আবারও কল ড্রপের শীর্ষে গ্রামীণফোন
মোবাইল ফোনে কল ড্রপের তালিকায় আবারও শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে গ্রামীণফোনের নাম। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) হিসেব থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, গেল বছরের ৬ নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর ৬ পর্যন্ত সময়কালে গ্রামীণফোনে সর্বোচ্চ ৩.৩৮ শতাংশ কল ড্রপ হয়েছে।
এর আগেও গ্রামীণফোন কল ড্রপের ক্যাটাগরিতে শীর্ষে ছিল। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, কল ড্রপ দুই শতাংশের বেশি হতে পারবে না। মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করতে বিটিআরসি গত বছরের শেষে ‘কোয়ালিটি অব সার্ভিসেস’ নীতিমালার আওতায় ড্রাইভ টেস্ট করে।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত ফলাফল প্রকাশ করে বিটিআরসি। এতে দেখা যায়, একটি মোবাইল ফোন থেকে আরেকটি মোবাইল ফোনে সংযুক্ত হতে গ্রামীণফোন সবার চেয়ে বেশি ১০.১৪ সেকেন্ড সময় নিয়েছে। এখানেও বিটিআরসি’র সর্বোচ্চ ৭ সেকেন্ড সময় বেঁধে দিয়েছে।
কিন্তু গ্রামীণফোন সেই সীমা লঙ্ঘন করেছে। এদিকে দ্বিতীয় বৃহৎ মোবাইল ফোন অপারেটর রবির কল ড্রপ ১.৩৫ শতাংশ, বাংলালিংকের .৫৮ শতাংশ ও টেলিটকের ১.৫৮ শতাংশ। আর কল সংযুক্ত হতে রবি সময় নিয়েছে ৬.১৫ সেকেন্ড, বাংলালিংক ৭.৬৯ সেকেন্ড এবং টেলিটক ৭.১১ সেকেন্ড।
এর আগে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর হতে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপারেটরদের কল ড্রপের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছিল বিটিআরসি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রামীণফোনের এক মিনিটের বেশি কল ড্রপ হয়েছে ২৭ কোটি ৭৭ লাখ। গ্রামীণফোন গ্রাহকের ১৭.৪৭ কোটি মিনিটই ফেরত দেয়নি। আর ফেরত দিয়েছে মাত্র ১০ কোটি ৩০ লাখ মিনিট।
অন্য অপারেটর রবির কল ড্রপ ছিল ২৪ কোটি ৪৭ লাখ। তারা ফেরত দেয়নি ১৭.৬৫ কোটি মিনিট। আর ফেরত দিয়েছে মাত্র ৬ কোটি ৮২ লাখ মিনিট। ‘কোয়ালিটি অব সার্ভিসেস’ নীতিমালার আওতায় মোবাইলে কথা বলায় সময় কল ড্রপের হার সর্বোচ্চ দুই শতাংশের মধ্যে রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া একটি ওয়েবসাইট ডাউনলোড হতে হবে ৭ সেকেন্ডের মধ্যে। এই নির্দেশনাটি মোবাইল ফোন অপারেটর এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। কেউ এর নিয়মের ব্যত্যয় ঘটালে সুনির্দিষ্ট অপারেটরকে জরিমানা করা হবে।
বিটিসিএলের (ল্যান্ডফোন) মতো সেবা দাতা প্রতিষ্ঠানসমূহ, ওয়াইম্যাক্স ও আইএসপিকেও সার্ভিস কোয়ালিটি নীতিমালা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। মোবাইল ফোনের দুর্বল নেটওয়ার্ক কাভারেজ, নেটওয়ার্ক সমস্যা, ভয়েস কলের নিম্নমান এবং গ্রাহক সেবার অসন্তুষ্টি দূর করতেই এ নীতিমালা করা হয়েছে।