চট্টগ্রামের জোট-ফ্রন্টের প্রার্থীদের কপালে ভাঁজ



আবদুস সাত্তার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের চরম টেনশনের দিন যাচ্ছে। টেনশনে রয়েছেন ফ্রন্ট ও জোটের প্রার্থীরাও। জানা গেছে, সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার পর্ব শেষে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। মঙ্গলবার চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদেরও সাক্ষাৎকার শেষ হয়েছে। কারা পাচ্ছেন মনোনয়ন- এ চিন্তায় ঘুম নেই বড় দুই দলের নেতাদের। সেই সাথে চলছে জোট, মহাজোট বা ফ্রন্টের হিসাব নিকাশ।

চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে আওয়ামী লীগের ২২৫ জন ও বিএনপির ১০৮ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে তা জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা যেমন চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন তেমনি মহাজোটের অংশীদার জাতীয় পার্টি ছাড়াও এ পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের শরিক দল বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টও ঐ সব আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছে।

বিগত নির্বাচনে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ জোটের শরিকদের যে চারটি আসন ছেড়ে দেয় সেগুলো হল- চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী), চট্টগ্রাম ৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) ও চট্টগ্রাম ৯ (কোতোয়ালি)।

হাটহাজারী আসনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চান্দগাঁও-বোয়ালখালী আসনে জাসদের কার্যকরী সভাপতি মাঈনউদ্দিন খান বাদল ও কোতোয়ালি আসনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি থেকে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজিবুল বশর ভাণ্ডারী নির্বাচিত হন। এবারও চারটি আসন তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে নাকি রদবদল হবে- তা নিয়ে বেশ জল্পনা-কল্পনা চলছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ চার আসনের মধ্যে দুটি আসন ফটিকছড়ি ও চান্দগাঁও-বোয়ালখালী নিয়ে বেশ অসন্তোষ রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের। নজিবুল বশর ভাণ্ডারী জোটের টিকিটে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে এমপি হলেও নৌকার কর্মীরা এ আসনে সবচেয়ে বেশি অবজ্ঞা-অবহেলার শিকার হয়েছেন। তৃণমূল থেকে উচ্চপর্যায় পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা চান না এ আসনটি আবারও তাকে ছেড়ে দেওয়া হোক।

আসনটি ভান্ডারীকে দেওয়া হলে আওয়ামী লীগের মুল অংশের কাজ করা নিয়ে দ্বিধা বিভক্ত রয়েছে। কারণ ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগ দুই গ্রুপে বিভক্ত দীর্ঘদিন থেকেই।

এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী বার্তা২৪কে বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার। সেটি না হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করা মশকিল হয়ে যাবে।’

অপর দিকে নৌকার টিকিট নিয়ে মইন উদ্দিন খান বাদলও এলাকায় তেমন উন্নয়ন করতে পারেননি। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরাও চান না এই জাসদ নেতাকে। কারণ তিনি বর্তমানে শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাছাড়া তার দলও ভেঙে গেছে। পক্ষান্তরে এ আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করবেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম. মোরশেদ খান।

বাঁশখালী আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছাড়ার সম্ভাবনা আছে। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী এ আসন থেকে নির্বাচন করতে চান। আওয়ামী লীগ থেকে বর্তমান এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর পাশাপাশি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মুজিবুর রহমানও মনোনয়নপ্রত্যাশী। তাই তাদের মধ্যেও টেনশনের সীমা নেই।

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব এমএ মতিন চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া ও চট্টগ্রাম-১৩ আনোয়ারা আসনে প্রার্থী হতে চান। জোটের পক্ষ থেকেও তাকে এ দুটি আসনের যে কোনো একটিতে মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বার্তা২৪কে বলেন, ‘দলীয় হোক জোটের হোক নেত্রী যাকে নৌকা দেয়, মহানগর আওয়ামী লীগ তাঁর পক্ষে কাজ করবে। এখানে বিদ্রোহী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

এদিকে ১০ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকায় চট্টগ্রামে বিএনপির বেহাল অবস্থা। নির্বাচনে অংশ নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চান দলটির নেতারা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্ষমতায় যাওয়ার বিষয়ে এখনই সিরিয়াস নয় দলটির নেতাকর্মীরা। তারা চান আগে পার্লামেন্টে যেতে। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছেন তারা। বিএনপির কাছে চট্টগ্রামে অন্তত ছয়টি আসন চায় শরিকরা।

কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) দুটি, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি ও জামায়াতে ইসলামী তিনটি আসন দাবি করছে। জামায়াতের নিবন্ধন না থাকলেও এ দলের প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীকেই নির্বাচন করবেন।

কল্যাণ পার্টি হাটহাজারী আসন, এলডিপি চন্দনাইশ ও রাঙ্গুনিয়া আসন এবং জামায়াতে ইসলামী নগরীর বন্দর-পতেঙ্গা, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া ও বাঁশখালী আসন দাবি করছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কার ভাগে ক’টি আসন জুটবে সেই টেনশনেই দিন কাটছে তাদের।

মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী বার্তা২৪কে বলেন, ‘বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীরা অবশ্যই মনোনয়ন পাবে। এর বাইরে শরিকদের মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে যে আসন থেকে শরীকরা জিতবেন বলে মনে করেন, সে আসনে শরীকদের দেওয়া হবে।’

   

উপজেলা ভোট: তৃতীয় ধাপে ১৫৮৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় এক হাজার ৫৮৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন ইসি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, চেয়াম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এমধ্যে পাঁচজন রয়েছেন একক প্রার্থী। চট্টগ্রামের চান্দনাইশে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, যশোরের অভয়নগরে ভাইস চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জের ছাতক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রয়েছে। এসব প্রার্থী বাছাইয়ে টিকলে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে পারেন।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে। আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন

গৌরনদীতে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর একসঙ্গে প্রচারণার অনন্য দৃষ্টান্ত



স্টাফ রিপোর্টার, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলা পরিষদের তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী একসঙ্গে গণসংযোগ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।

ওই প্রার্থীদের দাবি, ভোটাররা যাকে যোগ্য মনে করবেন, তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। গৌরনদীকে ‘দানব মুক্ত’ করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য বলেও জানান তারা।

প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রার্থী সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান এবং পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দিনভর উপজেলার বাটাজোর ও মাহিলাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এ প্রচারণার সময় বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার, মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সান্টুসহ ওই তিন প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ওই তিনজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সমর্থিত সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারিছুর রহমান।

গৌরনদীতে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

বৃহস্পতিবার দুপুরে সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান জানান, চেয়ারম্যান হিসেবে চারজন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন-সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, মো. হাবিবুর রহমান, মো. মনির হোসেন মিয়া ও মো. হারিছুর রহমান।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সী, জামাল হোসেন গোমস্তা ও কাজী মোস্তাফিজুর রহমান রনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়াও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট সাহিদা আক্তার, শিপ্রা রানী ও আইরিন আক্তার শিল্পী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

আগৈলঝাড়ায় ১৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বাসুদেব সরকার জানান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে রফিকুল ইসলাম তালুকদার, মো. জসীম উদ্দিন সরদার, ফরহাদ তালুকদার, সবুজ আকন, সাহাবুদ্দিন মোল্লা, সঞ্জয় বাড়ৈ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এছাড়া নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়পত্র দাখিল করেছেন মলিনা রানী রায়, হাফিজা ইয়াসমিন, পবিত্র রানী রায়, মনিকা সরকার ও রিপা বেগম।

তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদে ২৯ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব উপজেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে বা অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৫ মে এবং প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৩ মে। প্রচার পর্ব শেষে ২৯ মে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।

;

১৪৮ উপজেলায় ভোট পর্যবেক্ষণে থাকবেন ৫ হাজার পর্যবেক্ষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৪৮ উপজেলায় কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন কমিশনের ২৮টি নিবন্ধিত সংস্থা থেকে ২৬৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৪ হাজার ৬৯২ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে প্রায় ৫ হাজার জন পর্যবেক্ষক প্রথম ধাপের উপজেলা ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) মো.শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ ও সংশ্লিষ্ট আইন মেনে এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থার কেন্দ্রীয়ভাবে ২৬৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৪ হাজার ৬৯২ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড নির্বাচন কমিশন সচিবালয় হতে প্রদান করা হবে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড ও স্টিকার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় হতে প্রদান করতে হবে।

স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রে যে নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে-

রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে স্থানীয় পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থাকে পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার সরবরাহ করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন হতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রত্যেক পর্যবেক্ষকের জন্য EO-2 ফরম, EO-3 ফরম, এসএসসি সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজ রঙিন ছবিসহ একটি আবেদন রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট জমা দিবে।

রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসার এসকল তথ্য পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে কমিশন থেকে অনুমোদিত বৈধ পর্যবেক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত করবেন এবং তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পরিচয়পত্র প্রদান করবেন।

কোন পর্যবেক্ষক যদি কোন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কিংবা স্থানীয় কমিটির পদাধিকারী হন কিংবা স্থানীয় নির্বাচনি এজেন্ট/প্রচারণা কমিটি/পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তাহলে তাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে কোন কার্ড ইস্যু করা যাবে না।

পর্যবেক্ষকগণ অনধিক ৫ জনের টিম করে ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এজন্য তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা গাড়ির স্টিকার সরবরাহ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা স্টিকারযুক্ত গাড়িতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক ছাড়া অন্য কেউ ভ্রমণ করতে পারবেন না। নির্ধারিত পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার ইস্যু করে তা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং তা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেরণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পর্যবেক্ষক পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার নির্বাচনি মালামাল সংগ্রহের সময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা রুম নং-১০৫ হতে সংগ্রহ করতে হবে।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

 

;

উপজেলা ভোট: চাঁদপুরের মতলব থানার ওসি বদলির নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোট: চাঁদপুরের মতলব থানার ওসি বদলির নির্দেশ

উপজেলা ভোট: চাঁদপুরের মতলব থানার ওসি বদলির নির্দেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ পর্যায়ে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য চাঁদপুরের মতলব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলির নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসির সিনিয়র সহকারি সচিব মোহাম্মদ শাহজালাল নির্দেশনাটি মহাপুলিশ পরিদর্শককে পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ হোসেন এবং সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ আবু হানিফকে প্রত্যাহার করে তদস্থলে উপযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা পদায়নের জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

বর্ণিতাবস্থায়, উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।

;