দেওয়া হলে কলড্রপের মতো সমস্যা সমাধানে তা খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। অপারেটরদের বাড়তি তরঙ্গের চাহিদা পূরণ করে বিটিআরসি প্রয়োজনে কোয়ালিটি অব সার্ভিসের বিষয়ে আরও কঠোর হতে পারে।

কলড্রপের সমস্যা সমাধানে তরঙ্গের পাশাপাশি ফাইবার অপটিক বা এনটিটিএন অপারেটরের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এনটিটিএন নীতিমালা অনুযায়ী, এনটিটিএন অপারেটরের কাছ থেকে মোবাইল ফোন অপারেটরদের ফাইবার লিজ পাওয়ার কথা। কিন্তু ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে এনটিটিএন অপারেটররা তাদের ফাইবার অপারেটরদের লিজ দেয় না। ঘন ঘন ফাইবার কাটা পড়া এবং নিজস্ব ফাইবার না থাকায় কলড্রপের হার নিয়ন্ত্রণে রাখা অপারেটরদের জন্য অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে।

মোবাইল ফোন অপারেটরদের জন্য বিটিএস স্থাপনের জায়গা পাওয়া এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেডিয়েশন নিয়ে সাধারণ মানুষের নেতিবাচক ধারণার কারণে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে টাওয়ার বসাতে গিয়ে স্থান পাওয়া যাচ্ছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, মিরপুর ডিওএইচএস, বারিধারা ডিওএইচএস, কুড়িল, বনশ্রী, চট্টগ্রাম বন্দর, ডিওএইচএস, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সল্টগোলা মোড়-সারা দেশে এমন অনেক এলাকায় বিটিএস স্থাপনে অপারেটররা অনুমতি পাচ্ছে না। সাভারের রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পরে অনেক গার্মেন্টস ভবনের ওপরে থাকা মোবাইল ফোন টাওয়ার অপারেটররা সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। নতুন লাইসেন্সপ্রাপ্ত টাওয়ার কোম্পানির জন্যও এ বিষয়গুলো সমাধান করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

তারা মানসম্পন্ন সেবা দিতে না পারার জন্য নিম্নমানের হ্যান্ডসেটকে দায়ী করে বলেন, বাংলাদেশে আমদানি হওয়া ৬০ শতাংশ হ্যান্ডসেটই অত্যন্ত নিম্নমানের। ফোরজি উপযোগী হ্যান্ডসেটের ব্যবহার একটি জায়গায় এসে আটকে গেছে। ফোরজি হ্যান্ডসেট আমদানিতে উচ্চ করের কারণে তা সাধারণ ব্যবহারকারীদের ক্রয় সীমার মধ্যে এখনো আসেনি।

অনেক সীমাবদ্ধতার পরেও তিন বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটরের কলড্রপের পরিমাণ বিটিআরসির নির্ধারিত সীমার নিচে রয়েছে। বিটিআরসির মানদণ্ড অনুসারে, অপারেটরদের কলড্রপের হার মোট কলের ২ শতাংশের নিচে থাকতে হবে। তিন অপারেটরের কলড্রপের হার .৫ থেকে .৮ শতাংশের মধ্যে, অর্থাৎ ১ শতাংশের কম। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে কল সাকসেস রেটের হার ৯৯ শতাংশ। অর্থাৎ একজন গ্রাহক মোবাইলে ফোন করলে ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই তিনি কলটি সফলভাবে করতে পারেন।

কলড্রপ সমস্যার বিষয়টি তাই সার্বিকভাবে দেখতে হবে। এককভাবে শুধু মোবাইল ফোন অপারেটরদের দোষারোপ করে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। টেলিযোগাযোগ ইকোসিস্টেমে যুক্ত সব পক্ষকে নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার বাস্তবভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমে কলড্রপের মতো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

   

বাংলালিংকের আয় বেড়েছে ১৪.৪ শতাংশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক, তাদের দুই অংকের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছে। অপারেটরটির বার্ষিক আয় আগের বছরের তুলনায় ১৪.৪ শতাংশ বেড়ে ২০২৩ অর্থবছরে ৬ হাজার ১৫০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বাংলালিংক-এর এই অর্জনে ভূমিকা রেখেছে এর ফোর-জি গ্রাহক সংখ্যার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি, ‘ডিজিটাল অপারেটর ১৪৪০’ কৌশলের সঠিক বাস্তবায়ন, যার অর্থ হলো দিনের প্রতি মিনিটে গ্রাহকদের সাথে যুক্ত থাকা এবং দেশব্যাপী নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ। এই কৌশলগত পদক্ষেপগুলো বাংলালিংককে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন মান প্রতিষ্ঠা করেছে।

সম্প্রতি, বাংলালিংক তার নেটওয়ার্ক কভারেজ দ্বিগুণ করেছে, তাদের মোট টাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে ১৬ হাজারের বেশি। বাংলালিংক-এর উচ্চ গতি ও মানসম্মত নেটওয়ার্কের পাশাপাশি মাইবিএল সুপার অ্যাপ, টফি ও বিপ-এর মতো উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাগুলো এই ভালো ফল অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বাংলালিংক-এর গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৩৫ লাখ। সম্প্রতি বাংলালিংক-এর মূল কোম্পানি ভিওন প্রকাশিত ২০২৩ সালের বার্ষিক আয়ের প্রতিবেদন অনুসারে অপারেটরটির ফোর-জি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২ কোটি ফোর-জি গ্রাহকের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

ইতোমধ্যে ডিজিটাল স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বিনোদনের মতো ক্ষেত্রে বাংলালিংক তাদের ডিজিটাল সেবার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। বাংলালিংক-এর মাইবিএল সুপার অ্যাপ, দেশের টেলিকম খাতের প্রথম সুপার অ্যাপ যা অন্য মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকরাও ব্যবহার করতে পারবে এবং যা এক প্ল্যাটফর্ম থেকেই বিস্তৃত ডিজিটাল সেবা প্রদান করছে। অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের প্রাত্যহিক জীবনকে করে তুলে আরও সহজ।

গুগল প্লে স্টোর-এর লাইফস্টাইল বিভাগে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে মাইবিএল সুপার অ্যাপ, যা এর জনপ্রিয়তা ও ব্যবহার উপযোগিতা প্রতিফলিত করে।

২০২৩-এ চতুর্থ প্রান্তিকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো, প্রায় আশি লাখ, যা ৩৬.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। বাংলালিংক-এর টফি বর্তমানে অডিও ও ভিডিও স্ট্রিমিং সংবলিত দেশের শীর্ষস্থানীয় বিনোদন অ্যাপ্লিকেশন ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। দেশের সকল মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে গ্রাহকগণ টফি ব্যবহার করতে পারেন। দেশজুড়ে বিস্তৃত ফোর-জি নেটওয়ার্কের সুবিধা নিয়ে, বাংলালিংক গত চার বছরে বাংলাদেশের ‘দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্ক’-হিসেবে ধারাবাহিকভাবে ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছে যা বাংলালিংক-এর ডেটা গ্রাহক বৃদ্ধিতে এটি বিশেষ অবদান রেখেছে।

বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অস বলেন, উদ্ভাবন, বিশ্বাস ও মানসম্মত সেবা প্রদানের কারণেই বাংলালিংক দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পেরেছে। গ্রাহকদের অগ্রাধিকার দিয়ে, ডিজিটাল অপারেটর কৌশলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা খাতে আমরা আরও নতুন মাত্রা যোগ করতে চাই। দেশব্যাপী ব্যাপক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি সারা দেশে আমাদের কভারেজকে দ্বিগুণ করেছি। সবচেয়ে বেশি গতি ও মানসম্মত নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার মাধ্যমে মাইবিএল সুপার অ্যাপ, টফি ও বিপ-এর মতো উন্নত ডিজিটাল সেবাগুলির মান আরও বাড়াতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

;

ডিজিটাল মার্কেটিং ও সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছেন রায়হান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণরা দেশের সম্পদ। তবে অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে বেকারের খাতায় নাম লেখান। তারা সম্পদে রূপান্তর না হয়ে দেশের বোঝা হয়ে যান। এমন সংকটে ১৯ বছর বয়সেই ডিজিটাল মার্কেটিং করে সফল হওয়ার চেষ্টায় তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী মুশফিক আর. রায়হান।

প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষ যেভাবে অনলাইনের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে, তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে অনেক তরুণই ক্যরিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ এ ক্যারিয়ার একজন মানুষকে একদিকে যেমন প্রযুক্তিপ্রেমী করে তুলছে, অন্যদিকে জীবনকে করে তুলছে স্বাচ্ছন্দ্যময়।

এমনই এক তরুণ উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল বিপণনকারী মুশফিক আর. রায়হান। নিজের নামেই একটি ফেসবুক পেজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন এ তরুণ। দেখতে দেখতে দীর্ঘ পথচলায় এখন তিনি বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচিত।

বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন মুশফিক আর. রায়হান। তিনি বলেন, ‘দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এ সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।’

তার মতে, ‘এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ-কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার। কী ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে মানুষ, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

;

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক

  • Font increase
  • Font Decrease

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এটাকে আমরা চলমান রাখতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য ভিশন-২০৪১ ঘোষণা করেছেন, এবং যুক্তরাজ্য সরকার ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজি ঘোষণা করেছে।

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকায় আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে যুক্তরাজ্যের হাই-কমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন ।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ রয়েছে। সেগুলো হলো- স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট সিটিজেন, এবং স্মার্ট সোসাইটি। স্মার্ট সোসাইটির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুই দেশের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তঃবাণিজ্য, আন্তঃবিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি ইনোভেশন, সাইবার সিকিউরিটি ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে দেশের তরুণ প্রজন্মের ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ কমিউনিকেটিং স্কিল বাড়ানোর জন্য আলোচনা হয়েছে। যাতে করে আমাদের ফ্রিল্যান্সার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা লাভবান হতে পারে। অতীতের মতো আগামীদিনেও আমরা এই জায়গাতে কাজ করতে চাই।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে মিলে আইটি সেক্টরের বিজনেস বাড়ানো, সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা এবং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে। এছাড়াও অন্যান্য অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আলোচনা অব্যাহত রাখবো এবং ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে কাজ করবে।

;

উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করলো পটুয়াখালী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) এর উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করলো পটুয়াখালী।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক পটুয়াখালী টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবন থেকে জীবন সেবার উদ্বোধন করেন।

এসময় পটুয়াখালী বিটিসিএল কর্মকর্তাকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে জুনের মধ্যে ৩ হাজার সংযোগের নির্দেশ দেন তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

উদ্বোধন শেষে প্রতিমন্ত্রী বিটিসিএল কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জনসাধারণকে "জীবন" সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। জুনের ৩০ এর মধ্যে যদি লাভজনকে না যাইতে পারেন তখন কিন্তু আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবো তখন আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে কি না সন্দেহ আছে। বসে বসে বাবুগিরি চলবে না কাজ করে খাইতে হবে। সরকারের এ অবস্থা নাই যে শত শত হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিবো। তিনি আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে কোনো কিছুই অসম্ভব না। আপনিও ৫ মাসের মধ্যে ৩ হাজার সংযোগ দিতে পারবেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেধাবী ও সাহসী পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।প্যাসিভ অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক জীবন হবে বিটিসিএল এর লাইফ লাইন। ভবিষ্যতে বিটিসিএলকে বাঁচিয়ে রাখা, সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং লাভজনক কোম্পানিতে পরিণত করতে জীবন ফলপ্রসূ অবদান রাখবে।

এর আগে তিনি বিকেলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার ভূরিয়া শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ কাজ অগ্রগতি পরিদর্শন করেন ও সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন করেন।

;