স্কাইপ বাদে কথা বলার সেরা ১০ অ্যাপস



তাসকিন আল আনাস
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বব্যাপি স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে কথা বলার ইচ্ছা। সেই সঙ্গে পাল্টাচ্ছে কথা বলার মাধ্যমও। আগে মানুষ ডিরেক্ট ফোন টু ফোন কল করলেও এখন এসে গেছে অনেক অ্যাপস যার ফলে এখন আর ডিরেক্ট ভয়েস কল করতে হয়না। অ্যাপস ব্যবহার করেই মানুষ এখন শুধু ডাটা খরচ করেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতে পারছে। এরসঙ্গে ভিডিও কলিং যুক্ত হওয়ায় মানুষের নির্ভরতা দিন দিন অ্যাপস গুলোর উপরে বেড়েই চলেছে। কিন্তু সব অ্যাপসই ভালো সার্ভিস দিবে এমনটা নয়।

 তাই আপনাদের জন্য খুঁজে ১০টি সেরা অ্যাপস এর তালিকা নিয়ে এসেছি। 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/20/1542703016813.png

হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেঞ্জার: জনপ্রিয়তার দিক থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেঞ্জার বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত।ফেসবুক নিয়ন্ত্রণাধীন এই অ্যাপসটি ভয়েস ও ভিডিও কলিং ফিচারের জন্য খুবই প্রিয় ব্যবহারকারীদের কাছে। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ২জি নেটওয়ার্কেও এটি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেয়। এছাড়াও গ্রুপ ভিডিও কলিং সুবিধায় ৪ জন বন্ধুর সঙ্গেও এটি দিয়ে কথা বলতে পারবেন। অ্যাপসের নির্মাতারা একে সর্বোচ্চ নিরাপদ বলে অভিহিত করেছে। কেননা এন্ডটু এন্ড এনক্রিপশনের কারণে দুইজন ইউজার ব্যাতিত আর কেউ ব্যবহারকারীর  আদান প্রদান করা টেক্সট ও মেসেজ দেখতে পান না । তবে এর ড্রব্যাকস এর মধ্যে রয়েছে ইমেজ কোয়ালিটি কমে যাওয়া। যদিও তুলনামূলক ভাবে অন্যন্য ইন্সট্যান্ট মেসেজ সার্ভিসের থেকে এর ইমেজ কোয়ালিটি ভালো থাকে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/20/1542703035704.jpg

ভাইবারঃ বিশ্বব্যাপি জনপ্রিয়তার দিক থেকে ভাইবার রয়েছে ২য় শীর্ষে । এর অন্যতম সুবিধা হচ্ছে এটি শুধু মোবাইলেই নয় ব্যবহার করা যাবে ডেক্সটপেও।এটি উইন্ডোজ, ম্যাক, আইওএস এমনকি লিনাক্স সমর্থিত। এছাড়াও এন্ড্রয়েড চালিত স্মার্ট টিভি থাকলে বন্ধুর সাথে বিগ স্ক্রিনে জমিয়ে আড্ডা দিতে পারবেন এই অ্যাপস দিয়ে।এটির আরেকটি মজার দিক হচ্ছে ২০০ বন্ধু নিয়ে আপনি এই অ্যাপস এ গ্রুপ চ্যাট করতে পারবেন।বাংলাদেশে অনেক বিজনেস গ্রুপ তাদের ভাইবার গ্রুপের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট সেবাও দিয়ে থাকে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/20/1542703051243.jpg

ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারঃ যদি আপনার ফেসবুকে অধিক ফ্রেন্ড থাকে তবে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার হতে পারে আপনার জন্য বেস্ট অপশন । কেননা আপনার আলাদা করে ফোন বুক সিংক করতে হবেনা ফেসবুকে লিস্টে থাকা ফ্রেন্ডদেরই কল করতে পারবেন নিশ্চিন্তে। ভিডিও গ্রুপ কলের মাধ্যেম ১৫ জনের সঙ্গে একসাথে কথা বলতে পারেন একজন ব্যবহারকারী। তাই কনফারেন্স কলিং এর ক্ষেত্রেও ফেসবুক একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপস। এটিও মোবাইলে এবং ডেক্সটপে ব্যবহার করা যায়। সম্প্রতি সিক্রেট ম্যাসেজ সার্ভিসের কারণে জনপ্রিয়তা বাড়ছে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার এর । এই ফিচার এর মাধ্যমে আপনি যে কোন বন্ধুকে  ২৪ ঘণ্টার জন্য একটি মেসেজ পাঠাতে পারবেন। নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হবার পর মেসেজটি দুই দিক থেকেই মুছে যাবে। ফলে যে কোন গোপন তথ্যে দিলেও তা দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং এর শিকার হবেন না ব্যবহারকারীরা।

 https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/20/1542703067864.jpg

উইচ্যাটঃ চিনা এই অ্যাপ্লিকেশনটি সেই দেশে খুবই জনপ্রিয় বলা যায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী । কেননা হেন কোন কাজ নেই এই অ্যাপসটি দিয়ে করা যায় না। গ্রুপ চ্যাট থেকে শুরু করে পেমেন্ট গেটওয়ে পর্যন্ত সুবিধা পেয়ে থাকেন এর চীনা ব্যবহারকারীরা। তবে পেমেন্ট গেটওয়ে শুধু চীনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। অন্যান্য দেশের গ্রাহকরা এর ভিডিও কলিং, ভয়েস কলিং ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মোমেন্টস এর মাধ্যমে যুক্ত থাকতে পারেন তার বন্ধুদের সাথে। মূলত চীন দেশে অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ থাকায় প্রায় একমাত্র উপায় হবার কারণে উই চ্যাট প্রচণ্ড জনপ্রিয়। বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী উচচ শিক্ষা অর্জনের জন্য চীন দেশে থাকায় উইচ্যাট এর জনপ্রিয়তা দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে। এর মোমেন্টস ফিচারের মাধ্যমে প্রাইভেসি দিয়ে নির্দিষ্ট কিছু বন্ধুর সঙ্গেও আপনি আপনার মুহূর্ত শেয়ার করতে পারবেন।

 https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/20/1542703082959.jpg

লাইনঃ আরেকটি বহুল প্রচলিত ইন্সট্যান্ট চ্যাট ও ভয়েস কলিং অ্যাপস হচ্ছে লাইন। থাইল্যান্ডে জনপ্রিয় এই অ্যাপসটি উইন্ডোজ, ম্যাক , আইওএস সমর্থিত। তবে এটি কাজ করবে না লিন্যাক্সএ । এটিতেও ভয়েস কলিং, ভিডিও কলিং ও গ্রুপ কলিং এর ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও এতে নান ধরনের স্টিকার ব্যবহার করা যায় তাই চ্যাটিং এর সময়ে মুহূর্তগুলো আরো মজার করে তোলা যায় এই অ্যাপসে ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/20/1542703099285.jpeg

ফেসটাইমঃ ল্যাগ বা বাফার ছাড়া ক্রিস্টাল ক্লিয়ার কথা বলতে চান । তাহলে আপনাকে বেছে নিতে হবে অ্যাপল এর ফেসটাইম ফিচারটি। শুনেই বুঝতে পারছেন এটি একমাত্র অ্যাপলের ফিচার।এর মাধ্যেম কেউ চাইলে ভিডিও কনফারেন্সিংও করতে পারেন । তবে এই জন্য দুই জনের দিকেই ওয়াইফাই কানেকশন থাকতে হবে আর মোবাইল ডাটা ইউজ করতে চাইলে নুন্যতম থ্রিজি প্রযুক্তি থাকা বাধ্যতামূলক ।

 https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/20/1542703114556.jpg

সিগন্যাল প্রাইভেট ম্যাসেঞ্জারঃ তথ্য এখন বিশ্বব্যাপি একটি অমূল্য সম্পদের মত । হ্যাকাররা মুখিয়ে থাকে কখন একটি অ্যাপস এর বাগ বের করে এর মাধ্যমে গ্রাহকের তথ্য হাতিয়ে নেয়া যাবে। তাই দিন দিন প্রাইভেট ম্যাসেঞ্জার বা হাই অ্যাকুরেসি প্রাইভেসি সম্বলিত অ্যাপস গুলোর চাহিদা বেড়ে চলছে। সেই দিকটি মাথায় রেখে ব্যবহারকারীদের জন্য এসেছে সিগন্যাল প্রাইভেট ম্যাসেঞ্জার। এটি প্রাইভেট ম্যাসেঞ্জার শুধু টেক্সটই ইনক্রিপ্ট করে না বরং ভয়েস কলও ইনক্রিপ্ট করে পাঠায়। ফলে মাঝে পরে কারো সাধ্য নাই দুটি সিগন্যাল ডিভাইসের কথোপকথন রেকর্ড বা শোনার। আর এটিতেও ২৪ ঘণ্টার জন্য একটি মেসেজ পাঠানো যায় এর পর সেই মেসেজটি দুদিক থেকেই মুছে যাবে। অ্যাপসটি ব্যবহার করতে হলে নিজের মোবাইল নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সারা বিশ্বে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের কাছে এই জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। এছাড়াও সুইজারল্যান্ডে এই অ্যাপসটি বহুল জনপ্রিয়তা রয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/20/1542704510429.jpg

ইমোঃ ফোনে নেই থ্রি জি বা ফোর জি? কোন সমস্যা নেই আপনাদের জন্য আছে একটি অ্যাপস যা দিয়ে মাত্র ২ জি কানকেশন দিয়ে দুর্দান্ত চ্যাট করা সম্ভব। এটি এতই লাইটওয়েট একটি অ্যাপস যে আপনি ২জি কানেকশনেও এটি দিয়ে ভিডিও কল করতে পারবেন। তাই যে সব দেশে ও অঞ্চলে ইন্টারনেট এর কিছুটা দুর্বল সেসব জায়গায় ইমো প্রচণ্ড জনপ্রিয় একটি অ্যাপস। যেকোনো নেটওয়ার্কে সহজলভ্য হওয়ায় বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি ওয়ার্কারদের কাছে এইটি বহু জনপ্রিয় একটি অ্যাপস।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/20/1542703135884.jpg

কাকাওটকঃ সাউথ কোরিয়ান এই অ্যাপসটি দিয়ে আপনি আপনার বন্ধুকে ভিডিও ও অডিও কল করতে পারবেন। এই অ্যাপসটির মজার দিক হচ্ছে এর মাধ্যমে ভয়েস চেঞ্জ করে আপনি আপনার বন্ধুর সাথে আড্ডা দিতে পারবেন। বেনটেন, টকিং টম এর মত জনপ্রিয় ভয়েস চেঞ্জার অপশন পাবেন এই অ্যাপসটিতে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/20/1542703161040.png

গুগল ডুয়ো ও হ্যাংআউটঃ গুগল হ্যাংআউট এখন পর্যন্ত গুগলের বেস্ট ইন্সট্যান্ট চ্যাটও ভয়েস কলিং অ্যাপস। এটি কানাডা ও মার্কিং যুক্তরাষ্ট্রে এর জনপ্রিয়তা এতই তুঙ্গে যে এই দুটি দেশে গুগল হ্যাংআউট ব্যবহার করে সরাসরি নাম্বারে ফোন করা যায় কোন সার্ভিস চার্জ ছাড়াই। তবে এর জন্য থাকতে হবে গুগল ডায়ালা অ্যাপসও।

 এছাড়াও ভিডিও কলিং বেসড অ্যাপস গুগল ডুয়ো দিয়ে বাফারিং ছাড়া ভিডিও কলিং করা যায়।  বাফারিং ফ্রি ফিচারের জন্য রয়েছে এর জনপ্রিয়তা থাকলেও সম্প্রতি অডিও কলিং ফিচারও যুক্ত করা হয়েছে অ্যাপসটিতে।

   

২০২৪ সাল

ব্যবসায়িক সাফল্য দিয়ে প্রথম প্রান্তিক শুরু গ্রামীণফোনের



ইশতিয়াক হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোন (জিপি) লিমিটেড ৩,৯৩২.৯ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৩ শতাংশ বেশি।

প্রথম তিন মাসে ১০ লাখ নতুন গ্রাহক নিয়ে প্রথম প্রান্তিকের শেষে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৩০ লাখ। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের ৫৫.৮ শতাংশ অথবা ৪ কোটি ৬৩ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছেন।

গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা আমাদের কর্মকৌশলে অটুট থেকে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছি। এছাড়াও অংশীদারিত্বগুলোকে দৃঢ় করার পাশাপাশি, আমাদের কার্যক্রমকে আরো সুসংহত করেছি। এই সব কিছুই আজকের এই সাফল্যে অবদান রেখেছে। টেলকো থেকে টেলকো-টেক কোম্পানিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলা উচিত। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা নিরলসভাবে ডিজিটাল সম্পদ তৈরি ও ডিজিটাল প্লেয়ারদের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কাজ করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আমরা সিলেটে আমাদের প্রথম টিয়ার থ্রি স্ট্যান্ডার্ড ডেটা সেন্টার উদ্বোধন করেছি, যা একটি প্রযুক্তিগত বিস্ময় হিসেবে নেটওয়ার্কে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এছাড়াও অনন্য হোম ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে আমরা ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড সলিউশন ‘জিপিফাই’ চালু করেছি, যা নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ এবং ডিজিটাল বিনোদন উপভোগ করতে চান, এমন পরিবারের জন্য একটি সামগ্রিক সল্যুশন।

টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যগুলো অর্জনের বিশ্বাস আমরা শুধু নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখিনি, আমরা কৌশলগতভাবে এমন সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করছি, যারা আমাদের মূল্যবোধ এবং পরিবেশ, সমাজ ও সুশাসন (ইএসজি) উদ্যোগগুলোকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করে।’

গ্রামীণফোনের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) অটো রিসব্যাক বলেন, ‘২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে আমাদের ক্রমাগত ব্যবসায়িক অগ্রগতিতে আমরা সন্তুষ্ট। প্রথম প্রান্তিকের ফলাফলে আমাদের ইতিবাচক আর্থিক প্রবৃদ্ধির প্রতিফলন হয়েছে। এই নিয়ে টানা ১২ প্রান্তিকে লক্ষ্যণীয় আর্থিক অগ্রগতি এবং ইবিআইটিডিএ-এর ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে গ্রামীণফোন। ভালো কর্মপরিকল্পনা এবং কঠোর আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখায় প্রথম প্রান্তিকে সাবস্ক্রিপশন ও ট্রাফিক রেভিনিউ হার ৫.২ শতাংশ এবং ইবিআইটিডিএ মার্জিন ৬০.৮ শতাংশে পৌঁছেছে।

আমাদের শক্তিশালী ব্যালেন্স শিট ও ক্যাশফ্লো’র কল্যাণে প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা এবং উদ্ভাবনে বিনিয়োগ অব্যহত রাখা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি তৈরি হয়েছে, একটি আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণার ভিত্তি।’

মূলত ফোরজি নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং ফাইবার সংযোগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি ২,৬০০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম প্রসারণে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোন (লাইসেন্স, ইজারা ও এআরও ব্যতিত) ৭১৭.৩ কোটি টাকার মূলধনী বিনিয়োগ করেছে।

নতুন কভারেজ সাইটসহ গত তিন মাসে ৫০০-এর বেশি নতুন ফোরজি সাইট চালু করেছে গ্রামীণফোন। ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিক শেষে গ্রামীণফোনের মোট ফোরজি সাইটের সংখ্যা ২১,৭০০ এর বেশি, যার মাধ্যমে ৯৭.৯ শতাংশ গ্রাহক ফোরজি সেবার আওতায় এসেছেন।

;

বেসিস নির্বাচন

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ২০৪১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি চাই’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টিম সাকসেসের পক্ষে ফ্লোরা টেলিকমের মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা সরকারের কাছ থেকে এই ট্যাক্স এক্সেমশন আদায় করতে চাই। টিম সাকসেসের দৃঢ় বিশ্বাস, তথ্যপ্রযুক্তির মেধা আর চাহিদা সমন্বয় করতে এই ট্যাক্স এক্সেমশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।

সম্প্রতি কাকরাইলে আইডিইবি মিলনায়তনে নির্বাহী কমিটির ১১ পদে ৩৩ প্রার্থীর পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে তিন প্যানেলে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অনুষ্ঠানে টিম সাকসেসের পক্ষে ফ্লোরা টেলিকমের মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, আমাদের একটি বড় লক্ষ্য বেসিসের জন্য স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তোলা। এর জন্য প্রয়োজন একটি স্থায়ী জমি, তার উপর নির্মাণ করা হবে বেসিসের নিজস্ব ভবন। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কারার জন্য আমরা ঢাকা সিটি মেয়র এবং রাজউক কর্তৃপক্ষকে সাথে রেখে নিষ্ঠার সাথে এই সাফল্য অর্জন করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, সদস্যদের সবচেয়ে জরুরি দাবি কর অব্যাহতির সময় বাড়াতে কাজ করতে চাই। বর্তমানে ২০২৪ সালের জুন মাসে এই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।

অনুষ্ঠানে টিম সাকসেসের অন্য প্রার্থীরা তাদের পরিচিতি দিয়ে বক্তব্য রাখেন। এর মধ্যে সাধারণ সদস্য তৌফিকুল করিম, মোহাম্মদ আমিনুল্লাহ, মো. সহিবুর রহমান খান, ফারজানা কবির, মো. শফিউল আলম, ইমরান হোসেন, সৈয়দা নাফিসা রেজা এবং এন এম রাফসান জানি (সহযোগী), আবদুল আজিজ (অ্যাফিলিয়েট) ও আবু মুহাম্মদ রাশেদ মজিদ (আন্তর্জাতিক)।

প্রার্থী পরিচিতি সভা পরিচালনা করেন বেসিসের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান টি আই এম নুরুল কবির। তার সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন বোর্ডের অপর দুই সদস্য সৈয়দ মামনুর কাদের ও নাজিম ফারহান চৌধুরী। নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ তৌহিদ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বেসিসের মোট সদস্যসংখ্যা ২ হাজার ৪০১। তবে এবারের নির্বাচনে ভোটার হয়েছেন ১ হাজার ৪৬৪ জন। তাদের মধ্যে সাধারণ ৯৩২, সহযোগী ৩৮৯, অ্যাফিলিয়েট ১৩৪ ও আন্তর্জাতিক সদস্য শ্রেণিতে ভোটার ৯ জন।

;

এক মাসেও ঠিক হচ্ছে না দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাটা পড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (সিমিউই-৫) থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে দেশে ইন্টারনেট সমস্যার এখনো কোনো সমাধান হয়নি। ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে গ্রাহকেরা এবার দীর্ঘ দুর্ভোগে পড়েছেন।

ক্যাবল মেরামত না হওয়ায় সহসাই এই সমস্যার সমাধান মিলছে না। রাষ্ট্রায়ত্ব বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, মূলত গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় সিমিউই-৫ ক্যাবলটি কাটা পড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

সাবমেরিন ক্যাবলের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইন্দোনেশিয়ার সাগর অংশে প্রবেশের অনুমতি এখনো পাওয়া যায়নি। অনুমতি পেতে তিন থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। এরপর কাটা ক্যাবল মেরামত করতে আরও ৮ থেকে ১০ দিন সময় লেগে যেতে পারে। সব মিলিয়ে এক মাসেও দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ পুরোপুরি সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।

তবে বিকল্প উপায়ে তারা দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। এখন পর্যন্ত তারা যে পরিমাণ ব্যান্ডউইথ সরবরাহের চাহিদা পেয়েছেন প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল থেকে আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ৪০ শতাংশ পূরণ করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

বর্তমানে সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। এই সরবরাহের পুরোটা বন্ধ রয়েছে। সিমিউই-৪ দিয়ে (প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল) বিকল্প উপায়ে ইন্টারনেট সচল এখনো করা যায়নি। এজন্য কাজ করছে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি। তারা বলছে, ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগবে। এই সময়কালে তারা চাহিদার মাত্র ৪০ শতাংশ ইন্টারনেট সচল করতে পারবেন।

বর্তমানে দেশে সাড়ে ৫ হাজার ব্যান্ডউইথের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি আড়াই হাজারের বেশি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে। বাকি চাহিদা মিটিয়ে থাকে ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি)।

;

ডেটায় সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে শীর্ষে রবি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ ও তীব্র প্রতিযোগিতা থাকার পরেও ডেটা সেবা থেকে আয়ের উপর নির্ভর করে সামগ্রিক আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে রবি। মোট ডেটা গ্রাহকের বিচারে এই খাতে সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে রবি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতিতে তার অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।

নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে নতুন ৫৭৭টি ফোরজি সাইট যুক্ত করেছে রবি। পরিষেবার মান উন্নত করার জন্য এই ধরনের উদ্যোগের ফলে রবি'র ৮১ শতাংশের বেশি ডেটা গ্রাহক এখন ফোরজি ব্যবহারকারী, যা এই খাতে সর্বোচ্চ। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এমন চিত্রই উঠে এসেছে।

বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির আয় হয়েছে ২ হাজার ৫১৬ দশমিক ২ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। একই সময়ের ব্যবধানে ডেটা থেকে আয় বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ।

রবি'র আর্নিংস বিফোর ইন্টারেস্ট, ট্যাক্স, ডেপ্রিসিয়েশন এবং এমোর্টাইজেশন (ইবিআইটিডিএ) গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেড়ে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ মার্জিনসহ ১ হাজার ২২০ দশমিক ২ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে কর-পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) ছিল ১০৬ দশমিক ৭ কোটি টাকা, আর কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল শূন্য দশমিক ২ টাকা।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮১ লাখে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩৬ লাখ। ফোরজি ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ। রবির গ্রাহকদের ৭৫ শতাংশেরও বেশি ডেটা ব্যবহার করেন যা এই খাতে সর্বোচ্চ।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে এক হাজার ৬০৫ দশমিক ৫ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে রবির অর্জিত আয়ের ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এ সময়ে ৩৬৬ দশমিক ২ কোটি টাকা মূলধনী বিনিয়োগ করেছে কোম্পানিটি।

রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রাজীব শেঠি বলেন, ‍আমরা দেখতে পাচ্ছি সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং মূল্যস্ফীতির প্রভাব আমাদের গ্রাহকদের মোবাইল ব্যবহারের ওপর পড়ছে। একইসাথে লক্ষণীয় যে, স্মার্টফোন ডিভাইসের ব্যবহারের প্রসার অনেকাংশে থমকে গেছে।

উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় ডেটা ব্যবহার বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। তবে এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে অতি সত্বর স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রসার বাড়াতে সরকার থেকে নীতি সহায়তা প্রয়োজন।

গুণগত মান নিশ্চিত করে সেবা দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে রাজীব শেঠি বলেন, গ্রাহকের অভিজ্ঞতা দিয়েই বলা যায়, আমাদের নেওয়া উদ্যোগের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, যার জন্য আমি গর্বিত। গত এক বছরে গড় ডেটা স্পিড শতভাগেরও বেশি বেড়েছে। সারাদেশে কভারেজ ও নেটওয়ার্কের সর্বত্র ধারাবাহিক স্পিড নিশ্চিত করার মাধ্যমে এ উন্নতি অর্জন করা হয়েছে। কল ড্রপের হার একইভাবে গত এক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। আমরা নিশ্চিত যে পরিষেবার গুণমান বৃদ্ধির উপর চলমান উদ্যোগ গ্রাহকের আস্থা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

;