মর্যাদাপূর্ণ ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার পেলো বাংলাদেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক “ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার-২০১৯” এর ০১টি উইনার এবং ৮টি চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অবদান রাখায় এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার ( ৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় দ্যা ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্যা ইনফরমেশন সোসাইটি বা ডব্লিউএসআইএস এর অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে সংস্থাটির কো-চেয়ারম্যান, আইটিইউ এর মহাসচিব হাউলিন ঝাউ এর কাছ থেকে উইনার পুরস্কার গ্রহণ করেন এবারের ডব্লিউএসআইএস ফোরামের চেয়ারম্যান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলমসহ ডব্লিউএসআইএস-এ যোগদানকারী বাংলাদেশের অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার এবং ই- গভর্ন্যান্স ইন্টারঅপারেবিলিটি ফ্রেমওয়ার্ক’ প্রকল্প এই উইনার পুরস্কার পায়। ডব্লিউএসআইস অ্যাকশন লাইন ক্যাটাগরি- ৬ এর এনাব্লিং এনভায়রনমেন্ট ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কারটি প্রদান করা হয়।
এবার ডব্লিউএসআইএস পুরস্কারের জন্য সারা বিশ্ব হতে ১১৪০ টি আবেদন পড়ে। এতে প্রথম ধাপেই বাদ হয়ে যায় অনেক দেশ। বাছাইয়ে টেকে ১০৬২টি আবেদন। এরপর দ্বিতীয় বাছাই-মূল্যায়নে থাকে ৪৯২টি প্রকল্প। এবার সারা বিশ্বের ভোটাভুটির জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় প্রকল্পগুলো।
সেখানে ২০ লাখ ভোটে তালিকায় আসে ৯০ টি প্রকল্প। এরমধ্যে ৭২ টি প্রকল্প চ্যাম্পিয়ন হয়। যেখানে বাংলাদেশ পায় ৮টি। আর ১৮ টি প্রকল্প হয় উইনার, এর মধ্যে বাংলাদেশ পায় একটি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/10/1554883288903.jpg
চ্যাম্পিয়ন পুরস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে, ক্যাটাগরি ০২- ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচারে রয়েছে সরকারের ডেভেলপমেন্ট অব আইসিটি ইনফ্রা-নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট বা ইনফো সরকার প্রকল্প।
ক্যাটাগরি ৯- ই-লার্নিংয়ে রয়েছে সরকারের শিক্ষক বাতায়ন প্রকল্প।
ক্যাটাগরি ১২- ই-এনভায়রনমেন্টে রয়েছে ই-ক্লাইমেট জাস্টিস অ্যান্ড রিসাইলেন্স থ্রো কমিউনিটি রেডিও অ্যাট কোস্টাল এরিয়া অব দ্যা বে অফ বেঙ্গল বাংলাদেশ। এটি বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) এর প্রকল্প।
ক্যাটাগরিতে ১৩-ই-এগ্রিকালচারে রয়েছে ডিও ডেটা টু কন্ট্রোল লেট ব্লাইট ফাংজাই ডিজিস ইন পটেটো ইন বাংলাদেশ। এটি এমপাওয়ার সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি উদ্যোগ।
ক্যাটাগরিতে ১৫-এ রয়েছে আইটি ফর দ্যা ডিফারেন্টলি অ্যাবল প্রজেক্ট। এটি ব্রিজ ফাউন্ডেশনের।
ক্যাটাগরি-১৬ মিডিয়া বিভাগে পেয়েছে অ্যাওয়ারনেস অন ই রাইট টু ইনফরমেশন (ই-আরটিআই) থ্রো কমিউনিটি রেডিও। এটি বাংলাদেশ এনজিও নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) এর প্রকল্প।
ক্যাটাগরি-১৭ তে পেয়েছে এটুআই এর মোবাইল বেইজড এজ ভেরিফিকেশন বিফোর ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন টু স্টপ চাইল্ড ম্যারিজ।
আর উইনার পুরস্কার পাওয়া ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার এবং ই- গভর্ন্যান্স ইন্টারঅপারেবিলিটি ফ্রেমওয়ার্ক’ প্রকল্পও চ্যাম্পিয়ন পুরস্কারের তালিকায়ও রয়েছে।
ডব্লিউএসআইএস ফোরাম যৌথভাবে আয়োজন করে থাকে আইটিইউ, ইউনেস্কো, ইউএনডিপি এবং ইউএনসিটিএডি।
এই ফোরাম বিশ্বের সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তি-ভিত্তিক উন্নয়ন-কেন্দ্রিক কমিউনিটির সম্মিলন। এর মধ্যে দশম বর্ষপূর্তি উদযাপনের মধ্য দিয়ে এবারে এই ফোরাম হচ্ছে। তাই একে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলা হচ্ছে। ফোরামের এবারের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

   

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাকাল টেলিটকের নেটওয়ার্ক



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এমনিতেই রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের নেটওয়ার্ক কাভারেজ খুবই দুর্বল। এরপর গরমে লোডশেডিংয়ে টেলিটকের গ্রাহকেরা আরো বেশি নেটওয়ার্ক বিভ্রাটে পড়েছেন।

গরম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকাসহ সারাদেশে লোডশেডিং বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুৎ বিভ্রাট অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় টেলিটকের গ্রাহকদের নেটওয়ার্ক সমস্যায় চরম ভোগান্তিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টেলিটকের ৫ হাজার ৬শ ৬১টি বিটিএস (বেস ট্রান্সিভার স্টেশন) রয়েছে, যার মাধ্যমে তারা নেটওয়ার্ক কাভারেজ নিশ্চিত করে থাকে। টেলিটকের ৩ হাজার ৮শ ৫৬টি টাওয়ার ব্যাটারি সাপোর্ট রয়েছে। তবে টেলিটকের ৮শ ৩০টি টাওয়ারে এক মিনিটের ব্যাটারি সাপোর্ট দেওয়ার সক্ষমতা নেই।

এছাড়া টেলিটকের ৪০ শতাংশ টাওয়ার এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকলে নেটওয়ার্ক সচল রাখতে পারে না।

সাধারণত, একটি বিটিএসে ৪ থেকে ৮ ঘণ্টা ব্যাটারি সাপোর্ট থাকার কথা, যাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে টাওয়ারগুলোকে সচল রাখা যায়। টেলিটক ২০১৩ সালে ৩জি রোল আউটের সময় এসব টাওয়ারে ব্যাটারি সাপোর্ট বসিয়েছিল। যে হারে লোডশেডিং হচ্ছে, তাতে করে টেলিটকের টাওয়ারের একটি বড় অংশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে এবং গ্রাহকেরা কাভারেজ পেতে দুর্ভোগে পড়ছেন।

টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান এই দূরবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে, টেলিটকের ব্যাটারি সাপোর্ট খুবই স্বল্প। একবার যদি বিদ্যুৎ চলে যায়, তাহলে গ্রাহকেরা নেটওয়ার্ক পেতে দুর্ভোগে পড়ছেন।

তিনি বলেন, ‘টাওয়ারগুলোকে সচল রাখতে আমরা ৪৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছি, যা এখন পরিকল্পনা কমিশনে মূল্যায়নের অপেক্ষা করছে’।

এছাড়াও ৫জি প্রকল্পের জন্য ২ হাজার ২শ ৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এই প্রকল্প থেকে যদি কোনো অর্থ সাশ্রয় করা যায়, তা দিয়ে ব্যাটারি সাপোর্ট নিশ্চিতে কাজে লাগানো হবে। বর্তমানে টেলিটের গ্রাহক সংখ্যা ৬৫ লাখ। বিগত বছরে টেলিটক গ্রাহক বাড়ার পরিবর্তে উল্টো ২ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক হারিয়েছে।

সম্প্রতি, দায়িত্ব নিয়েই মন্ত্রণালয়ে বসে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক টেলিটকসহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সব প্রতিষ্ঠানকে ৩০ জুনের মধ্যে লাভে আনার নির্দেশনা দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সময়ের মধ্যে লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো লাভে না এলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টেলিযোগাযোগ বিভাগের কোনো কোম্পানি লোকসানে থাকতে পারবে না।

এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির দেনার পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে দুইবার শুধু লাভের মুখ দেখেছিল। সরকারের কাছেই দেনা আছে দুই হাজার কোটি টাকা।

বিটিআরসির কাছে পাওনা আছে, একই পরিমাণ অর্থ। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কাছে দেনা ৩শ ৮৯ কোটি টাকার বেশি। এর বাইরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও ঋণ প্রদানকারীদের কাছে ঋণের পরিমাণ ৩শ ৬০ কোটি টাকা। দেনার বিপরীতে টেলিটকের কাছে পাওনা ১শ ৪১ কোটি টাকা।

 

;

এবার পিক্সেল ৯ সিরিজে পাওয়া যাবে জরুরি স্যাটেলাইট সংযোগ!



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এখন গুগল পিক্সেল ৯ সিরিজে পাওয়া যাবে জরুরি স্যাটেলাইট সংযোগ। অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষ পিক্সেল ৯ সিরিজে আসা কিছু মডেম আপগ্রেড করেছে যা জরুরি স্যাটেলাইট সংযোগসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আপগ্রেড নিয়ে বাজারে আসছে। প্রতিবেদন- অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।

বেশিরভাগ ব্যবহারকারী মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে মডেমের প্রতি গুরুত্ব দেন না। তবে এটা কিন্তু সবচেয়ে জরুরি। কারণ ইন্টারনেট সংযোগে ব্যঘাত ঘটলে তা মোটেও কাজের ক্ষেত্রে সুফলদায়ক হয় না।

এদিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সংযোগের এই সমস্যাগুলো সিরিজের অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এবার এ পরিস্থিতির উন্নতি স্বরুপ আসন্ন পিক্সেল ৯ সিরিজ আরও ভাল কিছু নিয়ে আসছে বলে আশা অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষের।

পিক্সেল ৯ সিরিজে প্রথমেই যে বিষয়টি অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিয়েছে তা হল এর মডেম। ২০২১ সালে গুগল টেনসর চিপগুলোতে স্যুইচ করার পর থেকে মডেমগুলো পিক্সেলে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেহেতু চিপগুলো স্যামসাংয়ের এসএলএসআই বিভাগের সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছিল, তাই গুগল পূর্ববর্তী পিক্সেলগুলোর বিপরীতে বিকাশকে সহজ করার জন্য এক্সিনোস মডেম বেছে নিয়েছিল। যা কোয়ালকমের সমাধানে ব্যবহার কড়া হয়েছিল।

তবে দুর্ভাগ্যবশত, নতুন মডেমগুলোতে চলমান সফ্টওয়্যারটির স্থায়িত্ব খুবই কম ছিল, বিশেষ করে শুরুর দিকে। উদাহরণস্বরূপ, পিক্সেল ৬ ব্যবহারকারী একজন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেছেন, আমি এমন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি যেখানে মডেমটি ক্র্যাশ হওয়া এবং এমনকি অন্যান্য সাবসিস্টেমগুলো যেমন এটির সেন্সরগুলো অফলাইনে নিয়ে যাওয়ার মত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। তবে শুধু আমি একাই পিক্সেল ৬ সংযোগের সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হওয়ার ক্ষেত্রে একা ছিলাম না।

এছাড়াও পিক্সেল ৭ এবং ৮ ব্যবহারকারীরা মার্চ ২০২৪ আপডেটের পর থেকে এর ধরনের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী, প্রায় ৬০ শতাংশ উত্তরদাতারা এই সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

টেনসর জি ৪, পিক্সেল ৯ সিরিজে প্রথমবারের মতো একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন স্যামসাং মডেম ৫৪০০ আনছে অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষ। যদিও এটি কোয়ালকম মডেম নয়। তবে তারা আশা করছে এটি পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনায় দ্রুত এবং আরও শক্তিশালী হবে। এছাড়া এটির সফ্টওয়্যার স্ট্যাক আপগ্রেড করা হয়েছে, যা পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনার দীর্ঘস্থায়ী হবে। এর ৫ জি নন-টেরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্ক (এনটিএন), বা অন্য কথায় উপগ্রহ-ভিত্তিক যোগাযোগের সুবিধা নিয়ে আসছে।

ধারণা করা হচ্ছে পিক্সেল ৯ সিরিজই প্রথম অ্যান্ড্রয়েডের নেটিভ স্যাটেলাইট বাস্তবায়নকে সমর্থন করবে।

প্রাথমিকভাবে এই বৈশিষ্ট্যটি মোবাইল (স্পেসএক্সের সহযোগিতায় নির্মিত) দ্বারা সরবরাহ করা হবে এবং ভবিষ্যতে অন্যান্য সরবরাহকারীদের সাথে যুক্ত হবে। স্যাটেলাইট লিঙ্কটি দিয়ে টেক্সট করা গেলেও কল করা যাবে না। সহজভাবে বলতে গেলে, একটি বিশেষ স্যাটেলাইট গেটওয়ে অ্যাপ্লিকেশন 'জরুরি এসওএস' নামে একটি বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে জরুরি যোগাযোগের সুবিধা দেবে।

মডেমটি পিক্সেল ৯ সিরিজ এবং পরবর্তী প্রজন্মের পিক্সেল ফোল্ড সহ সমস্ত সেলুলার-সক্ষম টেনসর জি ৪ ডিভাইসে আসছে। অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির সূত্র অনুযায়ী, গুগল একই মডেমসহ একটি ৫ জি ট্যাবলেট, কোডনেম 'ক্লিমেন্টাইন' বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে ডিভাইসটি কখন বাজারে আসবে তা এখনো জানা যায়নি।

;

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট ট্যাক্সেশন ইকোসিস্টেম লাগবে: পলক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট ট্যাক্সেশন ইকোসিস্টেম লাগবে’

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট ট্যাক্সেশন ইকোসিস্টেম লাগবে’

  • Font increase
  • Font Decrease

টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, করখাত পুনর্গঠনের সাথে সাথে টেলিযোগাযোগ খাত কীভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখতে পারে সেই লক্ষে কাজ করতে হবে। রাজস্ব আদায়ের বড় খাত এখন টেলিযোগাযোগ। এই খাতের অবদানকে কীভাবে জিডিপি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সমন্বয় করা যায় তা চিন্তা করতে হবে।

মোবাইল অপারেটরেরা এখন আসলে ডিজিটাল অপারেটর। বিটিআরসিও যেন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা না হয় সেই দিকে খেয়াল করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কমিশনকে উদ্ভাবনী সংস্থা হিসেবে তৈরি হতে হবে। এনবিআরকেও স্মার্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। টেলিযোগাযোগ খাতকে স্মার্ট খাত হিসেবে তৈরি করতে হবে। স্মার্ট ট্যাক্সেশন ইকোসিস্টেম গড়তে কাজ করতে হবে।

রোববার (৭ এপ্রিল) সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ টেলিকম এন্ড টেকনোলজি রিপোটাস নেটওয়ার্ক (টিআরএনবি) ও অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) আয়োজিত রাউন্ড টেবিল বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী এসব একথা বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদী।

এসময় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, এমটবের প্রেসিডেন্ট ও গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, রবির চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম, গ্রামীণফোনের সিনিয়র ডিরেক্টর (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ) হোসেন সাহাদাত, বাংলালিংকের ভারপ্রাপ্ত সিইও তাইমুর রহমান, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবির, ফাইবার@হোমের সিটিও সুমন আহমেদ সাবির উপস্থিত ছিলেন।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমটের সেক্রেটারি জেনারেল লে: কর্নেল (অব) জুলফিকার আহমেদ। বক্তব্য রাখেন- টিআরএনবি'র সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষে পৌঁছতে হলে টেলিযোগাযোগ খাতের কর পুনর্বিবেচনা করাসহ সবকিছু সহজিকরণ করতে হবে। আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরে ভিন্ন পৃথিবী দেখবে মানুষ। বাংলাদেশও সেই ভিন্ন পৃথিবীর অংশ হবে।

বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ করনীতি পুনর্গঠন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এমটবের প্রেসিডেন্ট ও গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, শুধু ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি যেন বাদ দেওয়া হয়। স্মার্টফোনকে বাদ দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জন কঠিন হবে। তাই মোবাইল ফোনের পেনেট্রেশন বাড়ানোর ক্ষেত্রে ফোনের ওপর থেকে যৌক্তিক কর ধার্য করা উচিত। সবকিছুতে জটিলতার জায়গা থেকে সহজিকরণ কীভাবে করা যায় সেই চিন্তা করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কর যেন অনেক বড় বোঝা না হয়।

রবির চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম বলেন, করের ক্ষেত্রে শুরুতেই এন্ট্রি ব্যারিয়ার থাকে। যেমন সিম ট্যাক্স শুরুতে ১২০০ টাকা ছিল, যা এখন ১০০ টাকা। অথচ এন্ট্রি ব্যারিয়ার তৈরি না করলে বরং পরবর্তীতে এখান থেকে আরো বেশি কর আদায় সম্ভব। টেলিযোগাযোগ খাতকে স্পেশাল খাত হিসেবে গণ্য করা হলেও স্পেশাল মর্যাদা দেওয়া হয় না। তরঙ্গের ওপর কর বিশ্বের কোথাও নেই। আমাদের এখানে তরঙ্গকে অবকাঠামো হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

গ্রামীণফোনের সিনিয়র ডিরেক্টর (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স) হোসেন সাহাদাত বলেন, এবারের বাজেটে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাবো। স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে সম্মিলিতভাবে যাতে এগিয়ে যেতে হবে। কর্পোরেট ট্যাক্সটাকে রেশনালাইজ করা উচিত।

বাংলালিংকের ভারপ্রাপ্ত সিইও তাইমুর রহমান বলেন, স্মার্ট ট্যাক্সেশন তৈরি করতে হবে। ট্যাক্স নেট কীভাবে বাড়াবো সেই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবির বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত চেঞ্জ মেকার। সিগারেট কোম্পানি ও টেলিকম খাতের কর কেন একই হারে হবে। কারণ সিগারেট কোম্পানি স্বাস্থ্যখাতের ব্যয় বাড়াবে। প্রযুক্তি কোনো আলাদা খাত নয়। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। অমীমাংসিত ইস্যুগুলো যদি সমাধান না হয় তাহলে খাত এগোবে না।

ফাইবার@হোমের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার (সিটিও) সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে যাচ্ছি। যে-সব দেশে কর কম সেদেশে জিডিপি তত বেশি। প্রতিটি লেয়ারে আমরা ভ্যাট দিচ্ছি। কর এমনভাবে আরোপ করা হোক যাতে এটি বোঝা না হয়।

লে: কনেল (অব) জুলফিকার আহমেদ বলেন, ডিজিটাল কানেক্টিভিটির পর এবার ডিজিটাল ইকোনমিতে সফলতা চাই। তবে এক্ষেত্রে অনেক ধরনের বাধা রয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ খাতে ৮ম সর্বোচ্চ মোবাইল মার্কেট। ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রায় প্রতি বছর ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হচ্ছে। অথচ এই খাতে যৌক্তিক কর আদায় হচ্ছে না। বিশ্বের বহু দেশের চেয়ে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতে কর বেশি।

;

রিয়েলমি সি৬৭ স্মার্টফোন কিনে ১ লাখ টাকা পুরস্কার জিতলেন রিয়েলমি গ্রাহক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিয়েলমি সি৬৭ স্মার্টফোন কিনে ১ লাখ টাকা পুরস্কার জিতলেন রিয়েলমি গ্রাহক

রিয়েলমি সি৬৭ স্মার্টফোন কিনে ১ লাখ টাকা পুরস্কার জিতলেন রিয়েলমি গ্রাহক

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রি-বুক রিয়েলমি সি৬৭ ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়া ভাগ্যবান একজন বিজয়ীকে এক লাখ টাকা পুরস্কার প্রদান করেছে তরুণদের জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি।

রিয়েলমি স্মার্টফোন কিনে একটি আকর্ষণীয় লটারির মাধ্যমে এক লাখ টাকার এ অসাধারণ সুযোগ জিতে নিয়েছেন শরীফ আহমেদ।

রিয়েলমি বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং ডিরেক্টর ড্যারেন ঝ্যাং সম্প্রতি বিজয়ীর হাতে এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন।

এছাড়া, রিয়েলমি সি৬৭ কিনে আরও ১০ জন ভাগ্যবান ক্রেতা লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে পেয়েছেন বোগো (একটি কিনলে একটি ফ্রি) ডিলের পুরস্কার।

বাংলাদেশের স্মার্টফোনের বাজারে রিয়েলমি সি৬৭ ছাড়ার সময়, ব্র্যান্ডটি তাদের গ্রাহকদের জন্য অসাধারণ এক সুযোগ নিয়ে হাজির হয়। স্মার্টফোন সিরিজটি বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে রিয়েলমি’র অনুমোদিত আউটলেটগুলোতে ডিভাইসটির প্রি-বুকিং দিলে, লটারির মাধ্যমে বিজয়ী স্মার্টফোনপ্রেমী গ্রাহকদের এক লাখ টাকা এবং একটি কিনলে একটি ফ্রি অফারের ঘোষণা দেয় জনপ্রিয় এই স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি।

রিয়েলমি বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং ডিরেক্টর ড্যারেন ঝ্যাং বলেন, “ অনন্য স্থায়িত্ব ও গুণগতমান ধরে রেখে একটি যথার্থ টেক ব্র্যান্ড হতে চায় রিয়েলমি। তার একটি উদাহরণ হলো রিয়েলমি সি৬৭। এই ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়ায়, আমি এক লাখ টাকা বিজয়ীকে এবং ১০ জন স্মার্টফোন বিজয়ীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।”

এক লাখ টাকার ভাগ্যবান বিজয়ী শরীফ আহমেদ বলেন, “একটি ফোন কিনে এক লাখ টাকার পুরস্কার জিতে যাব, তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। এতে আমি খুবই আনন্দিত। রিয়েলমিকে আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। রিয়েলমি ও এর স্মার্টফোন ডিভাইসের সঙ্গে আমার এই অভিজ্ঞতা সব সময়ই অসাধারণ ছিল!”

সি-সিরিজের রিয়েলমি সি৬৭ হলো সেগমেন্টের প্রথম স্মার্টফোন ডিভাইস, যাতে রয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের কোয়ালিটি ক্যামেরা। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শট নেওয়ার ক্ষেত্রে স্মার্টফোন গ্রাহককে দেয় দারুণ ফটোগ্রাফিক সক্ষমতা। আনুষ্ঠানিকভাবে তোলা স্যাম্পল ছবিগুলোতে দেখা গেছে, প্রতিযোগী ব্র্যান্ডগুলোর ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার তুলনায় এই ডিভাইসের ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা তুলনামূলক অনেক স্পষ্ট ছবি তুলতে সক্ষম।

বিশেষ করে বলতে গেলে, সি-সিরিজেই প্রথম রিয়েলমি সি৬৭- এর ৩x ইন-সেন্সর জুমে উন্নত ক্যামেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। বৈচিত্র্যময়তার সঙ্গে ছবি তোলার ক্ষেত্রে এই সেন্সর ছবিপ্রেমীদের দিচ্ছে অসাধারণ রেজোল্যুশন।

শুধু তাই নয়, এই প্রথমবারের মতো সি-সিরিজের সি৬৭ ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর। এতে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ৬এনএম চিপসেট, যা নেক্সট-লেভেলের পাওয়ার প্রদানের পাশাপাশি ব্যবহারকারীকে দেয় নিশ্চিত কার্যকারিতা ও নির্ভরযোগ্যতা। ৩৩০কে- এর একটি শক্তিশালী স্কোরের মাধ্যমে, এই চিপসেট স্মার্টফোন গ্রাহকদের নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্সের অসাধারণ অভিজ্ঞতা লাভের নিশ্চয়তা দেয়।

;