কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনকদেরকে সম্মাননা

  • টেক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের তিন জনক, ছবি: সংগৃহীত

আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের তিন জনক, ছবি: সংগৃহীত

আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সে (এআই) অসামান্য অবদান রাখার জন্য তিনজন গবেষকে 'টার্নিং অ্যাওয়ার্ড' সম্মাননা দেয়া হয়েছে। টার্নিং অ্যাওয়ার্ড প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নোবেল প্রাইজ অ্যাওয়ার্ডের সমান হিসেবে পরিচিত।

অ্যাওয়ার্ড পাওয়া তিনজন হলেন- জিওফ্রে হিন্টন, ইয়োশুয়া ব্যাঙ্গিয়া এবং ইয়ান লোকান। এই তিনজনকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের জনকও বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে যন্ত্রের সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে অভাবনীয় সমন্বয় সাধন হয়েছে তার পেছনে তিনজনের অবদান অসীম।

বিজ্ঞাপন

বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে তারা জানান, বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির এই বিপ্লবে আমরা কেবল প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। এটি সত্যিই আনন্দের যে প্রযুক্তি সংস্থাগুলো এআই প্রযুক্তির গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে।

১৯৯০ থেকে ২০০০ সালের সেই সময় প্রযুক্তি পায় এক নতুন গতি। আর এই তিনজনের যৌথ গবেষণায় উদ্ভাবিত হয়েছে এই এআই প্রযুক্তি। যা বর্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা।

বিজ্ঞাপন

বর্তমান যত স্মার্ট অ্যাপস বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন অ্যাপ্লিকেশন আমরা ব্যবহার করছি সেখানে তাদেরই অবদান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অভিনব ফিচার থেকে মানববিহীন গাড়ি চালানো এবং আমাদের প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হচ্ছে এআই প্রযুক্তি।

প্রফেসর হিন্টন টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয় এবং জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলে কাজ করছেন বহুদিন ধরে। ইয়োশুয়া ব্যাঙ্গিয়া মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন আর ফেসবুকের এআই পরিচালকের দায়িত্ব আছেন ইয়ান লোকান।

প্রযুক্তির উন্নয়নে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি সংস্থা থেকে এই সম্মাননা ঘোষণা করা হয়ে থাকে। 'ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব' এর প্রতিষ্ঠাতা স্যার টিম বার্নার্স-লি প্রযুক্তির উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য বিগত ২০১৭ সালে ‘টার্নিং অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছিলেন।

সূত্রঃ বিবিসি/ দ্যা ভার্জ