জিতবেন যারা জেলে তারা দাবি বিএনপির



মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আঁটসাঁট বেঁধে নির্বাচনের মাঠে নেমেছে বিএনপি। এরপর টানা ৫ দিন মনোনয়ন ফরম বিক্রি শেষে চলছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার। তবে মনোনয়ন সংগ্রহকারী বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থীদের বিশাল একটি অংশ কারাগারে। তাদের পক্ষে পরিবারের সদস্যরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এসব প্রার্থীদের নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ বলে মনে করে বিএনপি। তাই নির্বাচনের মাঠে এসব প্রার্থীদের অনুপস্থিতি তীব্রভাবে অনুভব করছে দলটি।

সম্প্রতি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, ‘সরকার বিএনপির ভালো প্রার্থীদের জামিন না দেয়ার নতুন কৌশল নিয়েছে।’

বার্তা২৪.কমের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দলটির উইনেবল প্রার্থীদের অধিকাংশই কারাগারে রয়েছে। এসব আসামিদের মধ্যে অনেকেই যাবজ্জীবনসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিও রয়েছে। এর ফলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কিনা এ নিয়েও শঙ্কা রয়েছে।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন, ‘দলে অন্তত ৫০ জনেরও অধিক নেতা রয়েছে যারা নির্বাচনে জয়লাভের যোগ্যতা রাখে। তাদের আটকে রাখা জামিন না দেয়া সরকারের অপকৌশল।’

তাদের তালিকা নিম্নরুপ-

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (ফেনী- ১, বগুড়া- ৬ ও ৭), ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম পিন্টু (মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত) (টাঙ্গাইল-২), চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী (কুমিল্লা-৬ ও ১০), চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু (বগুড়া- ৭), যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল (ঢাকা- ৮), যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৪), শিশু বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিক (টাঙ্গাইল-৮), গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক ও গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আনিসুজ্জামান খান বাবু (গাইবান্ধা-২), নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া (কুমিল্লা-১০)।

সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন (হবিগঞ্জ-২), চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম (চট্টগ্রাম-১), বরিশাল বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু (ঝালকাঠি-২),

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন(চট্টগ্রাম -৯), চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর(চট্টগ্রাম- ৯)।

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু (টাঙ্গাইল- ৫), যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান(ঢাকা- ১৫), ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কারাবন্দি ইসহাক সরকার (ঢাকা- ৭), চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস পাবনা (সদর-৫)। আরও অনেকে।

১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকে গণভবনে সংলাপ চলাকালে গায়েবি মামলা দেয়ার অভিযোগ করা হলে প্রধানমন্ত্রী মামলার তালিকা দিতে বলেন। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেও আশ্বাস দেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় দফা সংলাপে ৭ নভেম্বর ১ হাজার ৪৬ টি গায়েবি মামলার আংশিক তালিকা দেয় বিএনপি। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় ১৩ নভেম্বর ১ হাজার ২ টি গায়েবি মামলার তালিকা প্রধানমন্ত্রী বরাবর জামা দেয় বিএনপি।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে থেকে আশ্বাস ও নির্বাচন কমিশনের গ্রেফতার না করতে নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি চলমান রয়েছে বলে অভিযোগ দলটির।

সবশেষ ১৮ নভেম্বর ৪৪২৯ টি মামলার তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে বিএনপি। এসব মামলাকে গায়েবি মামলা বলছে দলটি। এবং এ মামলা দেয়া হয়েছে চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বর ২০১৮ তারিখের মধ্যে। যেখানে জ্ঞাত ও অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭৫ জন। এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১০ হাজার ৫১৩ জনকে এবং রিমান্ডে নেয়া হয়েছে ৫১৭ জনকে। এছাড়া ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পরযন্ত ৯০ হাজার ৩৪০ টি মামলায় ২৫ লাখ ৭০ হাজার ৯২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ তালিকাও সংযুক্ত করা হয়েছে ইসিতে পাঠানো চিঠিতে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের অনেক নেতা বিভিন্ন জেলা কারাগারে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং কাশিমপুর কারাগারে রয়েছে। তাদের যদি মুক্তি না দেয়া হয়, তাহলে কিভাবে নির্বাচন করবো।

ইতোমধ্যে কারাবন্দি নেতারা নিজেদের লোকজন নেতাকর্মী দিয়ে মনোনয়ন পত্র কিনেছেন। দলের এই প্রচার সম্পাদক বলেন, এটা তো একটা সমস্যা। কার ট্যাক্স ফাইল কোথায় আছে, মামলা কোথায় আছে, ব্যাংক একাউন্টের ব্যাপারসহ অনেক কিছুই নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত। সুতরাং এই সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের পথে এটা বড় বাধা।

ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের নামের তালিকা জমা দিয়েছি, নির্বাচন কমিশন চাইলে এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে পারে বলেও আশাবাদ করেন তিনি।

   

টাঙ্গাইলে ভোট কেন্দ্রে ভিমরুলের আক্রমণ, আহত ৩৫



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলে ভোট কেন্দ্রে ভিমরুলের আক্রমণ, আহত ৩৫

টাঙ্গাইলে ভোট কেন্দ্রে ভিমরুলের আক্রমণ, আহত ৩৫

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার একটি ভোটকেন্দ্রে দফায় দফায় ভীমরুলের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েন কেন্দ্রে উপস্থিত ভোটার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ আশপাশের এলাকার মানুষ। এ সময় ভীমরুলের আক্রমণে নারী-পুরুষসহ প্রায় ৩৫ জন আহত হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে দুই দফায় উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়নের মুশুদ্দি দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রথম দফায় দুপুর ১টার দিকে মুশুদ্দি দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের দক্ষিণ দিক থেকে একঝাঁক ভিমরুল কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা নারী-পুরুষসহ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের আক্রমণ করে। হঠাৎ এমন আক্রমণে সবাই দিশেহারা হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটতে থাকে। মুহূর্তে ভোটকেন্দ্র ফাঁকা হয়ে যায়। অনেকেই খড় জ্বালিয়ে ধোঁয়া তৈরি করে আত্মরক্ষা করেন। প্রায় ২০ মিনিট পর ভীমরুলের ঝাঁক অন্যত্র চলে গেলে আহতদের উদ্ধার করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, দ্বিতীয় দফায় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ভীমরুলের ঝাঁক ভোটকেন্দ্রে আক্রমণ চালায়। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন।

ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশের এসআই (নিরস্ত্র) আবু তাহের জানান,‌ ভীমরুলের আক্রমণে ৪ পুলিশ সদস্য ও ২ জন আনসার সদস্য আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন পুলিশ সদস্যদের অবস্থা বেশ খারাপ হলেও তারা দায়িত্ব পালন করেছেন।

মুশুদ্দি দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার মামুন সরকার জানান, ভীমরুলের আক্রমণে তার কেন্দ্রে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে পুলিশের ৪ জন, আনসার সদস্য ২ জন ও স্থানীয় ২ জন‌ শিশুসহ ১৭ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ছানোয়ার ও ছলিমুল্লাহ নামে দুজনের অবস্থা গুরুতর। এই দুজনসহ মোট ১০ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সাময়িকভাবে ভোটকেন্দ্রে কিছুটা অসুবিধা হলেও কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তারা হলেন- বর্তমান চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ হীরা (ঘোড়া), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন (দোয়াত-কলম), সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ তালুকদার সবুজ (মোটরসাইকেল), কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনি (আনারস) এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম (হেলিকাপ্টার)।

মুশুদ্দি দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৫৩টি। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ হাজার ৪৩ জন ও পুরুষ ভোটার ১ হাজার ১০ জন।

;

লক্ষ্মীপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৮



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের মধ্য চর আফজল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিকেলে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে দোয়াত কলম ও কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দোয়াত-কলম প্রতীকের শতাধিক কর্মী হঠাৎ করে ইটপাটকেল ও রকেট ল্যন্সার নিক্ষেপ করতে করতে পশ্চিম দিক থেকে স্থানীয় হাজিরহাট বাজারের দিকে যায়। হঠাৎ ইটপাটকেল ও রকেট ল্যান্সার আক্রমণের শিকার হয়ে কাপ-পিরিচ প্রতীকের কর্মীরা দিক বিদিক ছুটতে থাকে। এসময় দুই-পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৮ কর্মী আহত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, কেন্দ্রের ভেতর পুলিশ আনসার থাকলেও কেন্দ্রের বাহিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না থাকার সুযোগ নেয় দুষ্কৃতিকারীরা।

তবে খবর পেয়ে কিছু সময় পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে উভয়পক্ষের সংঘর্ষকারীরা গা ঢাকা দেয়।

মধ্য চর আফজল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. সাঈদুর রহমান বলেন, কেন্দ্রের বাহিরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ জন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। বর্তমানে কেন্দ্রের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

;

সিল মারা ব্যালটের সঙ্গে ছবি ফেসবুকে দিলেন আ.লীগ নেতা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ব্যালটের সঙ্গে সেলফি তুলে ফেসবুকে দিলেন আ.লীগ নেতা

ব্যালটের সঙ্গে সেলফি তুলে ফেসবুকে দিলেন আ.লীগ নেতা

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে সিল মারা ব্যালটের সঙ্গে ছবি তুলেছেন মো. মানিক নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট করেছেন।

বুধবার (৮ মে) দুপুরের দিকে ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর বন্দর খড়িবাড়ি স্পেশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।

মানিক খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সেচ্ছাসেবক লীগ ডিমলা উপজেলা শাখার সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা মানিক মোবাইল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এরপর ব্যালট নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যান। সেখানে ব্যালটে সিল মেরে সেখানেই সিল মারা ব্যালটের ছবি তার ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট করেন।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মো. মানিক বলেন, ভোট ও ফেসবুক আইডি আমার ব্যক্তিগত। আমার নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ফেসবুকে দিয়েছি। এটা তো অন্যায়ের কিছু দেখছি না।

ডিমলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুভ কুমার সরকার বলেন, ভোটকেন্দ্রের গোপন বুথে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ছবি তোলা বেআইনি। কোনো ভোটার যাতে ভোটকেন্দ্র মোবাইল ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য সেখানে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এরপর ওই ব্যক্তি কীভাবে ব্যবহার করেছে তা জানা নেই।

;

সরাইল উপজেলা নির্বাচনে দুই পোলিং এজেন্টসহ চারজনকে কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই পোলিং এজেন্টসহ চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (৮ মে) সরাইল উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্রে তাদের আটক করে এই সাজা দেয়া হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম শেখ জানান, গোপন কক্ষে গিয়ে অন্যের ব্যালট পেপারে সিল মারার সময় কাপ-পিরিচ প্রতীকের পোলিং এজেন্ট শাকির মিয়া (৩৯) হাতেনাতে আটক হন। পরে তাকে ১৫ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই কেন্দ্রে তালা প্রতীকের পোলিং এজেন্ট মো. হৃদয় মিয়াকে (২৮) ভোটারদের প্ররোচিত করার সময় তাকে ১০ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

এছাড়া ভোট কেন্দ্রের ৪০০ গজের মধ্যে ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য অন্যায়ভাবে প্ররোচিত করার সময় হাতেনাতে মো. রাকিব হোসেন (২৪) নামের একজনকে সাতদিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

পাশাপাশি সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অবৈধভাবে জাল ভোট দেওয়ার সময় হাতেনাতে একজনকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি তামিম মিয়াকে (২৬) দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৭১-চ ধারায় ১৫ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। কারাদণ্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নবীনগর ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম। 

;