বাংলাদেশে তথ্য মাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের বিদায় ঘণ্টা!



মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বার বার ধাক্কা খাচ্ছে। আমেরিকার নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগে সিনেটের মুখোমুখি হতে হয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে। ইতোমধ্যে কেমব্রিজ এ্যানালিটিকা ডেটা কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে একের পর এক নানা প্রাইভেসি উদ্বেগ জন্ম দিয়েছে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। দুনিয়া জুড়ে ফেসবুক এখন ফেইক নিউজ বা মিথ্যা সংবাদ ছড়ানোর অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ফলে এখন অনেকে মজা করে ফেসবুককে ‘ফেইকবুক’ হিসেবে উল্লেখ করছেন।

সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সহপাঠী হত্যার বিচারের দাবিতে গত ২৯ জুলাই থেকে রাজধানীর প্রধান সড়কে অবস্থান নেয় সমবয়সী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ধীরে ধীরে একটি গণ আন্দোলন গড়ে ওঠে। প্রথম দিন থেকেই এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সক্রিয় ছিলেন। শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর ঘটনায় দেশের নৌপরিবহনমন্ত্রী এবং পরিবহন শ্রমিকদের নেতা শাজাহান খানের হাসিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর তিরস্কার এবং ক্ষমা চেয়ে দৃশ্যপট থেকে নিজেকে রক্ষা করেন তিনি।

তবে ঘটনার দু’দিন পর অন্দোলনের পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নিতে থাকেন অনেকে। শিক্ষার্থীরা হাতে যেসব প্লেকার্ড নিয়ে আন্দোলন করছিলেন সেগুলোর ছবি এডিট করে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে ফেসবুকে পোস্ট করতে থাকে একটি পক্ষ। আন্দোলনের বিপরীতে অবস্থান করা পক্ষটি সহজেই সেটি বিশ্বাস করে নেয়। শেয়ার দিয়ে, মত প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের ছবিগুলোকে ছড়িয়ে দেন। তবে কোনো ভিডিওতে শিক্ষার্থীদের হাতে এই ধরনের অশ্লীল শব্দের প্লে-কার্ড দেখা না গেলেও ফেসবুকে এসব ছবিতে সয়লাব হয়ে উঠে। শহরের আন্দোলনকারীরাও ফেসবুককে বেছে নেন আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। সেখানেও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদদের অপমানকার ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা হতে থাকে। এতে একটি পক্ষ যেমন হাত তালি দিতে থাকে, আরেকটি পক্ষ মুষড়ে পড়েন। যারা ছবিগুলো পোস্ট করছিলেন, তারা একবারও এসব শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সর্ম্পকে ভাবলেন না। নিজেদের মত ছড়িয়ে দিতে এই চরম আপত্তিকর কাজটি তারা করতেই থাকলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/06/1533531227002.jpg

জানা গেছে, মুম্বাইসহ পুরো ভারতে স্যানিটেশন একটি বড় সমস্যা। সকালে মানুষ টয়লেট ব্যবহার করার চেয়ে রাস্তার দু’ধারে পয়ঃনিস্কাশনের জন্যে বসে যান। তাদের ঠেকাতে মুম্বাই সিটি কর্পোরেশন পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ভোর বেলায় অভিযানে নামেন। যারা পথের দু’ধারে বসে যেতে চাইতেন, তাদেরকে জরিমানা করা শুরু হয়। এমনকি কান ধরে ওঠবসও করানো হতো। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন যখন নিজেদের ফেসবুক পেইজে এসব মানুষদের ছবি পোস্ট করতে থাকেন, তখনই বাধে গোল। কারণ একজন মানুষ আইন ভাঙ্গলে তার শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা যায় না। মুম্বাই মিরর থেকে শুরু করে ইন্ডিয়ান টাইমস পত্রিকা এই অপমানকার ছবিগুলোর বিপক্ষে সরব হয়ে ওঠে। কারণ এটা মানুষের সামাজিক অবস্থানের ওপর হস্তক্ষেপ।

কিন্তু বুঝে না বুঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার সর্ম্পকে অপরিণামদর্শীতার অভাবে বাংলাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাও এসব করতে থাকেন। আন্দোলনের সপ্তম দিনে এসে ফেসবুক হয়ে উঠলো ফেইক নিউজে ঠাসা। চার জন খুন, দুই জন ধর্ষিত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়তে থাকলো। মূলধারার গণমাধ্যমে নিজেদের মনের মতো খবর প্রকাশ না হওয়াতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেই বেছে নিলেন আন্দোলনের পক্ষ বিপক্ষ শক্তি। দুই একটি ছাড়া বেশিরভাগ মূল ধারার গণমাধ্যম যেখানে বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে খবর যাচাই করে প্রকাশ করে, সেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেরা নিজেদের মত প্রকাশ করে সেটাকেই তথ্য হিসেবে বেছে নিতে থাকেন বিভিন্ন মতাবলম্বীরা। তবে এক সময় যেমন খুন বা ধর্ষণের খবর মিথ্যা প্রকাশ হয়, তেমনি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার বাস্তব চিত্রও উঠে আসে মূল ধারার গণমাধ্যমে।

রোববার ধানমন্ডি-সায়েন্সল্যাব এলাকাজুড়ে শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয় পুলিশ এবং সরকারদলীয় বাহিনীর সেই খবরগুলোও যথাযথভাবেই তুলে ধরে মূল ধারার গণমাধ্যম। তবে এরই মধ্যে মতের পক্ষ বিপক্ষ যখন ঘৃণা ছড়ানোর জন্যে ফেসবুকে নিজেদের মনের মতো ছবি, ভিডিও পোস্ট করে অস্থীতিশীল অবস্থা তৈরি করতে তৎপর তখন কিন্তু সাধারণ মানুষ বেছে নিয়েছেন মূল ধারার গণমাধ্যমকেই। কারণ গত কিছুদিনের অভিজ্ঞতায় অন্তত ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এটুকু বুঝতে পেরেছেন, সত্যিকারের সংবাদ পেতে হলে মূল ধারার গণমাধ্যমেই ঢুঁ মারতে হবে।

মার্কিন সাময়িকী ফরচুন’র এক প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, ডেটা বা তথ্য নিরাপত্তা লঙ্ঘণ নিয়ে মার্কিন আর ইউরোপীয় সরকারগুলোর কড়া তদন্তের মুখে রয়েছে ফেসবুক এবং তার প্রতিষ্ঠাতা জাকারবার্গ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেতে হলো ফেসবুককে। গত ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে ফেসবুকের শেয়ার দর ২০ শতাংশ কমে যায়। ফলে ফেসবুকের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা টাকার অঙ্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে কোনো কোম্পানির একদিনে সবচেয়ে বড় ক্ষতি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/06/1533531251003.jpg

বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এখন আর্ন্তজাতিক মিডিয়াগুলোর প্রধান খবরগুলোর একটি। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশেও ফেইক নিউজের বাহক হিসেবে নিজেকে পরিচিত করে তুলেছে ফেসবুক। অন্তত এটুকু অনুমান করা যায়, ব্যবহারকারীরা অন্তত নিজেদের পক্ষ না হোক বিপক্ষ মতের প্রচারণা যাচাই করার জন্যে হলেও মূলধারার গণমাধ্যম থেকে যাচাই করবে। আর সেক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে হবে অনলাইন নিউজপোর্টালগুলোকেই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে।

২০১৬ সালের আগেও আমেরিকান নির্বাচনের আগে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ এবং সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞদের একটি বড় বিতর্কের জায়গা ছিল, ফেসবুক বা টুইটার অথবা ইউটিউব কি মূলধারার গণমাধ্যমের জন্যে ঝুঁকি হয়ে উঠবে? ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ফেসবুকে আসক্ত হয়ে পড়েন ভোটাররা। তবে নির্বাচনের পরে হলেও সেখানকার মানুষ বুঝতে পারে যে ফেসবুকের ফেইক নিউজ দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন তারা। তখন থেকেই বিশ্বব্যাপী নতুন ধারণার জন্ম নেয় যে ফেসবুকের নিজের মৃত্যুর কারণ হবে ফেসবুক নিজেই। এতো বেশি মিথ্যা আর ভ্রান্তি ছড়ানো শুরু হবে যে মানুষ আবারো ট্রেডিশনাল মিডিয়াতে প্রবেশ করতে বাধ্য হবে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সেই বিষয়টি বাংলাদেশিদের কাছে পরিস্কার হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে। ফেসবুক এখানেও ফেইক বুক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে পড়ছে। গণমাধ্যমে নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ আবারও জোরালো হয়ে উঠেছে। মানুষকে সত্য জানতে মূলধারার গণমাধ্যমেই ভরসা রাখতে হচ্ছে। তথ্যের মাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশে ফেসবুকের মৃত্যু ঘণ্টা হয়তো এখান থেকেই বাজতে শুরু করেছে।

   

বাংলালিংকের আয় বেড়েছে ১৪.৪ শতাংশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক, তাদের দুই অংকের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছে। অপারেটরটির বার্ষিক আয় আগের বছরের তুলনায় ১৪.৪ শতাংশ বেড়ে ২০২৩ অর্থবছরে ৬ হাজার ১৫০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বাংলালিংক-এর এই অর্জনে ভূমিকা রেখেছে এর ফোর-জি গ্রাহক সংখ্যার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি, ‘ডিজিটাল অপারেটর ১৪৪০’ কৌশলের সঠিক বাস্তবায়ন, যার অর্থ হলো দিনের প্রতি মিনিটে গ্রাহকদের সাথে যুক্ত থাকা এবং দেশব্যাপী নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ। এই কৌশলগত পদক্ষেপগুলো বাংলালিংককে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন মান প্রতিষ্ঠা করেছে।

সম্প্রতি, বাংলালিংক তার নেটওয়ার্ক কভারেজ দ্বিগুণ করেছে, তাদের মোট টাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে ১৬ হাজারের বেশি। বাংলালিংক-এর উচ্চ গতি ও মানসম্মত নেটওয়ার্কের পাশাপাশি মাইবিএল সুপার অ্যাপ, টফি ও বিপ-এর মতো উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাগুলো এই ভালো ফল অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বাংলালিংক-এর গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৩৫ লাখ। সম্প্রতি বাংলালিংক-এর মূল কোম্পানি ভিওন প্রকাশিত ২০২৩ সালের বার্ষিক আয়ের প্রতিবেদন অনুসারে অপারেটরটির ফোর-জি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২ কোটি ফোর-জি গ্রাহকের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

ইতোমধ্যে ডিজিটাল স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বিনোদনের মতো ক্ষেত্রে বাংলালিংক তাদের ডিজিটাল সেবার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। বাংলালিংক-এর মাইবিএল সুপার অ্যাপ, দেশের টেলিকম খাতের প্রথম সুপার অ্যাপ যা অন্য মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকরাও ব্যবহার করতে পারবে এবং যা এক প্ল্যাটফর্ম থেকেই বিস্তৃত ডিজিটাল সেবা প্রদান করছে। অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের প্রাত্যহিক জীবনকে করে তুলে আরও সহজ।

গুগল প্লে স্টোর-এর লাইফস্টাইল বিভাগে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে মাইবিএল সুপার অ্যাপ, যা এর জনপ্রিয়তা ও ব্যবহার উপযোগিতা প্রতিফলিত করে।

২০২৩-এ চতুর্থ প্রান্তিকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো, প্রায় আশি লাখ, যা ৩৬.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। বাংলালিংক-এর টফি বর্তমানে অডিও ও ভিডিও স্ট্রিমিং সংবলিত দেশের শীর্ষস্থানীয় বিনোদন অ্যাপ্লিকেশন ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। দেশের সকল মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে গ্রাহকগণ টফি ব্যবহার করতে পারেন। দেশজুড়ে বিস্তৃত ফোর-জি নেটওয়ার্কের সুবিধা নিয়ে, বাংলালিংক গত চার বছরে বাংলাদেশের ‘দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্ক’-হিসেবে ধারাবাহিকভাবে ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছে যা বাংলালিংক-এর ডেটা গ্রাহক বৃদ্ধিতে এটি বিশেষ অবদান রেখেছে।

বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অস বলেন, উদ্ভাবন, বিশ্বাস ও মানসম্মত সেবা প্রদানের কারণেই বাংলালিংক দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পেরেছে। গ্রাহকদের অগ্রাধিকার দিয়ে, ডিজিটাল অপারেটর কৌশলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা খাতে আমরা আরও নতুন মাত্রা যোগ করতে চাই। দেশব্যাপী ব্যাপক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি সারা দেশে আমাদের কভারেজকে দ্বিগুণ করেছি। সবচেয়ে বেশি গতি ও মানসম্মত নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার মাধ্যমে মাইবিএল সুপার অ্যাপ, টফি ও বিপ-এর মতো উন্নত ডিজিটাল সেবাগুলির মান আরও বাড়াতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

;

ডিজিটাল মার্কেটিং ও সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছেন রায়হান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণরা দেশের সম্পদ। তবে অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে বেকারের খাতায় নাম লেখান। তারা সম্পদে রূপান্তর না হয়ে দেশের বোঝা হয়ে যান। এমন সংকটে ১৯ বছর বয়সেই ডিজিটাল মার্কেটিং করে সফল হওয়ার চেষ্টায় তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী মুশফিক আর. রায়হান।

প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষ যেভাবে অনলাইনের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে, তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে অনেক তরুণই ক্যরিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ এ ক্যারিয়ার একজন মানুষকে একদিকে যেমন প্রযুক্তিপ্রেমী করে তুলছে, অন্যদিকে জীবনকে করে তুলছে স্বাচ্ছন্দ্যময়।

এমনই এক তরুণ উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল বিপণনকারী মুশফিক আর. রায়হান। নিজের নামেই একটি ফেসবুক পেজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন এ তরুণ। দেখতে দেখতে দীর্ঘ পথচলায় এখন তিনি বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচিত।

বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন মুশফিক আর. রায়হান। তিনি বলেন, ‘দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এ সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।’

তার মতে, ‘এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ-কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার। কী ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে মানুষ, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

;

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক

  • Font increase
  • Font Decrease

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এটাকে আমরা চলমান রাখতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য ভিশন-২০৪১ ঘোষণা করেছেন, এবং যুক্তরাজ্য সরকার ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজি ঘোষণা করেছে।

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকায় আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে যুক্তরাজ্যের হাই-কমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন ।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ রয়েছে। সেগুলো হলো- স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট সিটিজেন, এবং স্মার্ট সোসাইটি। স্মার্ট সোসাইটির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুই দেশের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তঃবাণিজ্য, আন্তঃবিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি ইনোভেশন, সাইবার সিকিউরিটি ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে দেশের তরুণ প্রজন্মের ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ কমিউনিকেটিং স্কিল বাড়ানোর জন্য আলোচনা হয়েছে। যাতে করে আমাদের ফ্রিল্যান্সার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা লাভবান হতে পারে। অতীতের মতো আগামীদিনেও আমরা এই জায়গাতে কাজ করতে চাই।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে মিলে আইটি সেক্টরের বিজনেস বাড়ানো, সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা এবং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে। এছাড়াও অন্যান্য অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আলোচনা অব্যাহত রাখবো এবং ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে কাজ করবে।

;

উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করলো পটুয়াখালী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) এর উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করলো পটুয়াখালী।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক পটুয়াখালী টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবন থেকে জীবন সেবার উদ্বোধন করেন।

এসময় পটুয়াখালী বিটিসিএল কর্মকর্তাকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে জুনের মধ্যে ৩ হাজার সংযোগের নির্দেশ দেন তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

উদ্বোধন শেষে প্রতিমন্ত্রী বিটিসিএল কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জনসাধারণকে "জীবন" সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। জুনের ৩০ এর মধ্যে যদি লাভজনকে না যাইতে পারেন তখন কিন্তু আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবো তখন আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে কি না সন্দেহ আছে। বসে বসে বাবুগিরি চলবে না কাজ করে খাইতে হবে। সরকারের এ অবস্থা নাই যে শত শত হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিবো। তিনি আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে কোনো কিছুই অসম্ভব না। আপনিও ৫ মাসের মধ্যে ৩ হাজার সংযোগ দিতে পারবেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেধাবী ও সাহসী পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।প্যাসিভ অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক জীবন হবে বিটিসিএল এর লাইফ লাইন। ভবিষ্যতে বিটিসিএলকে বাঁচিয়ে রাখা, সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং লাভজনক কোম্পানিতে পরিণত করতে জীবন ফলপ্রসূ অবদান রাখবে।

এর আগে তিনি বিকেলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার ভূরিয়া শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ কাজ অগ্রগতি পরিদর্শন করেন ও সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন করেন।

;