টাঙ্গাইলের ৮ আসনে ৮২ মনোনয়নপত্র দাখিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের ৮টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, স্বতন্ত্রসহ ৮২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন থেকে শুরু করে শেষ দিন আজ বুধবার (২৮ নভেম্বর) পর্যন্ত টাঙ্গাইল জেলা রিটানিং অফিসারের কার্যালয় ও সহকারী রিটানিং অফিসারদের কার্যালয়ে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নয় জন, বিএনপির ১৫ জন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নয় জন, জাতীয় পার্টির পাঁচ জন, ইসলামী আন্দোলনের আট জন, স্বতন্ত্র নয় জনসহ অন্যান্য দলের মোট ৮২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ি) আসনে ড. আব্দুর রাজ্জাক (আওয়ামী লীগ), ফকির মাহবুব আনাম স্বপন ও সরকার শহীদ (বিএনপি), আশরাফ আলী (ইসলামী আন্দোলন), সালামত হোসাইন খান (জাকের পার্টি), আবু মিল্লাত হোসেন (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), ফারুক আহমেদ (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), খন্দকার আনোয়ারুল হক (স্বতন্ত্র) মনোনয়ন জমা দেন।

টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে তানভীর হাসান ও খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল (আওয়ামী লীগ), সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও শামছুল আলম তোফা (বিএনপি), এনামুল হক মঞ্জু (জাকের পার্টি), জাহিদ হোসেন খান (কমিউনিষ্ট পার্টি), রফিকুল ইসলাম (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), এসএম শামসুর রহমান (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ), মনিরুল ইসলাম (বিকল্প ধারা)।

টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে আতাউর রহমান খান (আওয়ামী লীগ), লুৎফর রহমান খান আজাদ ও মাঈনুল ইসলাম (বিএনপি), আব্দুর রশিদ (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), মাওলানা রেজাউল করিম (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ), আবু হানিফ (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), আতাউর রহমান খান (বিএনএফ), খলিলুর রহমান (জাকের পার্টি), এসএম চাঁন মিয়া (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি)। 

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে হাসান ইমাম খান (আওয়ামী লীগ), লুৎফর রহমান মতিন, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম, বেনজীর আহমেদ (বিএনপি), বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), মোস্তাক হোসেন রতন (জাতীয় পার্টি), সাদেক সিদ্দিকী (জাতীয় পার্টি-জেপি), মির্জা আবু সাঈদ (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ), এসএম আবু মোস্তফা (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল), মোন্তাজ উদ্দিন (বাংলাদেশ জাকের পার্টি), আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, আবুল কাশেম ও বাকির হোসেন (স্বতন্ত্র)। 

 টাঙ্গাইল-৫ (টাঙ্গাইল সদর) আসনে ছানোয়ার হোসেন (আওয়ামী লীগ), মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান ও ছাইদুল হক ছাদু (বিএনপি), মুরাদ সিদ্দিকী, আবুল কাশেম (স্বতন্ত্র), পীরজাদা শফিউল্লাহ আল মুনির (জাতীয় পার্টি), খন্দকার সানোয়ার হোসেন (ইসলামী আন্দোলন), সৈয়দ খালেকুজ্জামান মোস্তফা (বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ), হাবিবুর রহমান খোকা বীর প্রতিক (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), আবু তাহের (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), শামীম আল মামুন (বিএনএফ)।

টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে আহসানুল ইসলাম টিটু (আওয়ামী লীগ), এডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী ও নুর মোহাম্মদ খান (বিএনপি), আখিনুর মিয়া (ইসলামী আন্দোলন), এম আশরাফুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), আনোয়ার হোসেন (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), সুলতান মাহমুদ (বিএনএফ), মাসুকুল হক মুরাদ (ওয়ার্কার্স পার্টি), সৈয়দ নাভেদ হোসেন (জাসদ), মামুনুর রহমান (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), রবিউল আওয়াল (জাসদ সমাজতান্ত্রিক দল)।  

টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে একাব্বর হোসেন (আ‘লীগ), আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী ও সাঈদ সোহরাব (বিএনপি), সৈয়দ মজিবুর রহমান (খেলাফত মজলিশ), রুপা রায় চৌধুরী (প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল), জহিরুল ইসলাম (জাতীয় পার্টি), গোলাম নওজব পাওয়ার চৌধুরী (ওয়ার্কার্স পার্টি), লিপি বেগম (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ) ও শাহিনুর ইসলাম (ইসলামী আন্দোলন)।

টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে জোয়াহেরুল ইসলাম (আ‘লীগ), বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও তার মেয়ে কুড়ি সিদ্দিকী, হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), কাজী আশরাফ সিদ্দিকী, রেজাউল করিম (জাতীয় পার্টি), মাওলানা আব্দুল লতিফ মিয়া (ইসলামী আন্দোলন), লিয়াকত আলী, শহিদুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), শফি সরকার (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি)।

   

তীব্র তাপদাহে বুথে অচেতন হয়ে পড়লেন বৃদ্ধা নারী ভোটার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে নির্বাচনী বুথে এক বৃদ্ধা নারী ভোটার অচেতন হয়ে পড়েছেন।

রোবাবার (২৮ এপ্রিল) ভোট চলাকালীন দুপুর ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৪নং লাহারকান্দি ইউনিয়নের কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ওই নারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় কেন্দ্রে উপস্থিত ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

অচেতন হয়ে পড়া নারীর নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে তিনি কেন্দ্রের ১০নং নারী বুথের সামনে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে অপেক্ষমাণ ছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুরে হঠাৎ কেন্দ্রে বুথের সামনে নারী ভোটারের লাইনে অচেতন হয়ে পড়ে ওই নারী। তার বয়স প্রাশ ষাটোর্ধ্ব। অচেতন হয়ে পড়ার পর তার নাকে-মুখে ফেনা ও সারা শরীরে প্রচণ্ড ঘাম পরিলক্ষিত হয়। ভোট দিতে তার সাথে কোনো স্বজন এসেছে কিনা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জানান, অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য ওই নারীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের অনেকগুলো কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে লাইনে অপেক্ষমাণ ছিলেন পুরুষ ও নারী ভোটাররা। ভোটারের উপস্থিতিও ব্যাপক দেখা গেছে। এরমধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।

তবে বেলা বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে তাপদাহ। সেইসাথে কমতে থাকে কেন্দ্রের সামনে লাইনে অপেক্ষমাণ ভোটারের সংখ্যা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোটাররা কেন্দ্রের সামনে লাইন ছেড়ে দিয়ে বাইরে গাছের নিচে কিংবা ছায়াতলে অপেক্ষা করছেন। আবার অনেকেই বুথের ভেতরের কক্ষে জড়ো হয়ে অবস্থান নিয়েছেন ভোট প্রদান করতে।

ভোটাররা জানান, তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে ভোটাররা এদিক সেদিক চলে গেছে। কেউ কেউ বাড়ি ফিরে গেছে। তবে রোদের খরতাপকে উপেক্ষা করে অধিকাংশ ভোটার ভোট প্রয়োগ করতে কেন্দ্রের আশেপাশে অথবা লাইনে অপেক্ষমাণ রয়েছে। এর মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

প্রসঙ্গত: সীমানাজনিত মামলা জটিলতা শেষে দীর্ঘ ১৩ বছর পর জেলার সদর উপজেলার ২নং দক্ষিণ হামছাদি, ৩নং দালাল বাজার, ৬ নং বাঙ্গাখাঁ, ১৫ নং লাহারকান্দি ও ১৯ নং তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে ভোটারদের মাঝে এ উৎসবের আমেজ বিরাজ করতে দেখা যায়।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৫টি ইউনিয়নের ৪৬টি কেন্দ্রে মোট এক লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন ভোটার। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন আনসার সদস্য, একজন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও তিনজন কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে।

এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় দুই প্লাটুন বিজিবি এবং র‍্যাবসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আছে।

;

পটুয়াখালীর দুই ইউনিয়ন পরিষদে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট চলছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার ভুরিয়া ও কমলাপুর দুটি ইউনিয়নে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

সরেজমিনে দেখা যায় প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করেও ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এদিকে ভোটারদের স্বাস্থ্য সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে মেডিকেল টিম।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ সদস্য ৫১ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ দুই ইউনিয়নে ১৮টি ভোট কেন্দ্রে প্রায় ২৮ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও নির্বাচন সুষ্ঠ করতে দুই ইউনিয়নে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৪ প্লাটুন বিজিবি, ৫ প্লাটুন র‍্যাব নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে আটজন পুলিশ সদস্য, ১৭ আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।

ভোটাররা জানান, এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রয়েছে। সারাদিন যদি এমন পরিবেশ বিরাজ করে তাহলে তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

পটুয়াখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সারমিন সুলতানা বলেন, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে। আশা করছি কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সম্পন্ন হবে।

;

১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোট

১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোট

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আটটি জেলার ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এর আগে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

যেসব ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে সেগুলো হলো- লক্ষ্মীপুর সদরের দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখা, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ; দিনাজপুরের বিরল উপজেলার আজিমপুর, ফরক্কাবাদ ও বিরল; রাজশাহীর পুঠিয়ার পুঠিয়া; পটুয়াখালী সদরের কমলাপুর ও ভুরিয়া; বরগুনার আমতলীর আমতলী; সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার কুটি; কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, ঈদগাঁও এবং পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদ।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে। এই সেল নির্বাচন ভবন থেকে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছে। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে সেলটি গঠিত হয়েছে।

২০২২ সালে সাত ধাপে সাড়ে চার হাজার ইউপির ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন।

মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে বাকি ইউপির ভোট হচ্ছে সময়ে সময়ে।

;

লক্ষ্মীপুরের ৫ ইউপিতে ভোটগ্রহণ শুরু,কেন্দ্রে উৎসবের আমেজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ চলছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮ টা শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। সকালে এসব ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় উৎসবের আমেজ। কেন্দ্রগুলোতে পুরুষের পাশাপাশি নারী ভোটারের ব্যাপক উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে।

দীর্ঘ ১৩ বছর পর জেলার সদর উপজেলার ২নং দক্ষিণ হামছাদি, ৩নং দালাল বাজার, ৬ নং বাঙ্গাখাঁ, ১৫ নং লাহারকান্দি ও ১৯ নং তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে ভোটারদের মাঝে এ উৎসবের আমেজ বিরাজ করতে দেখা যায়।

নারী ভোটারদের উপস্থিতিও বেশি

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৫টি ইউনিয়নের ৪৬টি কেন্দ্রে মোট এক লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন ভোটার। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন আনসার সদস্য, একজন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও তিনজন কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে স্টাইকিং ফোর্স, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে। 

এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় দুই প্লাটুন বিজিবি এবং র‍্যাবসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আছে। 

জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান জানান, নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগতদের কোন স্থান দেয়া হবে না। তারা যাতে ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে জন্য প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। জাল ভোট ও বহিরাগত কাউকে ভোটকেন্দ্র এলাকায় দেখলে তাদেরকে আইনের আওতায় নেয়া হবে। নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে বলে জানান তিনি। 

;