তিন দিনব্যাপী বেসিস সফটএক্সপোর উদ্বোধন

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

উদ্বোধন হলো তিন দিনব্যাপী ১৫তম বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে সফটএক্সপো ২০১৯-এর উদ্বোধন করেন।

বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব। অনুষ্ঠানে বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯ সম্পর্কে সূচনা বক্তব্য রাখেন বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯ এর আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি ফারহানা এ. রহমান। প্রদর্শনীর এবারের স্লোগান টেকনোলজি ফর প্রসপারিটি।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মেলার নতুন সংযোজন উপলক্ষে নির্মিত মোবাইল অ্যাপস বেসিস এক্সপোর প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অ্যাপস, ড্রোনের মতো প্রযুক্তি পণ্য ব্যবহার করে আমরাও বিশ্বমানের মেলা আয়োজনে সক্ষম হচ্ছি। দেশে তথ্যপ্রযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়নে বর্তমান অবস্থান বর্ণনা করে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি এবং দেশের ৯৫ শতাংশ ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সরকার তথ্য প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে আন্তরিক। অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়াও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ইনফো থ্রিসহ  সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি এবং প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যার মাধ্যমে ৬ লক্ষ তরুণ তরুণীকে দক্ষ করে তোলা হবে। এরা সহ দেশের বর্তমানে ১০ লক্ষ তরুণ-তরুণী তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে কাজ করছে। যা ২০২১ সালের মধ্যে ২০ লাখে পৌঁছাবে।

দেশের সফটওয়্যার খাতের উন্নয়নে সরকারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রধান অতিথি বলেন, আমরা সরকারি কাজে দেশীয় সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের তৈরি সফটওয়্যার দেশীয় সকল প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করতে বলবো। প্রয়োজনে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ করবে। এছাড়াও দেশীয় সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থা বাড়াতে এবং এর ব্যবহার করতে দেশীয় টেলিকম খাত ও ব্যাংকিং খাতকে অনুরোধ করেন।

বিজ্ঞাপন

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবারের আয়োজনটি বেশ বড় এবং চমকপ্রদ। নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শনে এই আয়োজন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এমন একটি আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত।

বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, এবারের বেসিস সফটএক্সপো সফটওয়্যার এবং আইটি এস সেবা প্রদর্শন এবং অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যার দিক হতে এই আয়োজন শুধু বাংলাদেশে নয় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় আয়োজন। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসমূহের এই আগ্রহ এবং অংশগ্রহণ এটা প্রমাণ করে যে, এই শিল্প খাতের অবস্থান আশাব্যঞ্জক এবং সম্ভাবনাময়।

বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯ এর আহ্বায়ক ফারহানা এ রহমান তাঁর বক্তব্যে বেসিস সফটএক্সপোর সামগ্রিক আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, এবার ১০টি পৃথক জোনে ২৫০টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। থাকছে ৩০টির মতো সেমিনার,বিজনেস লিডারশিপ মিট, আইটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প, গেমিং ফেস্ট ইত্যাদি। এছাড়াও জাপানের সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণে ১০টি জাপানী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিটুবি এবং ৩টি সেমিনার ছাড়াও এক্সপোর ২য় দিনকে জাপান দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সুইডেন ও নেদারল্যান্ডের সঙ্গে বিটুবি ম্যাচমেকিং সেশন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বেসিস সফটএক্সপো আয়োজনে সহযোগী সকল প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান।

বেসিস আয়োজিত ১৫তম বেসিস সফটএক্সপোতে পার্টনার হিসেবে থাকছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। 

প্রদর্শনী এলাকাকে ১০টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এছাড়াও নতুন সংযোজন ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ জোন এবং এক্সপেরিয়েন্স জোন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরবে। রয়েছে উইমেন জোন, ভ্যাট জোন, ডিজিটাল এডুকেশন জোন, ফিনটেক জোন এবং বরাবরের মতো রয়েছে সফটওয়্যার সেবা প্রদর্শনী জোন, উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন, ডিজিটাল কমার্স জোন, আইটিইএস ও বিপিও জোন। থাকবে ৩০টিরও বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার, যেখানে বক্তব্য রাখবেন শতাধিক দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।

দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য থাকছে বি-টু-বি ম্যাচমেকিং সেশন, যার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসার প্রসার খুব সহজেই করতে পারবেন। আয়োজন করা হবে কর্পোরেট আওয়ার, জাপান ডে। লিডারশিপ মিটে অংশ নেবেন পাঁচ শতাধিক কর্পোরেট হাই অফিশিয়াল। যেখানে অংশ নেবেন পাঁচ শতাধিক কর্পোরেট হাই অফিশিয়াল। শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প ও বরাবরের মতো গেমিং ফেস্ট।