মনোনয়ন বঞ্চিতদের জাপা ছাড়ার হিড়িক



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
জাতীয় পার্টির লোগো, ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির লোগো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের মনোনয়ন না পেয়ে অনেকেই জাতীয় পার্টির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলছেন, আবার অনেকে রয়েছেন পাইপ লাইনে। আবার কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই অবসরে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন।

এরই মধ্যে জাপার তিনজন মনোনয়ন প্রত্যাশী জাপাকে গুডবাই জানিয়েছেন। তাদেরই একজন গাইবান্ধা জেলা জাপার সভাপতি ও দলের নীতি নির্ধারণী পরিষদের সদস্য আব্দুর রশীদ সরকার। তিনি জাপার টিকেটে গাইবান্ধা থেকে দু’বার এমপি নির্বাচিত হন। তাকে মনোনয়ন না দিয়ে মহাজোটকে আসনটি ছেড়ে দেওয়ার খবরে জাপা ছেড়ে বিএনপির মনোনয়ন নিয়েছেন।

ফেনী-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী এরশাদের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক উপদেষ্টা রিন্টু আনোয়ার মনোনয়ন পাচ্ছেন জানতে পেরে অভিমানে জাপার সঙ্গে সম্পর্কু চুকিয়ে ফেলেছেন। আবার লালমনিরহাট জেলার মনোনয়ন প্রত্যাশী জাপার যুগ্ম-সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক রোকউদ্দিন বাবুল জাপা ছেড়ে বিএনপিতে ঠিকানা গড়েছেন। আরও অনেকে রয়েছেন দল ছাড়ার পাইপ লাইনে।

সামরিক শাসকের হাত ধরে প্রতিষ্ঠা পাওয়া জাতীয় পার্টি শুরু থেকেই এরশাদকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। দু’একবার যারাই এরশাদের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে গেছেন তাদেরকেই দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আবার অনেক নেতা একাধিক দফায় শোকজ ও সাময়িক বহিস্কারের শিকার হয়েছেন। শো’কজের ক্ষেত্রে এরশাদ ছাড় দেননি আপন ভাই জিএম কাদের ও স্ত্রী রওশন এরশাদকেও।

জাতীয় পার্টি নামে এখন ৪টি দল বিরাজমান। যারা দু’টি জোটে সমানভাবে ভাগ হয়ে রয়েছে। জাপা প্রথম ভাঙনের শিকার হয় ১৯৯০ সালে। ক্ষমতাচ্যুতির পর এরশাদ জেলে পৃথক জাপা গঠন করেন প্রয়াত কাজী জাফর আহমেদ।

এরপর ১৯৯৯ সালে মিজানুর রহমান চৌধুরী-আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নেতৃত্বে গঠন করা হয় পৃথক জাতীয় পার্টি (মিম)। এই ভাঙনটি ছিলো সবচেয়ে বড় ভাঙন। ওই সময়ে লাঙ্গল প্রতীক নিয়েও টানাহেচড়া চলে। বিষয়টি কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়।

এরপর কয়েক বছরের মাথায় বিএনপির সঙ্গে ৪ দলীয় জোট করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ২০০১ সালের নির্বাচনের পুর্বে হঠাৎ ইউটার্ন নিলে তৎকালীন মহাসচিব প্রয়াত নাজিউর রহমান মঞ্জু ও কাজী ফিরোজ রশীদের নেতৃত্বে আরেকবার ভাঙনের মুখে পড়ে জাপা। এবার সৃষ্টি হয় জাতীয় পার্টি (নাফি)। যেই দলটি এখনও জাতীয় পার্টি জেপি নামে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে রয়ে গেছে।

সর্বশেষ ভাঙনের শিকার হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত কাজী জাফর আহমেদের হাত ধরে। এবারও বেশকিছু প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ বের হয়ে গিয়ে নতুন জাতীয় পার্টি (জাফর) সৃষ্টি করেন। এই অংশটিও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে সক্রিয়।

ভাঙা-গড়ার খেলায় পার্টি অনেকটাই নেতৃত্বশূন্য বলা যেতে পারে। ঝানু রাজনীতিবিদ বলতে যা বুঝায় এমন নেতার সংখ্যা সংখ্যা হাতেগোনা। যে কারণে মাঝে-মধ্যেই বিভিন্ন দল থেকে হায়ার করে জেলা কিংবা বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। যেমন হঠাৎ করেই যোগদান করা এক নেতাকে খুলনা মহানগরের আহ্বায়ক করা হয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এখন জাপার মাঠ পর্যয়ে অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। কিন্তু সেই সমর্থনকে কাজে লাগানোর মতো নেতার সংকট প্রকট। আবার যারাও রয়েছেন তারাও ঝুঁকি নিতে চান না। এমনকি এরশাদ অগ্রিম প্রার্থী করার ঘোষণা দিলেও তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না।

৩ বছর আগে থেকেই এবার নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে গেলেই সেই এলাকার প্রার্থীকে পরিচয় করে দিয়ে এসেছেন। এমনকি অনেককে কয়েক বছর আগে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে দলের প্রার্থী বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু তাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে গিয়ে বলে এসেছিলেন কাজী মামুনুর রশীদ থাকলো। জোট বা নৌকা কিছু বুঝি না। সে লাঙ্গলের প্রার্থী থাকলো। আপনারা তাকে ভোট দিয়েন। এমন অনেক ঘটনা রয়েছে, যারা মনোনয়ন পাননি।

ঢাকা দক্ষিণ জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব জহিরুল আলম রুবেল ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা। ঢাকা থেকেই নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক বছর আগে তাকে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সেখানে গিয়ে মাঠ গোছানোর জন্য বলা হয়।

জহিরুল আলম রুবেল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বার্তা২৪.কমকে বলেন, একদিকে সময় নষ্ট। আবার ৪৪ লাখ টাকা খরচ করেছি দলকে সংগঠিত করার জন্য। এখন কি হলো, আমাকে যদি নাই দেওয়া হবে। তাহলে কেনো সেখানে পাঠানো হলো। কি পেলাম আমরা দল করে।

কয়েক দফায় ভাঙন, বহিস্কার ও নেতাদের দল ছাড়ার কারণে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়েছে দলটি। ভোটের সমীকরণেও দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে। আসনের সংখ্যায় কিছুটা হেরফের হলেও ভোটের সূচক বেশ নিম্নগামী। ১৯৯১ সালে নির্বাচনে কাস্টিং ভোটের ১১.৯২ শতাংশ পেয়েছিলো জাতীয় পার্টি।

এরপর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ১০.৬৭ শতাংশ, আর ২০০১ সালের ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রণ্টের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভোট পায় ৭.২৫ শতাংশ। সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনে পেয়েছে মাত্র ৭.০৪ শতাংশ। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন অংশ নেয়। কিন্তু যে আসনেই জোট ছাড়া নির্বাচন করেছে সেখানেই ধরাশায়ী দলটির প্রার্থীরা।

যে কারণে এবার এককভাবে নির্বাচনের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গেই মহাজোটগতভাবে নির্বাচন করতে চায়। সেভাবেই এগুচ্ছে জাতীয় পার্টি বলে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বলেছেন পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।

   

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সাথে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এই কথা বলেন।

সিইসি কাজী কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোন মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। 

সভায় দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত আছেন। পুলিশপ্রধান সহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: রাজশাহীর তিন উপজেলায় বৈধ ৩১ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া, দূর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোট ৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতার ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিটার্নিং অফিসার কল্যাণ চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের মূল প্রচারণা শুরু হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে নির্বাচনী সভা এবং প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সকল প্রার্থীদের যথাযথভাবে মানতে অনুরোধ জানান।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ২৩ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪-২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিলের মধ্যে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। প্রচার শেষে আগামী ২১ মে হবে ভোটগ্রহণ।

এসময় জানানো হয়, এই তিনটি উপজেলায় ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৩১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হলেন- দূর্গাপুর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মো. শরিফুজ্জামান, মো. আব্দুল মজিদ; পুঠিয়া উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান জি.এম হিরা বাচ্চু, মো. মখলেসুর রহমান, মো. আব্দুস সামাদ, মো. আহসান উল হক মাসুদ; বাগমারা উপজেলার মো. জাকিরুল ইসলাম, মো. আ. রাজ্জাক সরকার, মোহা. নাছিমা আক্তার।

এসময় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হন- দূর্গাপুর উপজেলা মো. আ. কাদের মন্ডল, মো. হাসেম আলী, মো. আ. মোতালেব, মো. শামীম ফিরোজ, মো. মোসাব্বের সরকার জিন্নাহ, মো. আব্দুল হক; পুঠিয়া উপজেলার মো. ফজলে রাব্বি মুরাদ, মো. আব্দুল মতিন মুকুল, মো. জামাল উদ্দিন বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান; বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম, মোছা. বানেছা বেগম, মোসা. সারমিন আহম্মেদ, মোসা. কহিনুর বেগম; পুঠিয়া উপজেলার মৌসুমী রহমান, মোছা. পরিজান বেগম, মোছা. শাবনাজ আক্তার; বাগমারা উপজেলার মোছা. শাহিনুর খাতুন, কহিনুর বানু, খন্দকার শাহিদা আলম, মোছা. মমতাজ আক্তার বেবী।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পর্কে দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তারা বৈধতা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসন চুল ছেঁড়া যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া বিনতে আফজাল, উপজেলা নির্বাচন অফিসার দূর্গাপুর মো. জয়নুল আবেদীন, রাজশাহী জেলার ডিএসবি মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।

;

কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিসের সভাকক্ষে কুষ্টিয়া সদর ও খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ২৩ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আবু আনসার উপস্থিত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং খোকসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা মঙ্গলবার থেকে প্রচারণায় নেমে পড়েন। আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর শূন্য আসনে আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভায় শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এই তথ্য জানান।

সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাপূর্বক ইসি সচিব বলেন, উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

;