খুলনা-৬: আ.লীগ-বিএনপিতে একাধিক প্রার্থী



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খুলনা-৬ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

খুলনা-৬ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপকূলীয় অঞ্চল কয়রা উপজেলা ও পাইকগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ আসন। জাতীয় সংসদের ১০৪ নং আসন এটি। সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষরা বিভিন্নভাবে বনের উপরে নির্ভরশীল।

ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলার ক্ষত বয়ে বেড়ানো উপকূলীয় এ অঞ্চলটিতে অধিকাংশ জনসাধারণই দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। এছাড়া অব্যাহত নদী ভাঙনে দিশেহারা খুলনার এ অঞ্চলের মানুষ। কখনো শাকবাড়িয়া আবার কখনো কপোতাক্ষের ভাঙনে প্রতিনিয়তই চরম আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটায় গ্রামবাসী। বিশেষত কয়রা উপজেলার ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধগুলো মেরামতের দাবি রয়েছে বহুদিন ধরে। বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও কার্যত দীর্ঘমেয়াদী কোনো সুফল বয়ে আনতে পারেনি কেউই। এসব কারণেই সাধারণ মানুষের নির্বাচন ভাবনায় উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানে যোগ্য প্রার্থীর বিষয়টিই প্রাধান্য পাচ্ছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বয়ে চলেছে দেশের সর্ব দক্ষিণের উপকূলীয় এ অঞ্চলটিতে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা দলীয় নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন নিয়মিত। সভা-সমাবেশে যোগ দেবার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন অনেকে।

সমগ্র নির্বাচনী এলাকায় প্যানা, ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে জানান দিচ্ছে নির্বাচন সমাগত। প্রার্থীদের আনাগোনা আর তৎপরতা এলাকায় এনে দিয়েছে নির্বাচনী আমেজ। এখন পর্যন্ত এ আসনে জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের একক প্রার্থী থাকলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে রয়েছে প্রার্থীর ছড়াছড়ি। বড় দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা-অভিজ্ঞতা না থাকলেও মূলত নির্বাচনকে উপলক্ষ্য করে নিজ দলীয় প্রতিপক্ষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা আদায়ের জন্য এ প্রার্থীজট হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে আগামী নির্বাচন জোটগতভাবে হবে, নাকি জোট ছাড়াই হবে- তা নিয়ে এলাকার তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে রয়েছে নানামুখী আলোচনা।

খুলনা-৬ আসনের নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, এ আসনে বিগত সব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। যার অধিকাংশ সময়ই আসনটিতে জিতেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বর্তমানেও এ আসনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট ও তৃণমূলের প্রার্থী মিলিয়ে অনেকের আনাগোনা।

অপরদিকে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতের কোনো কার্যক্রম প্রকাশিত না হওয়ায় নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দিচ্ছে বিএনপি। তবে তাদেরও একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছে বলে জানা গেছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসন থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেকেই। তাদের ভেতরে প্রথম সারিতে যারা এগিয়ে আছেন তারা হলেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাড. শেখ মো. নুরুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. সোহরাব আলী সানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মণ্ডল।

অপরদিকে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভেতরে যারা এগিয়ে আছেন তারা হলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শফিকুল আলম মনা, কয়রা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মন্টু, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. আব্দুল মজিদ।

দশম জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মনোনয়নে এ আসন থেকে নির্বাচনের আশা প্রকাশ করেছেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু। তিনি মহাজোটের মনোনয়ন প্রাপ্তির আশায় দুটি উপজেলায় নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন।

এছাড়া চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হয়ে এ আসন থেকে নির্বাচনের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন জেলা সভাপতি মাওলানা গাজী নূর আহমেদ। তিনি নিয়মিত দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হওয়ার আগে থেকেই এ দলের প্রার্থী ‘মহানগর জামায়াতের’ আমির মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বিভিন্নভাবে তার প্রার্থিতার জানান দিয়েছেন। ২০ দলীয় জোটের সিদ্ধান্তে এ আসনটি জামায়াতকে দেবার কথা শোনা যায়। জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস অসুস্থ রয়েছেন। তাই দলীয়ভাবে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী।


নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, খুলনা-৬ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫০ হাজার ৪০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৮১ হাজার একশ ৭৩ জন ও নারী ভোটার এক লাখ ৬৯ হাজার ২২৩ জন।

উল্লেখ্য, কয়রা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও পাইকগাছা উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন অ্যাড. স ম বাবর আলী, ১৯৭৯ সালে বিএনপির অ্যাড. শেখ রাজ্জাক আলী, ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির মমিন উদ্দীন আহমেদ, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির সরদার জহুরুল হক, ১৯৯১ সালে জামায়াতের অধ্যক্ষ শাহ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির অ্যাড. শেখ রাজ্জাক আলী, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন আওয়ামী লীগের অ্যাড. শেখ মো. নুরুল হক, ২০০১ সালে জামায়াতের অধ্যক্ষ শাহ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের অ্যাড. মো. সোহরাব আলী সানা, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের অ্যাড. শেখ মো. নুরুল হক। টানা ২ বার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় এ আসনে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। যে কারণে আওয়ামী লীগের জনসমর্থনও বেড়েছে। তবে দলের একাধিক প্রার্থী থাকায় আগামী নির্বাচনে আসনটি ধরে রাখা দলটির জন্য চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি জোটগতভাবে হয় তাহলে জোট-মহাজোটের প্রার্থী যারা হবেন মূল লড়াই হবে তাদের মধ্যে। আর যদি জোটগত ভাবে নির্বাচন না হয় তাহলে কোন দলের প্রার্থী কে হচ্ছেন তা নিয়েও আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

   

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সাথে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এই কথা বলেন।

সিইসি কাজী কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোন মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। 

সভায় দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত আছেন। পুলিশপ্রধান সহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: রাজশাহীর তিন উপজেলায় বৈধ ৩১ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া, দূর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোট ৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতার ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিটার্নিং অফিসার কল্যাণ চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের মূল প্রচারণা শুরু হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে নির্বাচনী সভা এবং প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সকল প্রার্থীদের যথাযথভাবে মানতে অনুরোধ জানান।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ২৩ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪-২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিলের মধ্যে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। প্রচার শেষে আগামী ২১ মে হবে ভোটগ্রহণ।

এসময় জানানো হয়, এই তিনটি উপজেলায় ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৩১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হলেন- দূর্গাপুর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মো. শরিফুজ্জামান, মো. আব্দুল মজিদ; পুঠিয়া উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান জি.এম হিরা বাচ্চু, মো. মখলেসুর রহমান, মো. আব্দুস সামাদ, মো. আহসান উল হক মাসুদ; বাগমারা উপজেলার মো. জাকিরুল ইসলাম, মো. আ. রাজ্জাক সরকার, মোহা. নাছিমা আক্তার।

এসময় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হন- দূর্গাপুর উপজেলা মো. আ. কাদের মন্ডল, মো. হাসেম আলী, মো. আ. মোতালেব, মো. শামীম ফিরোজ, মো. মোসাব্বের সরকার জিন্নাহ, মো. আব্দুল হক; পুঠিয়া উপজেলার মো. ফজলে রাব্বি মুরাদ, মো. আব্দুল মতিন মুকুল, মো. জামাল উদ্দিন বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান; বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম, মোছা. বানেছা বেগম, মোসা. সারমিন আহম্মেদ, মোসা. কহিনুর বেগম; পুঠিয়া উপজেলার মৌসুমী রহমান, মোছা. পরিজান বেগম, মোছা. শাবনাজ আক্তার; বাগমারা উপজেলার মোছা. শাহিনুর খাতুন, কহিনুর বানু, খন্দকার শাহিদা আলম, মোছা. মমতাজ আক্তার বেবী।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পর্কে দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তারা বৈধতা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসন চুল ছেঁড়া যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া বিনতে আফজাল, উপজেলা নির্বাচন অফিসার দূর্গাপুর মো. জয়নুল আবেদীন, রাজশাহী জেলার ডিএসবি মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।

;

কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিসের সভাকক্ষে কুষ্টিয়া সদর ও খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ২৩ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আবু আনসার উপস্থিত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং খোকসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা মঙ্গলবার থেকে প্রচারণায় নেমে পড়েন। আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর শূন্য আসনে আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভায় শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এই তথ্য জানান।

সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাপূর্বক ইসি সচিব বলেন, উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

;