বগুড়া-৪ আসনে ধানের শীষ নিয়ে ধূম্রজাল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বগুড়া-৪ আসনে ধানের শীষ নিয়ে ধূম্রজাল। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া-৪ আসনে ধানের শীষ নিয়ে ধূম্রজাল। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে কে পাচ্ছেন ধানের শীষ তা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে এই আসনে বিএনপি থেকে দুইজনের নামে মনোনয়ন দেয়া হয়। হঠাৎ গভীর রাত থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামকেও মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলে দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারণা চালানো হয়।

অপরদিকে জামায়াতের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে এই আসনটি তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এই নির্বাচনী এলাকার তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা হিসাব মেলাতে পারছে না।

এদিকে বগুড়া-৪ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার আশায় গত ১০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন দলের নেতা মোশারফ হোসেন। গত ১০ বছরে তিনি নেতাকর্মীদের মামলা দেখাশোনা করা ছাড়াও বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন সাধারণ ভোটারদের। নিবাচনী কাজ করতে গিয়ে তিনি হামলারও শিকার হয়েছেন। আর এসব কারণেই এই আসনটিতে সোমবার বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেনকে মনোনয়নের চিঠি দেয়া হয়।

পাশাপাশি তার বিকল্প হিসেবে চিঠি দেয়া হয় সংস্কারপন্থী সাবেক এমপি ডা. জিয়াউল হক মোল্লাকে। মোশারফ নাকি মোল্লা এই নিয়ে যখন সর্বত্র আলোচনা তুঙ্গে, ঠিক সেই সময় গভীর রাতে ফেসবুকে নিজের পক্ষে মনোনয়ন প্রাপ্তির বার্তা নিয়ে হাজির হন জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম। এমন ধূম্রজালে নতুন করে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয় নেতাকর্মীদের মধ্যে।

যদিও ভিপি সাইফুল এ বিষয়টি নিয়ে নিজে মুখ খুলছেন না। মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) সারদিন তিনি সংবাদকর্মীদের ফোন রিসিভ করেননি।

তবে জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল জানান, সোমবার রাতে বগুড়া-৪ আসনে ভিসি সাইফুলকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

এদিকে বিএনপি জোটের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত যে ২৪টি আসন ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হচ্ছে সেই তালিকায় বগুড়া-৪ বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে। জামায়াত দাবি করছে, এই আসনটি তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ কারণে কাহালু উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মাও. তায়েব আলী নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

মাও. তায়েব আলী জানান, অনেক আগে থেকেই বিএনপির সঙ্গে এই আসন নিয়ে আলোচনা চলছিল। এবার জামায়াতকে ছেড়ে দেয়া হবে বলে তিনিও শুনেছেন। তবে চূড়ান্ত হলে তিনি ধানের শীষ পাবেন বলে মন্তব্য করেন।

এছাড়া বগুড়া-৬ (সদর) এবং বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে ইতোমধ্যেই খালেদা জিয়া ছাড়াও বিকল্প হিসেবে আরও দুজন করে নাম ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্র থেকে। এই দুই আসন নিয়ে আগে থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীদের তেমন মাথা ব্যাথা নেই।

তবে মনোনয়ন বিতরণের পর বগুড়া-৪ আসন নিয়ে নির্বাচনী এলাকা ছাড়াও শহরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এ আসনে কে পাচ্ছেন ধানের শীষ এটাই আলোচনার মুখ্য বিষয়।

   

উপজেলা নির্বাচন: দৌলতপুরের ওসিকে প্রত্যাহার, দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে তলব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে উপযুক্ত কর্মকর্তা পদায়নে সম্মতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সাথে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের মতো অভিযোগে দুই উপজেলা প্রার্থীকে তলব করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।  

শুক্রবার (২৪ মে) ইসির উপসচিব মো. মিজানুর রহমান ও নির্বাচন শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান এই তথ্য জানিয়েছে। 

ইসি জানায়, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এনামুল হোসাইনের বিরুদ্ধে আচরণ লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠায় তার প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না সে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে ইসি। এক্ষেত্রে আগামী ২৭ মে সকাল সাড়ে দশটায় ইসিতে উপস্থিত ব্যাখ্যা দিতে হবে তাকে।

অন্যদিকে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমেদ চৌধুরীকেও আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কারণে ব্যাখ্যা তলব করেছে ইসি। তাকে আগামী ২৬ মে বেলা ১১টায় ব্যাখ্যা দিতে আসতে হবে। 

;

যশোর সদর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোর সদর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে ) ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বিষয়টি জানিয়েছে।

আতিয়ার রহমান জানান, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপে ২৯ মে অনুষ্ঠেয় যশোর জেলার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. শাহারুল ইসলাম হাইকোর্ট বিভাগে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার জন্য রিট পিটিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট বিভাগ ১৩ মে আদেশে মো. শাহারুল ইসলামকে নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ তার অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দের জন্য আদেশ প্রদান করেন।

পরবর্তীতে হাইকোর্টের উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন মাননীয় আপিল বিভাগে সিপিএলএ নং ১৭১৩/২২৪ দায়ের করলে ২০ মে ২০২৪ তারিখের আদেশে "No Order" প্রদান করা হয়।

এমতাবস্থায়, বাস্তবতার নিরীখে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগের উক্ত আদেশ বাস্তবায়নের নিমিত্ত পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠেয় যশোর জেলার যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের সকল পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সদয় সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রার্থিতা বাতিল কেন করা হবে না তা জানতে চেয়ে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমেদ চৌধুরীকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।

২৬ মে সকাল ১১ টায় এ প্রার্থীকে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলে ইসি।

তৃতীয় ধাপেও ২৯ মে এ উপজেলায় ভোটের কথা রয়েছে।

;

মঠবাড়ীয়ার রিয়াজের প্রার্থিতা বাতিল করল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

ইসি সচিব বলেন, রিয়াজ উদ্দিন প্রতীক বরাদ্দের দিন বড় ধরণের শোডাউন করেছেন। যেটি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। এ জন্য রিটার্নিং অফিসার তার কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছিলেন। তার ব্যাখ্যা পেয়ে সন্তুষ্ট না হয়ে রিটার্নিং অফিসার বিষয়টি কমিশনের দৃষ্টি গোচরে আনেন।

কমিশনের নির্দেশে আজ তিনি ও দুইজন আইনজীবীকে নিয়ে শুনানীতে অংশগ্রহণ করেছেন। শুনানিতে তিনি দোষ স্বীকার করে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে নির্বাচন কমিশন সর্বসম্মতিক্রমে তার আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনাটি একটি বড় ধরণের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে।

আগামী ২৯ মে এই উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

;

নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হলে দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না: রাশেদা সুলতানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থা গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি। নির্বাচনের ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেলে দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না এবং দেশের মানুষের জন্য কোনো মঙ্গল বয়ে আনবে না। সেই কথা বিবেচনা করেই নির্বাচন কমিশন সবগুলো নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছে। যাতে এই নির্বাচনগুলো সহিংসতা মুক্ত হয়। মানুষ যাতে ভোটকেন্দ্রে নির্বিঘ্নে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ১১টার দিকে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় বেগম রাশেদা সুলতানা এসব কথা বলেন।

বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলোও আমরা আরও ভালোভাবে সম্পন্ন করতে চাই। যাতে সাধারণ মানুষেরা বলতে পারে এই নির্বাচন কমিশন ভালো নির্বাচন করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যক্তিকে বিজয় করার লক্ষে কাজ করে না। প্রশাসনকেও সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। দেশে-বিদেশের সব জায়গায় যেন প্রশংসিত হয় বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে। নির্বাচন কমিশনের একটাই প্রত্যাশা নির্বাচন যেন কোনো ব্যত্যয় না ঘটে। কালিমা লিপ্ত না হয়

প্রার্থীদের উদ্দেশে রাশেদা সুলতানা বলেন, আচরণবিধি মেনে প্রার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। বিনা কারণে একজন আরেকজনের প্রতিপক্ষ হয়ে আক্রমণ করে কথা বলা যাবে না। ভোটার যাতে ভোটকেন্দ্রে আসে সেই পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। কোনো প্রার্থীর কোনো অভিযোগ থাকলে কমিশনকে জানালে সাথে সাথে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি

নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্টদের নিরপেক্ষতা বজায় রেখে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, দেশে সুন্দর নির্বাচন ব্যবস্থা যাতে বিরাজমান থাকে ও জোরদার হয় সেই চিন্তা করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মানুষ যেন বলে এই কমিশনের সময় নির্বাচন ব্যবস্থা কোনভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হয় নাই, ধ্বংস হয় নাই।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ইমতিয়াজ হোসেন, রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক, নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

;