অপরাধী শনাক্তে ওয়াচক্যাম আনলো বাংলাদেশি সিগমাইন্ড
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) কাজে লাগিয়ে অত্যাধুনিক একটি ওয়াচক্যাম তৈরি করেছে দেশীয় স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান সিগমাইন্ড।
বর্তমানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে প্রতিষ্ঠানটি সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তাদের তৈরি ওয়াচক্যামটি মুলত ফুটেজ অ্যানালাইসিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে কাজ করে। সফটওয়্যারটিতে প্রাপ্ত গাড়ির নম্বরপ্লেট অথবা মুখমন্ডলের ছবি প্রবেশ করালে ছবিগুলোর হাই রেজুলুশন ইমেজ তৈরি হবে। এরপর সফটওয়্যারটির আওতায় সংযুক্ত প্রতিটি ক্যামেরা বিশ্লেষণ করে নির্দিষ্ট গাড়িটির নম্বরপ্লেট অথবা ব্যক্তিটিকে খোঁজা যাবে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ তাদের বিভিন্ন কেপিআই (KPI) ভবনের নিরাপত্তায় এই সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে। এছাড়াও, মহারাষ্ট্রের একটি হাইওয়ে রোডে চলাচলকৃত যানবাহনের নম্বর প্লেট ডিটেকশন, লেন ভায়লেশন সনাক্তকরণসহ ট্রাফিক সিস্টেম মনিটরিংয়ের কাজ করছে সিগমাইন্ডের ওয়াচক্যাম।
প্রায় দুই বছর গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় সার্ভিলেন্স সফটওয়্যারের বেটা প্রোটোটাইপ তৈরি করতে সমর্থ হন।
সিগমাইন্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবু আনাস শুভম মনে করেন, যদি মানুষকে মুখমণ্ডল দিয়ে এবং যানবাহনকে নম্বরপ্লেট দিয়ে সয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করা যায়, তাহলে ৯০ শতাংশ অপরাধ সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এছাড়া আমাদের এই প্রযুক্তি রাস্তায় বসানো শত শত ক্যামেরার সঙ্গে সংযুক্ত করে দিলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর মনিটরিং সেলের লোকবল অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব।
সিগমাইন্ডের প্রধান বিপণন ও বাজারজাতকরণ কর্মকর্তা আরিফ হুসাইন জানান, সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় নিরাপত্তা সর্বোচ্চ করার জন্য ওয়াচক্যাম জোরালো ভুমিকা পালন করবে