তিন দিনব্যাপী বেসিস সফটএক্সপোর উদ্বোধন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উদ্বোধন হলো তিন দিনব্যাপী ১৫তম বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে সফটএক্সপো ২০১৯-এর উদ্বোধন করেন।

বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব। অনুষ্ঠানে বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯ সম্পর্কে সূচনা বক্তব্য রাখেন বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯ এর আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি ফারহানা এ. রহমান। প্রদর্শনীর এবারের স্লোগান টেকনোলজি ফর প্রসপারিটি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মেলার নতুন সংযোজন উপলক্ষে নির্মিত মোবাইল অ্যাপস বেসিস এক্সপোর প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অ্যাপস, ড্রোনের মতো প্রযুক্তি পণ্য ব্যবহার করে আমরাও বিশ্বমানের মেলা আয়োজনে সক্ষম হচ্ছি। দেশে তথ্যপ্রযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়নে বর্তমান অবস্থান বর্ণনা করে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি এবং দেশের ৯৫ শতাংশ ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সরকার তথ্য প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে আন্তরিক। অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়াও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ইনফো থ্রিসহ  সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি এবং প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যার মাধ্যমে ৬ লক্ষ তরুণ তরুণীকে দক্ষ করে তোলা হবে। এরা সহ দেশের বর্তমানে ১০ লক্ষ তরুণ-তরুণী তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে কাজ করছে। যা ২০২১ সালের মধ্যে ২০ লাখে পৌঁছাবে।

দেশের সফটওয়্যার খাতের উন্নয়নে সরকারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রধান অতিথি বলেন, আমরা সরকারি কাজে দেশীয় সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের তৈরি সফটওয়্যার দেশীয় সকল প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করতে বলবো। প্রয়োজনে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ করবে। এছাড়াও দেশীয় সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থা বাড়াতে এবং এর ব্যবহার করতে দেশীয় টেলিকম খাত ও ব্যাংকিং খাতকে অনুরোধ করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবারের আয়োজনটি বেশ বড় এবং চমকপ্রদ। নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শনে এই আয়োজন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এমন একটি আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত।

বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, এবারের বেসিস সফটএক্সপো সফটওয়্যার এবং আইটি এস সেবা প্রদর্শন এবং অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যার দিক হতে এই আয়োজন শুধু বাংলাদেশে নয় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় আয়োজন। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসমূহের এই আগ্রহ এবং অংশগ্রহণ এটা প্রমাণ করে যে, এই শিল্প খাতের অবস্থান আশাব্যঞ্জক এবং সম্ভাবনাময়।

বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯ এর আহ্বায়ক ফারহানা এ রহমান তাঁর বক্তব্যে বেসিস সফটএক্সপোর সামগ্রিক আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, এবার ১০টি পৃথক জোনে ২৫০টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। থাকছে ৩০টির মতো সেমিনার,বিজনেস লিডারশিপ মিট, আইটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প, গেমিং ফেস্ট ইত্যাদি। এছাড়াও জাপানের সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণে ১০টি জাপানী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিটুবি এবং ৩টি সেমিনার ছাড়াও এক্সপোর ২য় দিনকে জাপান দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সুইডেন ও নেদারল্যান্ডের সঙ্গে বিটুবি ম্যাচমেকিং সেশন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বেসিস সফটএক্সপো আয়োজনে সহযোগী সকল প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান।

বেসিস আয়োজিত ১৫তম বেসিস সফটএক্সপোতে পার্টনার হিসেবে থাকছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। 

প্রদর্শনী এলাকাকে ১০টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এছাড়াও নতুন সংযোজন ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ জোন এবং এক্সপেরিয়েন্স জোন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরবে। রয়েছে উইমেন জোন, ভ্যাট জোন, ডিজিটাল এডুকেশন জোন, ফিনটেক জোন এবং বরাবরের মতো রয়েছে সফটওয়্যার সেবা প্রদর্শনী জোন, উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন, ডিজিটাল কমার্স জোন, আইটিইএস ও বিপিও জোন। থাকবে ৩০টিরও বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার, যেখানে বক্তব্য রাখবেন শতাধিক দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।

দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য থাকছে বি-টু-বি ম্যাচমেকিং সেশন, যার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসার প্রসার খুব সহজেই করতে পারবেন। আয়োজন করা হবে কর্পোরেট আওয়ার, জাপান ডে। লিডারশিপ মিটে অংশ নেবেন পাঁচ শতাধিক কর্পোরেট হাই অফিশিয়াল। যেখানে অংশ নেবেন পাঁচ শতাধিক কর্পোরেট হাই অফিশিয়াল। শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প ও বরাবরের মতো গেমিং ফেস্ট। 

   

থ্রি-জি সেবা বন্ধ করলো বাংলালিংক, বন্ধ করছে অন্যরাও



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক তাদের থ্রি-জি সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। দেশের প্রথম মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর হিসেবে বাংলালিংক গত ৫ মে দেশব্যাপী থ্রি-জি সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে।

২০১৩ সালে দেশে সবগুলো অপারেটর থ্রি-জি সেবা চালু করেছিল।

এদিকে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডও থ্রি-জি সেবা পর্যায়ক্রমে বন্ধ করছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ এবং নাটোর থেকে তারা এই কার্যক্রম শুরু করে।

থ্রি-জি ডিভাইসের সংখ্যা হ্রাস এবং ফোরজি ডিভাইসের সংখ্যা বাড়ার কারণে বর্তমানে টুজি ও থ্রিজি নেটওয়ার্কে চাপ কমছে।

বাংলালিংক বলছে, থ্রি-জি বন্ধের ফলে অপারেটরটি ফোর-জি নেটওয়ার্কের আরও বেশি তরঙ্গসহ অন্যান্য রিসোর্স বরাদ্দ করতে পারবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অস বলেন, ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে আমাদের লক্ষ্য হল গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ ও উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করা। ফোর-জি-এর জন্য বরাদ্দকৃত তরঙ্গসহ অন্যান্য রিসোর্স আরও বাড়িয়ে, আমরা গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবো। এই সফল রূপান্তরের পথপ্রদর্শক হিসেবে, আমরা আমাদের গ্রাহকদের ফোর-জি অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে উচ্চগতি সম্পন্ন ও আধুনিক অবকাঠামো এবং সর্বোপরি অত্যাধুনিক ডিজিটাল সেবাগুলোর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে 'স্মার্ট বাংলাদেশ'-এর দিকে বাংলালিংক-এর একনিষ্ঠ যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে সচেষ্ট আছি।

;

ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা নিয়ে এলো ভিভো ভি৩০ লাইট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে এলো গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভোর নতুন স্মার্টফোন ভিভো ভি৩০ লাইট। রবিবার (৫ মে) রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভিভো ভি৩০ লাইটকে পরিচয় করিয়ে দেন জনপ্রিয় তারকা ও ভিভোর শুভেচ্ছাদূত তাহসান খান।

প্রিমিয়াম ডিজাইনের ভিভো ভি৩০ লাইটে যুক্ত হয়েছে কালার চেঞ্জিং গ্লাস ডিজাইন। সূর্যের আলোতে মুহূর্তেই বদলে যাবে ব্যাক সাইডের কালার। দেবে এক অভিনব লুক।

ভিভো ভি৩০ লাইটকে আরো প্রিমিয়াম করেছে এর ম্যাটালিক হাই গ্লোস ফ্রেম। ব্রিজ গ্রিন আর ক্রিস্টাল ব্ল্যাক কালারে পাওয়া যাবে ভিভো ভি৩০ লাইট।

ভিভোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লাইফকে আরো লাইট আপ করতে ভিভো ভি৩০ লাইটে থাকছে ৮০ ওয়াটের ফ্ল্যাশ চার্জার। যা মাত্র ৪৩ মিনিটে এর ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটরি ১০০ শতাংশ চার্জ করতে পারবে। যা সময় বাঁচানোর পাশাপাশি দেবে স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা।

একবার চার্জে এই স্মার্টফোনে কথা বলা যাবে টানা ২৯ ঘন্টা। টানা ৮ ঘন্টা গেম উপভোগ করা যাবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টানা ১৬ ঘন্টা ভিডিও চলবে।
ভিভো ভি৩০ লাইটে থাকছে সুপার চার্জ পাম্প। এটি যেমন ব্যাটারি দ্রুত চার্জ করবে, তেমনি সবচেয়ে কম তাপ উৎপন্ন করে স্মার্টফোনের ব্যাটারিকে সুরক্ষিত রাখবে। ফলে চার্জের সময়ে, মাল্টিটাস্কিং বা প্রচন্ড রোদের তাপেও ভিভো ভি৩০ লাইট থাকছে ঠান্ডা।

এ ছাড়াও ব্যবহারের ৪ বছরের মধ্যে যদি এর ব্যাটারি ৮০% এর বেশি ড্যামেজ হয় তবে ভিভো দেবে ফ্রি ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা।

৭.৭৯ মিলিমিটার সুপারস্লিম ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনের ওজন মাত্র ১৮৬ গ্রাম। ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৬.৬৭ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লের ফোনটিতে ১৮০০ নিট পিক ব্রাইটনেস পাওয়া যাবে। থাকছে অত্যাধুনিক ৬৮৫ কোয়ালকম স্নাপড্রাগন প্রসেসর এবং মাল্টি টাস্কিং এর জন্য থাকছে ফানটাচ ওস ১৪ অপারেটিং সিস্টেম।

একইসঙ্গে ২৫ টা অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য ৮ জিবি র‍্যামের সঙ্গে থাকছে ৮ জিবি র‍্যাম বাড়ানোর সুবিধা। পাশাপাশি ২৫৬ জিবি রমের বিশাল স্টোরেজে দৈনন্দিন কাজকে করবে আরো স্মুথ।

স্মার্টফোনটিতে থাকছে ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার যা ৩০০% পর্যন্ত ভলিউম বাড়ানো যাবে। তাই গান, ভিডিও বা গেমে সাউন্ড কোয়ালিটি হবে স্মুথ এবং হাই। সঙ্গে ব্যাক সাইডে থাকছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ ক্যামেরা। সঙ্গে আরো থাকছে ফ্লিকার সেন্সর। যা কম আলোতে দারুণ ছবির নিশ্চয়তা দিবে ব্যবহারকারীকে। ফ্রন্ট সাইডে থাকছে ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।

ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনটির দাম ৩২,৯৯৯ টাকা। ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত চলবে প্রি-বুকিং। প্রি-বুকিং করলেই পাওয়া যাবে এক্সক্লুসিভ গিফট বক্স। গিফট বক্সে উপহার হিসেবে থাকছে টিডাব্লিউএস ওয়ারলেস ইয়ারফোন এল১৩ এবং ৪ বছরের ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট কার্ড।

সাথে যারা প্রি-বুকিং করবে তাদের জন্য আরো থাকছে ১৮০ দিনের ডিসপ্লে রিপ্লেসমেন্ট অফার। যদি ১৮০ দিনের মধ্যে স্মার্টফোনটির ডিসপ্লে ভেঙে যায় তাহলে সম্পূর্ণ ফ্রিতে এটি ঠিক করে দেবে ভিভো। এই অফারটি পেতে সাধারণত ৯৯৯ টাকা এবং ডিসপ্লে বাবদ প্রায় ৮০০০ টাকা খরচ করতে হলেও ভিভো এটি দিচ্ছে একদম ফ্রি।

;

নির্বাচনের আগেই আক্রমণের শিকার সাবেক বেসিস সভাপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন এরই মধ্যে জমে উঠেছে। ১১টি পরিচালক পদের বিপরীতে তিন প্যানেলের ৩৩ জন পার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। আর এই তিন প্যানেলের মধ্যে একটি প্যানেলকে সমর্থন দিয়ে বিপাকে পড়েছেন খোদ বেসিসের সাবেক সভাপতি মাহবুব জামান।

সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলগুলোর প্রার্থীদের আক্রমণের শিকার হয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও বেসিস মেম্বার্স প্ল্যাটফর্ম নামে ফেসবুকের ক্লোজড গ্রুপে তার মতামত তুলে ধরায় গ্রুপটি থেকেই তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আসন্ন ভোটেও এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ৪ মে বেসিস মেম্বার্স প্ল্যাটফর্ম গ্রুপে সংগঠনের ২০১০-১২ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মাহবুব জামানের সঙ্গে এমন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে।

পরিস্থিতি সামল দিতে এখন বেসিসের বর্তমান কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য পরিচালকদেরকে দুঃখ প্রকাশ করে এর সমালোচনা করতে হচ্ছে। কিন্তু ভোটাররা বলছেন, যাদের চক্রান্তে মাহবুব জামানকে অপমান করা হয়েছে, তারাই এখন রূপ পাল্টেছে।

দেশের তথ্য প্রযুক্তিখাতে উদ্যোক্তাদের জন্য অবদান রাখা মাহবুব জামান সেদিন বেসিস মেম্বার্স প্ল্যাটফর্ম গ্রুপে লেখেন-‘গত কয়েক দিনে আমি অনেক টেলিফোন পাচ্ছি, যেখানে সবাই জানতে চান আমি কেন একটি পক্ষ নিলাম।’ তার লেখায় সুস্পস্ট হয়ে ওঠে, প্রতিদ্বন্দ্বী সব পক্ষের সঙ্গে তার গভীর পরিচয় ও ঘনিষ্টতা রয়েছে। তবে অত্যন্ত প্রিয়জন এবং কয়েকজন আবার স্নেহভাজন আছেন। এমন কি তিনি এটাও বলেন যে, টিম স্মার্ট তার কাছে আসেনি, বরং তিনিই টিম স্মার্টের কাছে গিয়েছেন।

এর কয়েকটা কারণ ব্যাখ্যা করেন মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক এই ছাত্রনেতা। প্রথম কারণ হিসেবে তিনি বলেন, টিম স্মার্টের অধিকাংশই বয়সে তরুণ-যেটা অনেকে মনে করেন তাদের দূর্বলতা। তবে সাবেক বেসিস নেতা মনে করেন, তার বিবেচনায় এটাই টিম স্মার্টের বড় শক্তির জায়গা।

'এই প্যানেলের সবাই ইন্ড্রাস্ট্রির প্রতিদিনের কাজের সাথে যুক্ত আছে। ফলে সমস্যাগুলোকে এরা ভালো বোঝে'- এটাকে দ্বিতীয় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

মাহবুব জামান বলেন, এই প্যানেলটির সবাই কাটিং এজ টেকনোলজির প্রতিটি ফিল্ডে কাজ করছে। এআই, আইওটি, ডেটা অ্যানালিসিস, রোবটিক্স এমন নানান উন্নততর প্রযুক্তি এদের কাজের ক্ষেত্র।

এমন পোস্ট দেওয়ার পরে বেসিস মেম্বার্স প্ল্যাটফর্ম গ্রুপের অ্যাডমিন বেসিসের এই সিনিয়র নেতাকে গ্রুপ থেকে রিমুভ করে দেন। এমনকি তার পোস্টও রিমুভ করে দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে বেসিস মেম্বার্স প্ল্যাটফর্ম গ্রুপে নানান মতামত আসতে থাকে। পরে বেসিসের বর্তমান কমিটির কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশও করেন।

সচেতন ভোটারা বলছেন, মাহবুব জামানকে অপমান করার বিষয়টি ইচ্ছাকৃত। এখন দুঃখ প্রকাশ আসলে লোক দেখানো মায়া কান্না ছাড়া আর কিছুই নয়।

সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার জন্যে দুঃখ প্রকাশ করে রবিবার (৫ মে) মাহবুব জামানকে ফোনও করেছিল বেসিসের সেক্রেটারিয়েট। টিম স্মার্টকে সমর্থন দেয়ার কারনে আক্রমণের শিকার হওয়ায় এই বিষয়ে মাহবুব জামান আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

প্রসঙ্গত, আগামী ৮ মে বেসিস নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে এবার তিনটি প্যানেল অংশ নিয়েছে। ১১টি পরিচালক পদের বিপরীতে তিন প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৩৩ জন প্রার্থী।

রাজধানীর গুলশান শুটিং ক্লাবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে এবার মোট ভোটার ১৪৬৪ জন। এর মধ্যে সাধারণ ক্যাটাগরিতে ভোটার ৯৩২, অ্যাসোসিয়েট ক্যাটাগরিতে ভোটার ৩৮৯, অ্যাফিলিয়েট ক্যাটাগরিতে ভোটার ১৩৪ ও আন্তর্জাতিক ক্যাটাগরিতে ভোটার ৯ জন।

;

গ্রামীণফোনের সর্বনিম্ন রিচার্জের মেয়াদ ৩৫ দিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাহকদের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণ, আরও মানসম্মত সেবা প্রদান এবং তাদের জীবনকে আরও সহজ করে তুলতে সর্বনিম্ন ২০ টাকা রিচার্জের মেয়াদ ৩৫ দিন করল গ্রাহককেন্দ্রিক সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দেশের শীর্ষ অপারেটর গ্রামীণফোন।

গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখে অন্যান্য মূল্যের রিচার্জের ক্ষেত্রেও মেয়াদ বাড়িয়েছে অপারেটরটি। ৩০-৪৯ টাকা রিচার্জের ক্ষেত্রে মেয়াদ বর্তমানে ৩৫ দিন, যা আগে ছিল ১৫ দিন। ৫০-১৪৯ টাকা রিচার্জের মেয়াদ ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৪৫ দিন এবং ১৫০-২৯৯ টাকা রিচার্জের মেয়াদ ৪৫ দিন থেকে বাড়িয়ে ৬৫ দিন করা হয়েছে। ২৯৯ টাকার বেশি যেকোনো রিচার্জের মেয়াদ হবে ৩৯৫ দিন।

সকল প্রিপেইড গ্রাহক ইলেকট্রনিক রিচার্জ সিস্টেম (ইআরএস), মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এবং অনলাইন রিচার্জের মাধ্যমে অফারগুলো উপভোগ করতে পারবেন। রিচার্জের মেয়াদকাল রিচার্জের দিন থেকে শুরু হবে।

গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, গ্রামীণফোনের সব কার্যক্রমের কেন্দ্রে থাকেন গ্রাহকরা। তাদের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণে প্রতিনিয়ত সহজ ও সুবিধাজনক অফার প্রদানের চেষ্টা করছে গ্রামীণফোন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রাহকরা যেন সংযুক্ত থাকতে পারেন এবং তাদের আজকের গতিময় বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার সক্ষমতা থাকে এজন্য বর্ধিত মেয়াদের নতুন অফারগুলো চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই নতুন অফারগুলো গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করতে এবং ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে যেখানে প্রত্যেকের জন্য সংযোগ হবে একটি মূল চালিকাশক্তি।

;