কর আরোপে বাধাগ্রস্ত হবে ই-কমার্সের প্রসার
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সাড়ে সাত শতাংশ কর আরোপ করায় বাংলাদেশের ই-কমার্স ও অনলাইন কেনাকাটার প্রসার বাধাগ্রস্থ হবে বলে মনে করছেন আইসিটি সংশ্লিষ্টরা। এজন্য ই-কমার্স খাতে করারোপের বিষয়টি পুনরায় বিবেচনার অনুরোধ করেছেন তারা।
রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ জানান সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি আলমাস কবির বলেন, ‘বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতের মাত্র বিকাশ শুরু হয়েছে। মানুষের অফলাইন থেকে অনলাইনে কেনাকাটায় অভ্যস্ত হওয়ার অন্যতম কারণ, সহজে কেনাকাটা করার সুবিধা ও ভ্যাট না থাকা। কিন্তু এ খাত প্রসারিত হওয়ার আগেই এর ওপর আরোপিত কর মানুষের অনলাইনে কেনাকাটার আগ্রহ কমিয়ে দেবে। কেননা ডেলিভারি চার্জ, প্যাকেজিং চার্জসহ একটি পণ্যের জন্য গ্রাহককে তখন প্রায় ২০-৩০% পর্যন্ত অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। ফলে গ্রাহক তখন অফলাইনে কেনাকাটার দিকেই ঝুঁকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এবং ইন্টারনেট সার্ভিসেস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপি এবি) শীর্ষ নেতারা অংশ নেন।
বক্তারা মনে করেন, এবারের বাজেটে ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমের বিজ্ঞাপনকে ভ্যাটের আওতায় আনতে ‘সোশ্যাল মিডিয়া ও ভার্চুয়াল বিজনেস’ এর সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সেখানে সাড়ে সাত শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সার্বিক ই-কমার্সে।
এদিকে এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। মইনুদ্দিন নাহিয়ান নামে এক ই-কমার্স উদ্যোক্তা নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অনলাইন ব্যবসায়ীদের অঙ্কুরেই বিনাশ করে দেওয়ার পন্থা হলো এ সাড়ে সাত শতাংশ ভ্যাট। এ ধরনের বাজেট খুদে উদ্যোক্তাদের ব্যবসার অপমৃত্যু, বেকারত্ব বৃদ্ধি, ডিজিটাল বাংলাদেশের চেতনার বিরোধী।’
অপরদিকে সায়মন খান রাহুল তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সবাই ব্যবসা করবে, লাভ করবে, কিন্তু ট্যাক্স দিতে নারাজ। ট্যাক্স না দিলে দেশের কি উন্নয়ন সম্ভব?’