কানাডায় ব্যবসা সম্প্রসারণে ক্যানচ্যাম-বেসিস চুক্তি সই
কানাডায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এবং কানাডার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আকৃষ্ট করতে বেসিস ও কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ক্যানচ্যাম বাংলাদেশ) মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) এ চুক্তি সই করেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর এবং ক্যানচ্যাম বাংলাদেশ সভাপতি মাসুদুর রহমান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোয়া প্রেফান্তে। আরও ছিলেন বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারহানা এ রহমান ও সহসভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান।
কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোয়া প্রেফান্তে জানালেন, কানাডায় বাংলাদেশের রফতানি গত ৫ বছরে ৩৭ ভাগ বেড়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে কানাডা থেকে বাংলাদেশের রফতানি আয় ৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। রফতানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত। ক্যানচ্যাম বাংলাদেশের সঙ্গে এ চুক্তি কানাডায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়ক হবে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন বেসিসের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি আমাদের জন্য আনন্দের।
এ প্রসঙ্গে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বললেন, ‘২০২৪ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রফতানি আয় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের উন্নীত করতে সরকারের সঙ্গে কাজ করছে বেসিস। বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের রফতানি আয়ের ৬০ ভাগ আসে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরালো করতে হবে। এ লক্ষ্যেই ক্যানচ্যাম বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে বেসিস। আসছে সেপ্টেম্বরে কানাডার টরেন্টোতে অনুষ্ঠেয় ১৩তম ‘টরেন্টো গ্লোবাল ফোরাম’ এবং ‘বাংলাদেশ-কানাডা বিজনেস ফোরাম’ এ অংশ নেবে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল। এরই মধ্য দিয়ে ক্যানচ্যাম বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কার্যক্রম শুরু হবে।
ক্যানচ্যাম বাংলাদেশের সভাপতি মাসুদুর রহমান জানালেন, কানাডার অনেক বিনিয়োগকারী বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিনিয়োগে আগ্রহী। এ ছাড়া কানাডায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতভিত্তিক বিভিন্ন উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে টেকনোলজি অ্যাসোসিয়েশন অব কানাডা (আইটিএসি), ক্যানচ্যাম বাংলাদেশ, বেসিস-যৌথভাবে কাজ করবে।