কেন ইউটিউব ক্রাইস্টচার্চ হামলার ফুটেজ সরাতে পারছিলো না
সরাসরি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে গতকাল হামলা চালায় নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলাকারী ট্যারান্ট । এই ঘটনার ফুটেজ ইউটিউবে প্রচার হবার পর থেকে এর মডারেটররা সাথে সাথে এই ফুটেজ সরানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু ইউটিউব কেন নিজ থেকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে সরাতে ব্যর্থ হচ্ছিলো ইউটিউব?
দ্যা ভার্জকে ইউটিউব জানায় মূলত একই ধরনের ভিডিও রিআপলোড করা হলে ইউটিউব তা স্বয়ংক্রিয় ভাবে সরিয়ে দেয় কিন্তু যে সকল ফুটেজে খবর সংক্রান্ত বিষয় থাকে তা হিউম্যান মডারেটর এর কাছে পাঠানো হয়। ফলে তা সরাতে সময় লাগছিলো।
ইউটিউবের এর সেফটি টিম এর এক সদস্য জানায়, মুলত ইউটিউব একই কন্টেন্ট
দুই আইডি থেকে আপলোড করা হলো কিনা তা কপিরাইট নামক একটি টুলস দিয়ে পর্যালোচনা করে সরিয়ে দেয়া হয়। এক্ষেত্রে একই ধরনের মেটাডাটা ও ইমেজ প্রসেসিং ডাটা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই ধরনের ব্রেকিং নিউজ সংক্রান্ত পোস্ট গুলো ইউটিউব সরায়না। কেননা এই ধরনের ফুটেজ গুলো প্রমাণাদি ও খবরের কাজে ব্যবহার করা হয়। তাই খবরের নিরপেক্ষতার স্বার্থে এগুলো সরানো হয়না।
ভিডিও কন্টেন্ট পর্যালোচনাকারী প্রতিষ্ঠান পেক্স এর প্রধান নির্বাহী রাস্টি টুরেক জানান, ইউটিউবের টুলস গুলো মুলত বানানো হয়েছে কপিরাইট কে নিশ্চিত করতে, যখন কেউ এই প্লাটফর্মে কোন ভিডিও আপলোড করে তখন এর টুলসগুলো শুধুমাত্র ভিডিওটি আপলোড কারীর নিজস্ব কিনা তাই নিশ্চিত করা হয়, এই ধরনের জরুরি নিরাপত্তা বিঘ্নকারী ঘটনার ভিডিও মোকাবেলার সামর্থ্য এসব টুলসের নেই ।
ইউটিউবের সাথে স্বর মিলিয়ে টুরেক জানান, ইউটিউবের সবচেয়ে সংবেদনশীল জায়গা হচ্ছে লাইভ, কেননা সরাসরি প্রচারের প্রযুক্তিতো আমরা দিয়েছি কিন্তু এর নিয়ন্ত্রণ করার মত প্রযুক্তি এখন আবিস্কার করা সম্ভব হয়নি। তাই এটি আমাদের যেমন স্বাচ্ছন্দ্যতা দিয়েছে তেমনি ভাববার সময় এসেছে এটি আমাদের জন্য কতটা ক্ষতিকর হয়ে দাড়াতে পারে।