ফেইক নিউজ দিয়ে গুজব ছড়ায় যারা...



মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: দুনিয়া জুড়ে এখন সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম ফেইক নিউজ বা ভুয়া সংবাদ ছড়ানো। গণমাধ্যমের প্রকৃতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ফেইক নিউজের প্রকৃতিও পরিবর্তিত হয়েছে। এখন শুধুমাত্র সংবাদ মাধ্যম নয় বরং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ফেসবুক, টুইটার বা ইউটিউবের মাধ্যমেও মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়ে পড়ছে।

গত রোববার থেকে রাজধানীজুড়ে সহপাঠী হত্যার বিচার চেয়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রভাব পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। ছবি এডিট করে শিক্ষার্থীদের হাতে সাজানো প্ল্যাকার্ড ধরিয়ে বিতর্ক তৈরি করা, পুলিশ, রাজনীতিবদসহ অন্যান্য পেশার মানুষকে ব্যাঙ্গ করার ভিডিও ও ছবি ফেইসবুকে প্রকাশ করা, সর্বশেষ  আন্দোলনের সপ্তম দিনে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যা, ধর্ষণের মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়েও গুজব ছড়ানো হয় ফেসবুকে। সব মতাদর্শের লোকেরা নিজেদের মতের সঙ্গে মিলে এমন সব পোস্ট ফেসবুকে ছড়িয়ে দিতে থাকেন। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশ এক্ষেত্রে দ্বিধায় পড়ে যান বা কনফিউজড হন।

অনেককেই দেখা যায় মিথ্যা জেনেও শুধুমাত্র নিজের মতাদর্শ প্রচার করতে বা বিরুদ্ধ মতকে বিতর্কিত করতে ফেইক নিউজ বা ভুয়া পোস্ট নিজেরা তৈরি করছেন বা শেয়ার দিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে যেকোনো সংবাদ বা তথ্যকে যাচাই বাছাই ছাড়া বিশ্বাস করা যাবে না। সেক্ষেত্রে কয়েকটি মূলধারার গণমাধ্যম থেকে সংবাদটি যাচাই করতে হবে। তবে মানুষ কেন এই ফেইক নিউজ বা ভুয়া পোস্ট এতো বেশি বিশ্বাস করছেন, সেটির কারণও খতিয়ে দেখা দরকার।

২০১৬ সালে আমেরিকায় সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে দুনিয়াজুড়ে আলোচিত হয়ে ওঠে ফেইক নিউজ টার্ম বা শব্দটি। যেখানে পরে আবিষ্কৃত হয় রাশিয়ার পাশের একটি ছোট দেশ মেসিডোনিয়া থেকে কয়েক হাজার ওয়েবসাইট শুধুমাত্র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চালু হয়েছিল। ফেইক নিউজ পরিবেশনের মাধ্যমে যেমন তারা আমেরিকার নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছিল তেমনি নিজেরা অর্থও আয় করেছিল। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলধারার গণমাধ্যম জনগণ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাওয়াতে ফেইক নিউজ বা ভুয়া খবর এতো বেশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

ফেসবুকের মিথ্যা খবরের ওপর একটি গবেষণা চালিয়েছেন সিঙ্গাপুরের নানিয়াং টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির উই কিম উই স্কুল অব কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এডসন সি টানডর জুনিয়র। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে সিঙ্গাপুরের দুই হাজার ৫০১ জন ফেসবুক ব্যবহারকারীর ওপর জরিপ চালান তিনি। জরিপের গবেষণাপত্রে তিনি উল্লেখ করেন,  দেখা গেছে মানুষ ভুল সংবাদ তখনই বিশ্বাস করে যখন আগে থেকেই সেই বিশ্বাস মানুষ মনে মনে লালন করে থাকেন। সিঙ্গাপুরে ২২ দশমিক ৪০ শতাংশ মানুষ ফেসবুকের ফেইক নিউজ বিশ্বাস করেন, ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ লোক এসব মিথ্যা পোস্ট সরাতে ফেসবুকে রিপোর্ট করেন, যারা বা যেসব একাউন্ট এই ধরনের মিথ্যা সংবাদ ও ভুয়া ছবি পোস্ট করেন তাদেরকে ব্লক করে দেন ১২ দশমিক ৩ শতাংশ লোক, ১২ দশমিক ১ শতাংশ লোক ওই সব পোস্টকে মিথ্যা জানিয়ে কমেন্ট করেন, ১১ দশমিক ৪ শতাংশ লোক ভুয়া খবর পোস্ট করা ব্যাক্তিকে ম্যাসেজ পাঠান এবং মাত্র ৬ দশমিক ৫ শতাংশ লোক এই সব ভুয়া খবরকে সংশোধন করে নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেন।

তিনি গবেষণাপত্রে আরও উল্লেখ করেন, কোনোভাবেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মিথ্যা খবর বন্ধ করা যাবে না। কারণ সবাই যে এক দেশ থেকে এইসব ফেইক নিউজ পোস্ট করেন তা নয়। বরং বিদেশে বসেও অনেকে ফেইক নিউজ পোস্ট করতে পারেন।

এ সমস্যার সমাধান হিসেবে জনগনকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে এডসন বলেন, মিথ্যা খবর বিশ্বাসের সঙ্গে শিক্ষার বিষয়টিও জড়িত। তবে মানুষ কী বিশ্বাস করে এবং কী পোস্ট করা হয়েছে সেটি এখানে বড় বিষয়। যদি মানুষ আগে থেকেই একটি ধারণায় বিশ্বাস করেন এবং তার মতের সঙ্গে মিল আছে এমন ভুয়া কোনো পোস্টও দেখেন, তিনি সেটি বিশ্বাস করেন।

আমেরিকার ডার্টমাউথ কলেজের ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভনমেন্টের অধ্যাপক ব্রেন্ডান নিহান তার এক গবেষণা দেখিয়েছেন, শুধু মানুষ যা বিশ্বাস করে তাই নয় বরং যেরকমটা তিনি দেখতে চান সেই রকম ফেইক নিউজও বিশ্বাস করেন। এমনকি মানুষ সত্যটা জেনেও ফেইক নিউজ বা তার মনের মতো সংবাদ ও পোস্টকে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেন।

তিনি এক জরিপে দেখতে পান, বারাক ওবামা আমেরিকান নন, এই ধরনের একটি গুজব ৪২ শতাংশ রিপাবলিকান বিশ্বাস করেন। যেটা মাত্র ১৫ শতাংশ ডেমোক্রেট সমর্থকরা বিশ্বাস করেন। এই ধরনের ফলের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, রিপাবলিকানরা রাজনৈতিক মতাদর্শের দিক থেকে ইতোমধ্যে ওবামা বিরোধী অবস্থানে রয়েছে, সেক্ষেত্রে যদি এই ধরনের একটি গুজব শুনে সেটি সহজেই বিশ্বাস করবে।

দ্যা ইনফ্লুয়েনশিয়াল বইয়ের লেখক নিউরোসায়েন্টিস্ট টালি সারট এই বিশ্বাসকে 'কনফারমেশন বায়াস' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, মানুষের আবেগ, যুক্তি এবং অতীতের ঘটনার সঙ্গে যদি কোনো ফেইক নিউজ বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট মিলে যায়, তাহলেই সে ওই খবর বিশ্বাস করে। এই ধরনের খবর যখন মাথায় প্রবেশ করে আর নিজের বিশ্বাসকে সমর্থন করে তখনই নিউরনে সেটি এক ধারায় চলে আসে আর মানুষ সেটিকে প্রচার করতে থাকে বা আনন্দ অথবা দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু দেখেই গুজব ছড়ানো যাবে না। বরং ধৈর্য ধরে তথ্যটি নিশ্চিত হওয়ার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে।

   

বাংলালিংকের আয় বেড়েছে ১৪.৪ শতাংশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক, তাদের দুই অংকের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছে। অপারেটরটির বার্ষিক আয় আগের বছরের তুলনায় ১৪.৪ শতাংশ বেড়ে ২০২৩ অর্থবছরে ৬ হাজার ১৫০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বাংলালিংক-এর এই অর্জনে ভূমিকা রেখেছে এর ফোর-জি গ্রাহক সংখ্যার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি, ‘ডিজিটাল অপারেটর ১৪৪০’ কৌশলের সঠিক বাস্তবায়ন, যার অর্থ হলো দিনের প্রতি মিনিটে গ্রাহকদের সাথে যুক্ত থাকা এবং দেশব্যাপী নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ। এই কৌশলগত পদক্ষেপগুলো বাংলালিংককে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন মান প্রতিষ্ঠা করেছে।

সম্প্রতি, বাংলালিংক তার নেটওয়ার্ক কভারেজ দ্বিগুণ করেছে, তাদের মোট টাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে ১৬ হাজারের বেশি। বাংলালিংক-এর উচ্চ গতি ও মানসম্মত নেটওয়ার্কের পাশাপাশি মাইবিএল সুপার অ্যাপ, টফি ও বিপ-এর মতো উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাগুলো এই ভালো ফল অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বাংলালিংক-এর গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৩৫ লাখ। সম্প্রতি বাংলালিংক-এর মূল কোম্পানি ভিওন প্রকাশিত ২০২৩ সালের বার্ষিক আয়ের প্রতিবেদন অনুসারে অপারেটরটির ফোর-জি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২ কোটি ফোর-জি গ্রাহকের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

ইতোমধ্যে ডিজিটাল স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বিনোদনের মতো ক্ষেত্রে বাংলালিংক তাদের ডিজিটাল সেবার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। বাংলালিংক-এর মাইবিএল সুপার অ্যাপ, দেশের টেলিকম খাতের প্রথম সুপার অ্যাপ যা অন্য মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকরাও ব্যবহার করতে পারবে এবং যা এক প্ল্যাটফর্ম থেকেই বিস্তৃত ডিজিটাল সেবা প্রদান করছে। অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের প্রাত্যহিক জীবনকে করে তুলে আরও সহজ।

গুগল প্লে স্টোর-এর লাইফস্টাইল বিভাগে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে মাইবিএল সুপার অ্যাপ, যা এর জনপ্রিয়তা ও ব্যবহার উপযোগিতা প্রতিফলিত করে।

২০২৩-এ চতুর্থ প্রান্তিকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো, প্রায় আশি লাখ, যা ৩৬.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। বাংলালিংক-এর টফি বর্তমানে অডিও ও ভিডিও স্ট্রিমিং সংবলিত দেশের শীর্ষস্থানীয় বিনোদন অ্যাপ্লিকেশন ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। দেশের সকল মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে গ্রাহকগণ টফি ব্যবহার করতে পারেন। দেশজুড়ে বিস্তৃত ফোর-জি নেটওয়ার্কের সুবিধা নিয়ে, বাংলালিংক গত চার বছরে বাংলাদেশের ‘দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্ক’-হিসেবে ধারাবাহিকভাবে ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছে যা বাংলালিংক-এর ডেটা গ্রাহক বৃদ্ধিতে এটি বিশেষ অবদান রেখেছে।

বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অস বলেন, উদ্ভাবন, বিশ্বাস ও মানসম্মত সেবা প্রদানের কারণেই বাংলালিংক দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পেরেছে। গ্রাহকদের অগ্রাধিকার দিয়ে, ডিজিটাল অপারেটর কৌশলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা খাতে আমরা আরও নতুন মাত্রা যোগ করতে চাই। দেশব্যাপী ব্যাপক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি সারা দেশে আমাদের কভারেজকে দ্বিগুণ করেছি। সবচেয়ে বেশি গতি ও মানসম্মত নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার মাধ্যমে মাইবিএল সুপার অ্যাপ, টফি ও বিপ-এর মতো উন্নত ডিজিটাল সেবাগুলির মান আরও বাড়াতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

;

ডিজিটাল মার্কেটিং ও সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছেন রায়হান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণরা দেশের সম্পদ। তবে অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে বেকারের খাতায় নাম লেখান। তারা সম্পদে রূপান্তর না হয়ে দেশের বোঝা হয়ে যান। এমন সংকটে ১৯ বছর বয়সেই ডিজিটাল মার্কেটিং করে সফল হওয়ার চেষ্টায় তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী মুশফিক আর. রায়হান।

প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষ যেভাবে অনলাইনের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে, তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে অনেক তরুণই ক্যরিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ এ ক্যারিয়ার একজন মানুষকে একদিকে যেমন প্রযুক্তিপ্রেমী করে তুলছে, অন্যদিকে জীবনকে করে তুলছে স্বাচ্ছন্দ্যময়।

এমনই এক তরুণ উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল বিপণনকারী মুশফিক আর. রায়হান। নিজের নামেই একটি ফেসবুক পেজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন এ তরুণ। দেখতে দেখতে দীর্ঘ পথচলায় এখন তিনি বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচিত।

বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন মুশফিক আর. রায়হান। তিনি বলেন, ‘দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এ সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।’

তার মতে, ‘এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ-কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার। কী ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে মানুষ, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

;

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক

  • Font increase
  • Font Decrease

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এটাকে আমরা চলমান রাখতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য ভিশন-২০৪১ ঘোষণা করেছেন, এবং যুক্তরাজ্য সরকার ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজি ঘোষণা করেছে।

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকায় আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে যুক্তরাজ্যের হাই-কমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন ।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ রয়েছে। সেগুলো হলো- স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট সিটিজেন, এবং স্মার্ট সোসাইটি। স্মার্ট সোসাইটির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুই দেশের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তঃবাণিজ্য, আন্তঃবিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি ইনোভেশন, সাইবার সিকিউরিটি ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে দেশের তরুণ প্রজন্মের ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ কমিউনিকেটিং স্কিল বাড়ানোর জন্য আলোচনা হয়েছে। যাতে করে আমাদের ফ্রিল্যান্সার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা লাভবান হতে পারে। অতীতের মতো আগামীদিনেও আমরা এই জায়গাতে কাজ করতে চাই।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে মিলে আইটি সেক্টরের বিজনেস বাড়ানো, সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা এবং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে। এছাড়াও অন্যান্য অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আলোচনা অব্যাহত রাখবো এবং ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে কাজ করবে।

;

উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করলো পটুয়াখালী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) এর উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করলো পটুয়াখালী।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক পটুয়াখালী টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবন থেকে জীবন সেবার উদ্বোধন করেন।

এসময় পটুয়াখালী বিটিসিএল কর্মকর্তাকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে জুনের মধ্যে ৩ হাজার সংযোগের নির্দেশ দেন তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

উদ্বোধন শেষে প্রতিমন্ত্রী বিটিসিএল কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জনসাধারণকে "জীবন" সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। জুনের ৩০ এর মধ্যে যদি লাভজনকে না যাইতে পারেন তখন কিন্তু আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবো তখন আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে কি না সন্দেহ আছে। বসে বসে বাবুগিরি চলবে না কাজ করে খাইতে হবে। সরকারের এ অবস্থা নাই যে শত শত হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিবো। তিনি আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে কোনো কিছুই অসম্ভব না। আপনিও ৫ মাসের মধ্যে ৩ হাজার সংযোগ দিতে পারবেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেধাবী ও সাহসী পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।প্যাসিভ অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক জীবন হবে বিটিসিএল এর লাইফ লাইন। ভবিষ্যতে বিটিসিএলকে বাঁচিয়ে রাখা, সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং লাভজনক কোম্পানিতে পরিণত করতে জীবন ফলপ্রসূ অবদান রাখবে।

এর আগে তিনি বিকেলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার ভূরিয়া শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ কাজ অগ্রগতি পরিদর্শন করেন ও সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন করেন।

;