ব্ল্যাকভিউ’র স্মার্টফোনে দানবীয় ব্যাটারি!

  • টেক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ব্ল্যাকভিউ বিভি-৯৫০০, ছবি: সংগৃহীত

ব্ল্যাকভিউ বিভি-৯৫০০, ছবি: সংগৃহীত

স্মার্টফোন প্রেমীরা বাজারে ফোন কিনতে গেলে ‘একের ভেতর সবকিছু’ এরকম একটা ধারণা নিয়ে যান। কিন্তু ক্যামেরা ফিচার দুর্দান্ত হলে অন্যদিকে হয়ত পারফরমেন্স একবারে লো। আর যদি পারফরমেন্স ভালো হয় তাহলে ব্যাটারি নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। কিন্তু চীনের মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের এসব চাহিদার কথা মাথায় রেখে ব্ল্যাকভিউ ‘বিভি-৯৫০০’ এবং ‘বিভি-৯৫০০ প্লাস’ মডেলের শক্তিশালী স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে।

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কী কী থাকছে ব্ল্যাকভিউর এই স্মার্টফোনে:

বিজ্ঞাপন

১. দানবীয় ব্যাটারি

এর সবচেয়ে বড় সেলিং পয়েন্ট হচ্ছে, ১০ হাজার মিলি অ্যাম্পিয়ারের দানবীয় ব্যাটারি। মূলত স্মার্টফোনে এই প্রথম বিশাল আকারের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ব্ল্যাকভিউ দাবি করছে, ফোনটি টানা ৪০ দিন স্ট্যান্ডবাই থাকবে। যা একটি সাধারণ স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ভাবাই যায় না।

এতে রয়েছে ওয়্যারলেস চার্জিং সুবিধা। এছাড়া ১২ ভোল্টের/২এ ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি। যা ৫ ভোল্টের ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি থেকে দ্বিগুণ দ্রুত চার্জ হবে। আর এই দানবীয় ব্যাটারিটি চার্জ হতে সময় নিবে সাড়ে তিন ঘণ্টা।

তাই এখন ট্যুরে গেলে আর নরমলাল ফোনের ওপর নির্ভর করতে হবে না। কারণ আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটির ব্যাটারি অন্য সব স্মার্টফোনের মতো সহজেই ফুরিয়ে যাবে না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/01/1564658543305.jpg

২. হার্ডওয়ার/সফটওয়্যার

বিগত ২০১৮ সাল থেকে এর উন্নয়ন সাধনে কাজ করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘হেইলিও-পি২৩’ প্রসেসর। যা বর্তমান বাজারের ফোনগুলোর তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে।

সফটওয়্যারের দিক দিয়ে এতে অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ব্ল্যাকভিউ বিভি-৯৫০০ প্লাসে অ্যান্ড্রয়েড ‘পাই’ ভার্সনটি পাওয়া যাবে। এছাড়া নতুন এই ব্ল্যাকভিউ প্লাস মডেলটি ১.৮ মিটার পানির নিচে ২ ঘণ্টা ব্যবহার করা যাবে। অন্যদিকে সর্বোচ্চ ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়ও ফোনটি ব্যবহার করা যাবে।

ধারণা করা হচ্ছে ফোনটি আগামী সপ্তাহে চীনের বাজারে ছাড়া হবে। তবে এর বাজারমূল্য কত হবে তা এখনও নির্ধারণ করেনি প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা জি মিং বিশ্বাস করেন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি মানেই উচ্চমূল্যে পণ্য বিক্রি নয়। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহকদের হাতে সর্বাধুনিক পণ্যটি সুলভ মূল্যে তুলে দেওয়া।

সূত্র: জীসমোচীনা