সরকারের প্রতিটি সেক্টর ডিজিটালাইজেশন করা হবে
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি দূর করার জন্য ২০১৯ সালে বিভিন্ন সেক্টরকে ডিজিটাল করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৬০০টি সেক্টরের ডিজিটালাইজেশনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।
বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্মার্টফোন ট্যাব মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশে স্মার্টফোনের চাহিদা অনেক বেড়েছে কিন্তু গ্রে মার্কেটের কারণে এই স্মার্টফোনের চাহিদাটুকু দেখা যাচ্ছে না। তাই সরকার পরিকল্পনা নিয়েছে একটি আইএমইআই ডাটাবেজের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি স্মার্টফোনকে একটি ডাটাবেজের আওতায় এনে স্মার্টফোনের মার্কেটকে আরো সুসংহত করার।’
তিনি বলেন,‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কৃষি ভিত্তিক একটি দেশকে তথ্য প্রযুক্তির একটি দেশে পরিণত করার। এখন বলতে পারি, বাংলাদেশ স্মার্টফোন আমদানিকারক নয় বরং উৎপাদকের দেশে পরিণত হয়েছে।এই দেশ এক সময় মোবাইলের যন্ত্রাংশ উৎপাদন ও রফতানি করবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট ফর টেকনোলজি' (SHIFT) তৈরির মাধ্যমে দেশে ডিজিটাল বিপ্লবের শুরু হবে। যা এই দেশ এখন তরুণ প্রজন্মকে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলার পাশাপাশি এদেশে প্রত্যেকটি মানুষকে তথ্য প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ের কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপ বাংলাদেশের মারকেটিং ডিরেক্টর ঈগল সং, স্যামসাং মোবাইল বাংলাদেশ-এর জেনারেল ম্যানেজার বোমিন কিম, ট্রানশান বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও রেজওয়ানুল হক, ভিভো বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রজেক্ট ম্যানেজার অ্যাঙ্গাস, উই কম্পানির চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারুক আহমেদ, স্মার্ট টেকনোলজিস বিডি লিমিটেডের ডিরেক্টর সাকিব আরাফাত ও এক্সপ্লোরের কৌশলগত পরিকল্পনাকারী মাহমুদ খান।